এক্সক্লুসিভ
রংপুরে করোনায় শিক্ষকসহ ১৮ জনের মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
৬ জুলাই ২০২০, সোমবার, ৮:২০ পূর্বাহ্ন
রংপুর জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল রাতে পীরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান ওরফে জাহাঙ্গীর (৫০) নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। শনিবার রাতে তিনি উপজেলার শীতলপুর গ্রামের বাড়িতে মারা যান। এনিয়ে গত ১২০ দিনে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যায় রংপুর সিটি করপোরেশনের অবস্থা ভয়াবহ। ইতিমধ্যে নগরীর ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, শালবন ইন্দ্রিরা মোড় এলাকার জহুরুল ইসলাম (৭০), হনুমানতলার আফজাল হোসেন (৮০), ধাপ জেল রোডের ডা. আব্দুর রহমান (৬৭), গোমস্তপাড়ার সামসুল হুদা (৬৯), নিউ জুম্মাপাড়ার বাতলুন নেছা (৮৫), ধাপ কাকুলী লেনের মফিজ উদ্দিন (৬৭), সেনপাড়ার সাদিয়া পারভীন (৫৭), সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়ার গোলাম রব্বানী (৪৯), কামাল কাছনার আব্দুল হক (৬৮) সহ ১১ জন। এ ছাড়া রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলায় ২ জন, মিঠাপুকুরে ২ জন, পীরগঞ্জে ৩ জন রয়েছেন।
রংপুর সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় বলেন, রংপুরে ১ হাজার ৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭১২ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। জেলায় সুস্থতার হার শতকরা ৬৭ ভাগ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে রংপুরে করোনায় আক্রান্তের হার কমে আসবে।
ওদিকে করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ ঘটছে রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায়। প্রতিদিন নগরীতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে নগরীর বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। রংপুর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, দেশে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষেরা রংপুর নগরীতে নিজ বাড়িতে আসায় করোনার দ্রুত সংক্রমণ ঘটে। গতকাল রোববার পর্যন্ত রংপুর নগরীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬৪ জন। রংপুর নগরীতে দ্রুত করোনা সংক্রমণ ঘটা এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছে সিটি করপোরেশন। এগুলো হলো, রংপুর নগরীর ৪নং ওয়ার্ডের পাকার মাথা, খটখটিয়া, আমাশু কুকরুল, ফুল আমেরতল, ১৬ নং ওয়ার্ডের ধাপ, সার্কিট হাউজ লেন, ধাপ হাজী কলোনি, কেল্লাবন্দ, শ্যামলী লেন, মেডিকেল মোড়, ১৯ নং ওয়ার্ডের মেডিকেল পূর্বগেট, রাধাবল্লভ, হনুমানতলা, ২১ নং ওয়ার্ডের সেনপাড়া, কামারপাড়া, কলেজ রোড, ২৩নং ওয়ার্ডে জুম্মাপাড়া, নিউ জুম্মাপাড়া, সিটি বাজার, হনুমানতলা, ইসলামপুর, পুলিশ লাইন্স, ২৫নং ওয়ার্ডের সেন্ট্রাল রোড, পূর্ব শালবন, নিউ শালবন, শালবন মিস্ত্রিপাড়া, কামাল কাছনা। করোনার বিস্তার রোধ নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে সভায় প্রশাসনের কর্মকর্তা, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা অংশ নেন। সভায় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রয়োজনে পুলিশি সহযোগিতা নেয়া এবং বাসস্ট্যান্ড, হাট-বাজারসহ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে করোনা মোকাবিলায় বেশি বেশি প্রচারণা চালানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ ছাড়া রংপুর নগরীর যে সব ওয়ার্ডের কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি, সেসব ওয়ার্ডের দিকে বিশেষ নজর রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দেয়া হয়। এ ব্যাপারে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের কোনো এলাকাকে এখনো রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়নে কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনাগুলো কঠোরভাবে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেয়া হয়েছে।
রংপুর সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় বলেন, রংপুরে ১ হাজার ৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭১২ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। জেলায় সুস্থতার হার শতকরা ৬৭ ভাগ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে রংপুরে করোনায় আক্রান্তের হার কমে আসবে।
ওদিকে করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ ঘটছে রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায়। প্রতিদিন নগরীতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে নগরীর বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। রংপুর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, দেশে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষেরা রংপুর নগরীতে নিজ বাড়িতে আসায় করোনার দ্রুত সংক্রমণ ঘটে। গতকাল রোববার পর্যন্ত রংপুর নগরীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬৪ জন। রংপুর নগরীতে দ্রুত করোনা সংক্রমণ ঘটা এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছে সিটি করপোরেশন। এগুলো হলো, রংপুর নগরীর ৪নং ওয়ার্ডের পাকার মাথা, খটখটিয়া, আমাশু কুকরুল, ফুল আমেরতল, ১৬ নং ওয়ার্ডের ধাপ, সার্কিট হাউজ লেন, ধাপ হাজী কলোনি, কেল্লাবন্দ, শ্যামলী লেন, মেডিকেল মোড়, ১৯ নং ওয়ার্ডের মেডিকেল পূর্বগেট, রাধাবল্লভ, হনুমানতলা, ২১ নং ওয়ার্ডের সেনপাড়া, কামারপাড়া, কলেজ রোড, ২৩নং ওয়ার্ডে জুম্মাপাড়া, নিউ জুম্মাপাড়া, সিটি বাজার, হনুমানতলা, ইসলামপুর, পুলিশ লাইন্স, ২৫নং ওয়ার্ডের সেন্ট্রাল রোড, পূর্ব শালবন, নিউ শালবন, শালবন মিস্ত্রিপাড়া, কামাল কাছনা। করোনার বিস্তার রোধ নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে সভায় প্রশাসনের কর্মকর্তা, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা অংশ নেন। সভায় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রয়োজনে পুলিশি সহযোগিতা নেয়া এবং বাসস্ট্যান্ড, হাট-বাজারসহ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে করোনা মোকাবিলায় বেশি বেশি প্রচারণা চালানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ ছাড়া রংপুর নগরীর যে সব ওয়ার্ডের কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি, সেসব ওয়ার্ডের দিকে বিশেষ নজর রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দেয়া হয়। এ ব্যাপারে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের কোনো এলাকাকে এখনো রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়নে কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনাগুলো কঠোরভাবে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেয়া হয়েছে।