বাংলারজমিন
রামগতিতে বন্দর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ
রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
৪ জুলাই ২০২০, শনিবার, ৭:৪১ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিওটিএ) চাঁদপুর নদী বন্দরের আওতাধীন লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বহদ্দারহাট লঞ্চঘাট ইজারায় বন্দর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে বিআইডব্লিওটিএ’র বন্দর ও পরিবহন বিভাগের উপ-পরিচালক চাঁদপুর নদী বন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত বন্দর কর্মকর্তা একেএম কায়সারুল ইসলাম নীতিমালা লঙ্ঘন করে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে ঘাটটি স্পট কোটেশনের মাধ্যমে এক মাসের জন্য ইজারা দিয়েছেন। এ ঘটনায় ঘাটটির সদ্য সাবেক ইজারাদার যোবায়ের হোসেন গত বৃহস্পতিবার বিআইডব্লিওটিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আলেকজান্ডার এলাকার বাসিন্দা যোবায়ের হোসেন বহদ্দারহাট লঞ্চঘাটটি ইজারা নিয়ে গত এক বছর (২০১৯-২০২০) ধরে পরিচালনা করে আসছেন। করোনায় বিভিন্ন সময় লকডাউনের কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় টোল আদায় করতে না পেরে তিনি আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্তও হন। যে কারণে চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য আহ্বান করা ইজারা প্রক্রিয়ায় কেউ অংশ নেয়নি। ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী নতুন অর্থবছরে একমাসের টোল আদায়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে স্পট কোটেশনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতাকে ইজারা দেয়ার বিধান রয়েছে। স্পট কোটেশনে পূর্বের ইজারাদারের অগ্রাধিকার থাকার কথা বলে ওই কর্মকর্তা গত মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে তাকে ডেকে নেন। এ সময় এক মাসের ইজারার জন্য দর নির্ধারণ করে তার নামে ঘাটটি ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্তও হয়। এজন্য তিনি তার কাছে অতিরিক্ত এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করলে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন। এরই মধ্যে তিনি জানতে পারেন ওই কর্মকর্তা মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে মো. ইমরান হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ঘাটটি জুলাই মাসের জন্য ইজারা দিয়েছেন। তার সঙ্গে ইজারার নির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে কম অর্থে ইমরান নামে ওই ব্যক্তিকে ঘাটটি ইজারা দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। এতে সরকার অনেক টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হওয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান তিনি।
এদিকে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে বন্দর কর্মকর্তা একেএম কায়সারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী স্পট কোটেশনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতাকে একমাসের জন্য তিনি ঘাটটি ইজারা দিয়েছেন। ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ সত্য নয় বলে তিনি দাবি করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আলেকজান্ডার এলাকার বাসিন্দা যোবায়ের হোসেন বহদ্দারহাট লঞ্চঘাটটি ইজারা নিয়ে গত এক বছর (২০১৯-২০২০) ধরে পরিচালনা করে আসছেন। করোনায় বিভিন্ন সময় লকডাউনের কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় টোল আদায় করতে না পেরে তিনি আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্তও হন। যে কারণে চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য আহ্বান করা ইজারা প্রক্রিয়ায় কেউ অংশ নেয়নি। ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী নতুন অর্থবছরে একমাসের টোল আদায়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে স্পট কোটেশনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতাকে ইজারা দেয়ার বিধান রয়েছে। স্পট কোটেশনে পূর্বের ইজারাদারের অগ্রাধিকার থাকার কথা বলে ওই কর্মকর্তা গত মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে তাকে ডেকে নেন। এ সময় এক মাসের ইজারার জন্য দর নির্ধারণ করে তার নামে ঘাটটি ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্তও হয়। এজন্য তিনি তার কাছে অতিরিক্ত এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করলে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন। এরই মধ্যে তিনি জানতে পারেন ওই কর্মকর্তা মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে মো. ইমরান হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ঘাটটি জুলাই মাসের জন্য ইজারা দিয়েছেন। তার সঙ্গে ইজারার নির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে কম অর্থে ইমরান নামে ওই ব্যক্তিকে ঘাটটি ইজারা দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। এতে সরকার অনেক টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হওয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান তিনি।
এদিকে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে বন্দর কর্মকর্তা একেএম কায়সারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী স্পট কোটেশনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতাকে একমাসের জন্য তিনি ঘাটটি ইজারা দিয়েছেন। ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ সত্য নয় বলে তিনি দাবি করেন।