এক্সক্লুসিভ
সিলেটে পরিবহন শ্রমিক নেতা ফলিক বহিষ্কার
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১১ জুলাই ২০২০, শনিবার, ৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে সিলেটের আলোচিত পরিবহন শ্রমিক নেতা সেলিম আহমদ ফলিককে। তাকে বাইরে রেখে ইউনিয়নের কার্যকরী পরিষদের সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা সিদ্বান্ত নিয়ে তাকে বহিষ্কার করেছেন। এ নিয়ে ফের আলোচনায় এসেছে সিলেটের পরিবহন সেক্টরের অভ্যন্তরীণ বিরোধ। কমিটির নেতারা জানিয়েছেন- মোট ১৪ জনের মধ্যে ১০ জন কার্যকরী সদস্য সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে বহিষ্কার করেছেন। এই বহিষ্কার কার্যকর। বিষয়টি একটি পত্রের মাধ্যমে সিলেটের জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। তবে- সেলিম আহমদ ফলিক তাদের এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন- তাকে বহিষ্কারের ক্ষমতা কারো নেই। তিনি এখনো সংগঠনের সভাপতি। সিলেটের পরিবহন শ্রমিক নেতা সেলিম আহমদ ফলিক। এক নামেই তাকে চিনেন সবাই। তার এক ডাকেই সিলেটে শ্রমিকরা বন্ধ করে গাড়ির চাকা। চলে আন্দোলন। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ভেতরেই তাকে ঘিরে অস্থিরতা চলছে। করোনা কালে রাজপথে হয়েছে দিনব্যাপী সংঘর্ষ। আহত হয়েছেন অনেকেই। সিলেট জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আব্দুল মুহিম এক পত্রে সিলেটের জেলা প্রশাসককে অবগত করে পত্র দিয়েছেন। ওই পত্রে তিনি সংগঠনের সভাপতির পদ থেকে সেলিম আহমদ ফলিককে বহিষ্কারের কথা জানান। ওই পত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন- ‘সংগঠনের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, শ্রমিকদের উপর হামলা, শ্রমিকদের স্বার্থ পরিপন্থি কার্যকলাপ ও টাকা আত্মসাতের কারণে ইউনিয়নের সংবিধানের ২৬ নং ধারা মোতাবেক গত বৃহস্পতিবারের কার্যকরীর সভায় সেলিম আহমদ ফলিককে সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে কার্যকরী কমিটির সভাপতি রুনু মিয়াকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’ এদিকে- সেলিম আহমদ ফলিক জানিয়েছেন- তাকে বহিষ্কারের ক্ষমতা কারো নেই। তিনি সংগঠনের সভাপতি ছিলেন এবং আছেন। তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটি সত্য নয়। তিনি এ ব্যাপারে শিগগিরই আইনের দ্বারস্থ হবেন। তার মান সম্মান যারা ক্ষুণ্ন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। একই সঙ্গে তার সঙ্গে থাকা সংগঠনের আঞ্চলিক শাখার শ্রমিক নেতারাও এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছে। তারাও এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিম জানিয়েছেন- তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ আলোচনা করেই সংগঠনের কার্যকরীর কমিটির ১০ সদস্য বহিষ্কারের সিদ্বান্ত নেন। সাংগঠনিকভাবেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এবং তিনি এখন আর জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নয়। এখন রুনু মিয়া হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। তিনি বলেন- কোনো পক্ষ অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইলে আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হবো। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা সকলের দায়িত্ব বলেও জানান তিনি।