খেলা

কাউন্টি ক্রিকেটে নিয়মের পরিবর্তন

সুযোগ বাড়লো সাকিব-তামিমদেরও

স্পোর্টস ডেস্ক

৫ জুলাই ২০২০, রবিবার, ৮:১৬ পূর্বাহ্ন

ইংল্যান্ডের বাইরের ক্রিকেটারদের জন্য কাউন্টি ক্রিকেট আকাঙ্ক্ষিত একটি জায়গা। একজন ক্রিকেটার সেখানে শুধু অর্থের কারণে খেলতে যায় না। কাউন্টি ক্রিকেট বদলে দিতে পারে একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার। পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা, স্কিল থেকে শুরু করে একজন পরিপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার সুযোগ এলে সেটা হাতছাড়া করেন খুব কম ক্রিকেটার। মাঝে অবশ্য কাউন্টিতে বিদেশিদের খেলার সুযোগটা কমে আসে। ২০০৮ সালে দুইজন থেকে কমিয়ে প্রতি দলে একজন করে ক্রিকেটারকে নেয়ার নিয়ম করা হয়। সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ২০২১ সাল থেকে একজনের বদলে দু’জন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলাতে পারবে কাউন্টি দলগুলো।
ইসিবির ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস বলেন, ‘ভালো মানের বিদেশিদের সঙ্গে খেলে আমাদের তরুণরা আরো পরিণত হতে পারবে। কাউন্টি ক্রিকেট এতে আরো প্রতিযোগিতাপূর্ণ হবে এবং খেলার মানও বেড়ে যাবে।’ ২০০৮ সালে বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট চালুর পর যদিও কাউন্টিতে বিদেশি খেলোয়াড়দের আগ্রহ কমেছে। তবু এখনও বহু খেলোয়াড়ের স্বপ্নের জায়গা কাউন্টি ক্রিকেট। আগামী মৌসুম থেকে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে কাপের একাদশে রাখা যাবে দুজন করে বিদেশি ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে দুজন রাখার নিয়ম ছিল আগে থেকেই।
কাউন্টিতে খেলেছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররাও। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্য একমাত্র সাকিব আল হাসান খেলেছেন কাউন্টি ক্রিকেটের প্রতিটি সংস্করণে। ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো খেলার সুযোগ পান সাকিব। সেবার তিনি খেলেন উস্টারশায়ারের হয়ে। তার অভিষেকটা হয়েছিল দুর্দান্ত, কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় বিভাগে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে চার দিনের ম্যাচের প্রথম দিনেই করেছিলেন ৯০ রান। কাউন্টি ক্রিকেটে যেটি তার সর্বোচ্চ। ২০১১ পর্যন্ত উস্টারশায়ারের ক্যাপে ৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে দুই ফিফটিতে সাকিব করেন ৪১২ রান। বল হাতে সাকিবের শিকার ৪২ উইকেট। একদিনের ম্যাচে মাঠে নেমেছেন ৫টিতে। দুই ফিফটিতে করেন ১৮৭ রান। উইকেট ৯টি। আর টি-টোয়েন্টিতে ১২ ম্যাচে ১১০ রান করার পাশাপাশি বল হাতে সাকিবের শিকার ১৯ উইকেট। ২০১৩ সালে সাকিব কেবল টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য লেস্টারশায়ারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। সেবার ১০ ম্যাচে করেন ১৪৬ রান। উইকেট ৯টি।
২০১১ সালে প্রথমবার ইংলিশ কাউন্টিতে নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে খেলার সুযোগ পান তামিম ইকবাল। তবে পারেননি সাকিবের মতো আলো ছড়াতে। ৫ ম্যাচে করেন ১০৪ রান। সর্বোচ্চ ইনিংস ৪৭ রানের। ২০১৭ সালে দ্বিতীয়বার তামিম কাউন্টির টি-টোয়েন্টি আসরে এসেক্সের হয়ে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন।
এক ম্যাচে করেন  ৭ রান। ৮-৯টি ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও মাত্র এক ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরে আসেন তামিম। যদিও এর কারণ তামিম খোলাসা করেননি এখনো। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র তখন জানিয়েছিল, ‘৯ই জুলাই লন্ডনে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে রাতের খাবার খেয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় ফিরছিলেন তামিম ইকবাল। ঠিক তখনই কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের ধাওয়া করে। দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছোটেন তারা এবং আক্রমণের হাত থেকে রক্ষাও পান।  এ ঘটনার পরই তামিম দেশে ফেরেন।’
সাকিবের মতো মোস্তাফিজুর রহমানের কাউন্টি ক্রিকেটে অভিষেকটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে সাসেক্সকে জিতিয়ে আলোড়ন তোলেন এ বাঁহাতি পেসার। পেয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও। কিন্তু কাঁধের চোট তাকে বেশি দূর এগোতে দেয়নি। ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে মাত্র দুই ম্যাচ খেলেই শেষ হয় মোস্তাফিজের সাসেক্স-অধ্যায়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status