বাংলারজমিন
মতলবে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
২ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:১৩ পূর্বাহ্ন
চাঁদপুরের মতলবে গভীর রাতে ফোনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে মাথায় কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে ওয়াসিম (৩২)কে হত্যা করে লাশ গুমের জন্য ওয়াপদা খালে ফেলে দেয়া হয়। মঙ্গলবার মতলব উত্তর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে। গত ২৯শে জুন দিবাগত রাত ১২টার পর ছেঙ্গারচর পৌরসভার নয়াকান্দি শিকিরচর গ্রামের মৃত. সাহেব আলী বেপারীর ছেলে ট্রলিচালক ওয়াসিম (৩২)কে তার চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান বেপারী ওরফে বালু মিজান মুঠোফোনে ডেকে নেয় কথা বলার জন্য। এরপর আর ওয়াসিম ঘরে ফিরেনি। মঙ্গলবার সকালে বালু মিজানের ভাই আজাদ ওয়াসিম ডাকতে আসে। তারপর থেকে ওয়াসিমের খোঁজ শুরু হয়। মিজানের ঘরের পাশে মেঝেতে লেগে থাকা রক্ত পানি দিয়ে মুছতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। আশপাশে খোঁজ করে মিজানের ঘরের পাশে ওয়াপদা লেকের পানিতে লাশ দেখতে পেয়ে স্বজন ও প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে দেখে শনাক্ত করে এটা ওয়াসিমের লাশ। তারপর মতলব উত্তর থানা পুলিশকে অবহিত করলে এসআই আফসার উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল হাজির হয়। এরপর মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দিন মৃধা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজাহান কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের সুরত হাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার জানান, রাতে ওয়াসিম ঘরেই ছিল। রাত ১২টার পর তার ফোনে কল আসে, সে (ওয়াসিম) ঘর থেকে বের হওয়ার সময় জানতে চাইলে বলে মিজান ভাই আমাকে ফোন দিছে, কথা শোনার জন্য। এর কিছুক্ষণ পর ওয়াসিমের নম্বরে ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাই। সারারাতেও তিনি ঘরে ফিরেনি। সকালে আজাদ এসে ওয়াসিমের খোঁজ করে। তারপর মিজানের ঘরের সামনে রক্ত দেখে ওয়াসিমকে খুঁজতে নামি। মিজানের ঘরের পাশেই ওয়াপদা লেকে ওয়াসিমের লাশ খুঁজে পাই। তিনি আরো বলেন, আমার বিয়ের পর থেকেই মিজানদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ দেখছি। তারা আমার স্বামী ওয়াসিমকে কয়েকবার মারধরও করেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওয়াসিমের লাশ উদ্ধার করি। ওয়াসিমকে পরিকল্পিত ভাবে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর ওয়াপদা লেকের পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী ইয়াছমিনকে বাদী করে হত্যা মামলা হয়েছে বলে জানান। ঘাতকদের আটকের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে এই পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।