বাংলারজমিন
খুলনায় কোরবানির পশুর হাটের প্রস্তুতি
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:১৩ পূর্বাহ্ন
করোনা সংকটের মধ্যে খুলনার দু’টি ওয়ার্ড এবং একটি ইউনিয়নে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। এরই মধ্যে কোরবানির পশুর হাট বসানোর প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। ইতিমধ্যে হাট ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। গত সোমবার দ্বিতীয় দফা পর্যন্ত দরপত্রে কেউ সাড়া দেয়নি। আগামী ২রা জুলাই সর্বশেষ দরপত্র আহ্বান করা হবে। এতে কোনো প্রতিষ্ঠান সাড়া না দিলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হাট পরিচালনা করবে কেসিসি। আগামী ২৩ অথবা ২৪শে জুলাই থেকে এই হাট শুরু হতে পারে। কেসিসি’র বাজার সুপার সেলিমুর রহমান জানান, কোরবানির পশুর হাটের প্রস্তুতি নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে খুলনা সিটি মেয়র অ্যাপসের মাধ্যমে সভা করেছেন। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হয়। সেই নির্দেশনার আলোকে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাটে মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। হাটে প্রবেশের আগে সবাইকে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে প্রবেশ করতে হবে। পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয় সংযোজন করা হবে। কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নগরীর জোড়াগেট পাইকারি কাঁচা বাজার চত্বরে পশুর হাট বসায়
কেসিসি। এটাই খুলনার সবচেয়ে বড় পশুর হাট। গতবছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে এই হাটে ৭ হাজার ৮০৫টি পশু বিক্রি হয়েছিল। এর মধ্যে ৬ হাজার ১৪৪টি গরু এবং ১ হাজার ৬৫৬টি ছাগল এবং ৬টি ভেড়া। এ থেকে কেসিসি’র রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২ কোটি ৮ লাখ ৯ হাজার ৯৫৫ টাকা। এই ৮ হাজার কোরবানির পশু কিনতে ঈদের আগের ৫ দিনে লাখো মানুষ হাটে এসেছিল। প্রতিবারই হাটে লক্ষাধিক লোকের আগমন ঘটে।
এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে প্রবেশ করানো হবে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি কেসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ। কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. একেএম আবদুল্লাহ বলেন, এখনও যথেষ্ট সময় রয়েছে। সবাই একসঙ্গে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
কেসিসি। এটাই খুলনার সবচেয়ে বড় পশুর হাট। গতবছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে এই হাটে ৭ হাজার ৮০৫টি পশু বিক্রি হয়েছিল। এর মধ্যে ৬ হাজার ১৪৪টি গরু এবং ১ হাজার ৬৫৬টি ছাগল এবং ৬টি ভেড়া। এ থেকে কেসিসি’র রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২ কোটি ৮ লাখ ৯ হাজার ৯৫৫ টাকা। এই ৮ হাজার কোরবানির পশু কিনতে ঈদের আগের ৫ দিনে লাখো মানুষ হাটে এসেছিল। প্রতিবারই হাটে লক্ষাধিক লোকের আগমন ঘটে।
এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে প্রবেশ করানো হবে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি কেসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ। কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. একেএম আবদুল্লাহ বলেন, এখনও যথেষ্ট সময় রয়েছে। সবাই একসঙ্গে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।