বাংলারজমিন
পাটকল শ্রমিকদের কর্মসূচি স্থগিত
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:০৯ পূর্বাহ্ন
আন্দোলনরত পাটকল শ্রমিকদের কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ সংক্রান্ত কোনো চিঠি এখনো মিলে না আসায় খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের শ্রমিকরা চলমান অবস্থান কর্মসূচি ও গতকাল দুপুর দুইটা থেকে অনুষ্ঠিতব্য আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ মঙ্গলবার রাতে এসব কর্মসূচি স্থগিত করে। পরে পরিষদের আহ্বায়ক সরদার আব্দুল হামিদ কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা সাংবাদিকদের জানান। ওই রাতে প্লাটিনাম গেটের অবস্থান কর্মসূচি থেকেও মিল সিবিএ’র সভাপতি সাহানা শারমিন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণার পর শ্রমিকরা ঘরে ফিরে গেলেও অবস্থান কর্মসূচি থেকে বলা হয়, যখনই মিল বন্ধের চিঠি আসবে তখন থেকেই আবারো কর্মসূচি শুরু হবে। অনুরূপভাবে অন্য আটটি পাটকলের শ্রমিক নেতারাও কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। তারা জানান, বুধবার থেকে যথারীতি মিলের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে। সে অনুযায়ী বুধবার সকল মিলের শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন।
এর আগে রোববার দুপুরে নগরীর খালিশপুর জুট ওয়ার্কার্স ইনস্টিটিউিট কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল রক্ষা সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সরদার আব্দুল হামিদ। কর্মসূচির মধ্যে ছিল সোমবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মিলগেটে সন্তানদের নিয়ে শ্রমিকদের অবস্থান, মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের মিলগেটে অবস্থান এবং এরপরও দাবি না মানলে বুধবার দুপুর ২টা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরণ অনশন। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গত দু’দিনের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হয়। মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে প্রতিটি মিলগেটে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। কিন্তু পাট মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০শে জুন অর্থাৎ মঙ্গলবার কোনো নোটিশ না দেয়ায় রাতে কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা শারমিন বলেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে খুলনায় মঙ্গলবার বৈঠকের পর রাতে কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এরপরই শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন। মিল রক্ষার স্বার্থে শ্রমিকরা আগামীতে প্রয়োজন হলে আরও কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্লাটিনাম জুট মিলের স্থায়ী শ্রমিক ইউনুস তালুকদার বলেন, যে দেশে সরকার লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে ফ্রিতে লালন-পালন করেন। বসিয়ে বসিয়ে খাওয়া-দাওয়া দিতে পারেন, সে দেশের কয়েক হাজার শ্রমিক বাঁচানোর পরিবর্তে পাটকল বন্ধ করবে- এটা হতে পারে না। বালিশ কেলেঙ্কারিতে কোটি টাকার দুর্নীতি হয়, চিকিৎসকদের খাবার বিল হয় কোটি কোটি টাকা। সে দিকে আমলাদের কোনো খেয়াল নেই। আমলাদের শকুন দৃষ্টি পড়েছে অসহায় খেটে খাওয়া সাধারণ পাটকল শ্রমিকদের ওপর। এটা হতে পারে না।
এর আগে রোববার দুপুরে নগরীর খালিশপুর জুট ওয়ার্কার্স ইনস্টিটিউিট কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল রক্ষা সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সরদার আব্দুল হামিদ। কর্মসূচির মধ্যে ছিল সোমবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মিলগেটে সন্তানদের নিয়ে শ্রমিকদের অবস্থান, মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের মিলগেটে অবস্থান এবং এরপরও দাবি না মানলে বুধবার দুপুর ২টা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরণ অনশন। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গত দু’দিনের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হয়। মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে প্রতিটি মিলগেটে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। কিন্তু পাট মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০শে জুন অর্থাৎ মঙ্গলবার কোনো নোটিশ না দেয়ায় রাতে কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা শারমিন বলেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে খুলনায় মঙ্গলবার বৈঠকের পর রাতে কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এরপরই শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন। মিল রক্ষার স্বার্থে শ্রমিকরা আগামীতে প্রয়োজন হলে আরও কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্লাটিনাম জুট মিলের স্থায়ী শ্রমিক ইউনুস তালুকদার বলেন, যে দেশে সরকার লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে ফ্রিতে লালন-পালন করেন। বসিয়ে বসিয়ে খাওয়া-দাওয়া দিতে পারেন, সে দেশের কয়েক হাজার শ্রমিক বাঁচানোর পরিবর্তে পাটকল বন্ধ করবে- এটা হতে পারে না। বালিশ কেলেঙ্কারিতে কোটি টাকার দুর্নীতি হয়, চিকিৎসকদের খাবার বিল হয় কোটি কোটি টাকা। সে দিকে আমলাদের কোনো খেয়াল নেই। আমলাদের শকুন দৃষ্টি পড়েছে অসহায় খেটে খাওয়া সাধারণ পাটকল শ্রমিকদের ওপর। এটা হতে পারে না।