খেলা

অনলাইন দাবা অলিম্পিয়াডে রাকিবের জায়গায় জিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার

১৪ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:৪০ পূর্বাহ্ন

করোনা মহামারিতে এক বছর পিছিয়ে গেছে বিশ্ব দাবার সবচেয়ে বড় আসর অলিম্পিয়াড। তবে এর বিকল্প হিসেবে প্রথমবারের মতো অললাইনে দাবা অলিম্পিয়াড আয়োজন করতে যাচ্ছে খেলাটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিদে। ভিন্ন ফরম্যাটে আগামী ২২শে জুলাই এই টুর্নামেন্ট গড়াচ্ছে ভার্চুয়াল বোর্ডে। বাংলাদেশের দাবাড়ুদের কাছে যা সম্পূর্ণ নতুন একটি অভিজ্ঞতা।
অনলাইনে ফরম্যাট আমূল বদলে দেয়া হয়েছে। সাধারণত অলিম্পিয়াডে দেশের শীর্ষ পাঁচ দাবাড়ু অংশ নিয়ে থাকেন ওপেন বিভাগে, মেয়েদের বিভাগেও তাই। কিন্তু অনলাইনে এবার একটি বিভাগ ছয় জনের, সেখানে অনূর্ধ্ব-২০ বছরের দুজন (ছেলে ও মেয়ে) এবং দুজন মহিলা দাবাড়ুকে খেলানো বাধ্যতামূলক। সে হিসেবে বাংলাদেশের মাত্র দুজন গ্র্যান্ডমাস্টার খেলার সুযোগ পাবেন। অবশ্য রিজার্ভে থেকে অন্যরাও বিভিন্ন রাউন্ডে ছয় জনের দলে জায়গা করে নিতে পারেন। সর্বশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ ও আবদুল্লাহ আল রাকিবের অংশ নেয়ার কথা অলিম্পিয়াডে। গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ যেমন আসল অলিম্পিয়াডের আমেজটা মিস করছেন খুব। জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তবু তিনি খেলছেন, কিন্তু রানার-আপ আব্দুল্লাহ আল রাকিব একেবারে খেলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তার জায়গায় দলে ঢুকেছেন আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। জিয়া সর্বশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ষষ্ঠ হয়েছিলেন। তাতেই অলিম্পিয়াড দলে জায়গাটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তার। ১২ (অতিরিক্ত ছয়জনসহ) সদস্যের  অলিম্পিয়াড দলে চারজন মহিলা ও চারজন জুনিয়র দাবাড়ু রাখা বাধ্যতামূলক। তাতে ওপেন বিভাগে জায়গা থাকে আর চারজনের। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বশেষ র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী নিয়াজ, রাকিব, ফাহাদ রহমান ও রিফাত বিন সাত্তার সে ক্ষেত্রে সুযোগ পান। ফাহাদ জুনিয়র কোটায় চলে গেলে দলে আসেন পঞ্চম ফিদে মাস্টার তৈয়বুর রহমান। এর মধ্যে রাকিবও না খেলায় সুযোগ হয়ে যায় জিয়ার। অলিম্পিয়াড দলে ডাক পেয়ে জিয়া খুশি, ‘এই মুহূর্তে অনলাইনই তো একমাত্র মাধ্যম। তাতে এখন জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার জন্য বড় অনুপ্রেরণাও।’ তবে কেন খেলছেন না তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি রাকিব, ‘ফেডারেশন আমাকে খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমি তাদের না বলে দিয়েছি। অনলাইন প্ল্যাটফর্মটাকে আমি ছোট করে দেখছি না মোটেও। তবে আমি খেলছি না। কী কারণে খেলছি না, সেটাও এ মুহূর্তে জানাতে চাচ্ছি না।’ র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী বাকিদের সবাই অবশ্য খেলছেন। মহিলা চার দাবাড়ু হলেন রানী হামিদ, শারমিন সুলতানা, শারমিন সামিহা ও নাজরানা খান। জুনিয়র হিসেবে ছেলেদের মধ্যে ফাহাদ আর তাহসিন তাজওয়ার এবং মেয়েদের মধ্যে খেলবে ওয়ালিজা আহমেদ ও নোশিন আঞ্জুম।
আগামী ১৬ই জুলাই দলগুলোর নাম নিবন্ধনের পরই জানা যাবে বাংলাদেশের দাবাড়ুরা কোন বিভাগে খেলবেন। আর অনলাইন দাবার অভিজ্ঞতা দেশীয় দাবাড়ুদের জন্য প্রয়োজন বলে মনে করেন দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম। তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাহি কমিটির সভায় অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের মধ্যে অনেক দাবাড়ু অনলাইন দাবায় অভিজ্ঞ আবার অনেকে অভিজ্ঞ নন। করোনায় খেলা বন্ধ থাকলেও আমাদের দাবাড়ুরা ঠিকই অনলাইন টুর্নামেন্টে ব্যস্ত। দাবাড়ুরা যেন খেলার মধ্যে থাকতে পারে, পারিশ্রমিক পায় সেটা মাথায় রেখে ভবিষ্যতে আমরাও অনলাইন টুর্নামেন্ট করবো’। তিনি বলেন, ‘অনলাইন অলিম্পিয়াডে আমাদের লক্ষ্য দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status