বাংলারজমিন
হবিগঞ্জে চিকিৎসাসেবার ৭ দফা দাবিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি
স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে
৭ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:৩০ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জের চিকিৎসাসেবার উন্নয়নে ৭ দফা দাবি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে হবিগঞ্জ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পরে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজানকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর স্মারকলিপির অনুলিপি প্রদান করা হয়। ইতিপূর্বে গত ২৫শে জুন চিকিৎসা সেবার ৭ দফা দাবী নিয়ে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে এর অনুলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের জেলা সংগঠক শফিকুল ইসলাম, নিয়াজ আহমেদ, শাওন আল হাসান, শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, শাহআলম রাজ, রোটারিয়ান লোকমান আহমেদ, প্রভাষক মো. শাফিকুল ইসলাম, মহসিন আলী মিশু, দিপু আহমেদ, উজ্জ্বল রায় কাঞ্চন, রাজিব রায়। স্মারকলিপি প্রদানকালে সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বলেন, করোনা একটি নতুন রোগ। কিন্তু অন্য যেসকল সাধারণ রোগীরা সারাজীবন কষ্ট ভোগ করে আসছেন সে সমস্ত রোগীরা এখন প্রয়োজনের সময় ডাক্তার পাচ্ছেন না। যা অনেক বড় অশনিসংকেত। তাই নিয়মিত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের রোগী দেখা নিশ্চিত করা দরকার।
স্মারকলিপিতিে তারা দাবি জানান, ১. জরুরি ভিত্তিতে হবিগঞ্জে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট ল্যাব স্থাপন করতে হবে, এবং জনগণকে বিনামূল্যে টেস্ট করার জন্য উৎসাহী করতে হবে।
২. দ্রুত সময়ের মধ্যে বহুতল ভবন বিশিষ্ট শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স, অক্সিজেন, ভেন্টিলেশন সমৃদ্ধ আইসোলেশন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। প্রয়োজনে প্রাইভেট ক্লিনিককে অধিগ্রহণ করে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।
৩. যে সমস্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ সপ্তাহে একবার হবিগঞ্জে এসে চিকিৎসা সেবা দিতেন, করোনাকালে উনাদের নিজেদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে পূর্বেরমত সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. বাধ্যতামূলকভাবে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ দ্বারা রোস্টার অনুযায়ী সাধারণ রোগীদের গুরুত্বের সাথে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে এবং সেবারত সকল ডাক্তার ও নার্সদের প্রয়োজনে আবাসন সুবিধা এবং পর্যাপ্ত মাস্ক, সেনিটাইজার ও পিপিই দিতে হবে।
৫. সকল জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য ২৪ ঘন্টা এ্যাম্বোলেন্স দিয়ে জরুরি ‘কোড নাম্বার’ (মোবাইল) সেবা চালু করতে হবে।
৬. করোনাকালে মানবিক বিবেচনায় সকল ফি ৫০ ভাগ কমাতে হবে।
৭. চিকিৎসা সেবা নিয়ে সকল বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে এবং ভোক্তা অধিকার আইনের মাধ্যমে সকল ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের ওষুধ জব্দ করে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
স্মারকলিপিতিে তারা দাবি জানান, ১. জরুরি ভিত্তিতে হবিগঞ্জে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট ল্যাব স্থাপন করতে হবে, এবং জনগণকে বিনামূল্যে টেস্ট করার জন্য উৎসাহী করতে হবে।
২. দ্রুত সময়ের মধ্যে বহুতল ভবন বিশিষ্ট শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স, অক্সিজেন, ভেন্টিলেশন সমৃদ্ধ আইসোলেশন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। প্রয়োজনে প্রাইভেট ক্লিনিককে অধিগ্রহণ করে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।
৩. যে সমস্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ সপ্তাহে একবার হবিগঞ্জে এসে চিকিৎসা সেবা দিতেন, করোনাকালে উনাদের নিজেদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে পূর্বেরমত সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. বাধ্যতামূলকভাবে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ দ্বারা রোস্টার অনুযায়ী সাধারণ রোগীদের গুরুত্বের সাথে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে এবং সেবারত সকল ডাক্তার ও নার্সদের প্রয়োজনে আবাসন সুবিধা এবং পর্যাপ্ত মাস্ক, সেনিটাইজার ও পিপিই দিতে হবে।
৫. সকল জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য ২৪ ঘন্টা এ্যাম্বোলেন্স দিয়ে জরুরি ‘কোড নাম্বার’ (মোবাইল) সেবা চালু করতে হবে।
৬. করোনাকালে মানবিক বিবেচনায় সকল ফি ৫০ ভাগ কমাতে হবে।
৭. চিকিৎসা সেবা নিয়ে সকল বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে এবং ভোক্তা অধিকার আইনের মাধ্যমে সকল ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের ওষুধ জব্দ করে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে।