শেষের পাতা
করোনায় শনাক্তের হার প্রায় ২৫ শতাংশ
স্টাফ রিপোর্টার
১৪ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:১১ পূর্বাহ্ন
দেশে করোনা শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। শনাক্তের হার প্রায় ২৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ৪ জনে একজন করোনার রোগী পাওয়া যাচ্ছে। আর নমুনা পরীক্ষার গতি দিন দিন কমে যাচ্ছে। ফি নেয়ার পর থেকেই নমুনা পরীক্ষা কমছে। কিন্তু রোগী শনাক্তের হার দিন দিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিবেচনায় সর্বোচ্চ শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৪২৩টি। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৯৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরো ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ হাজার ৩৯১ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৭০৩ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯৮ হাজার ৩১৭ জন। গতকাল করোনা নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৩৫৮টি, আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৪২৩টি। এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৯ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫২ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। মৃত্যু ব্যক্তিদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৮৯০ জন এবং নারী ৫০১ জন। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন। মৃত্যু ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন, রংপুর বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ৭ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৩ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৪ জন এবং বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৭৬৫ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৭ হাজার ৩৭১ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭১৩ জন। এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮৯৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৩৭ হাজার ২৭০ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৪০১ জনকে। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৯৬ হাজার ২৫৫ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ৩ হাজার ২৭৩ জন। এ পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪ জন। এখন মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬২ হাজার ২১১ জন।
তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৩৫৮টি, আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৪২৩টি। এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৯ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫২ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। মৃত্যু ব্যক্তিদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৮৯০ জন এবং নারী ৫০১ জন। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন। মৃত্যু ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন, রংপুর বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ৭ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৩ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৪ জন এবং বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৭৬৫ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৭ হাজার ৩৭১ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭১৩ জন। এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮৯৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৩৭ হাজার ২৭০ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৪০১ জনকে। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৯৬ হাজার ২৫৫ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ৩ হাজার ২৭৩ জন। এ পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪ জন। এখন মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬২ হাজার ২১১ জন।