বাংলারজমিন
এখন অলস সময় পার করছে ওরা
এস আলম তুহিন, মাগুরা থেকে
২ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৭:৪৬ পূর্বাহ্ন
করোনা সংক্রমণের কারণে মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত মাগুরা সদরের বরই পালপাড়ার ৪০ পরিবার বিপাকে পড়েছে। এ পেশার সঙ্গে জড়িত কুমোরেরা এখন অলস সময় পার করছেন। নেই কোনো ব্যস্ততা, কাজের প্রতি নেই কোনো আগ্রহ। প্রতি বছর নববর্ষ, বৈশাখী মেলা, পূজা উৎসব ও চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন স্থানে মেলা বসে। কিন্তু এবার হয়নি মেলা, হয়নি পূজা উৎসব। করোনা সব তছনছ করে দিয়েছে। মৃৎশিল্পীদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
সরজমিন মাগুরা সদরের বরই পালপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, মৃৎশিল্পীদের নেই ব্যস্ততা। কাজ না থাকায় অনেকে বেকার অবস্থায় বসে আছে। করোনার জেরে বিপর্যস্ত হয়েছে গোটা জনজীবন। পালপাড়ার কুমোরেরা অলস হয়ে বসে আছে। বাইরে থেকে মহাজনরা পালপাড়ায় এসে জিনিসপত্রের বায়না দিয়ে যায়। কিন্তু এবার মহামারি করোনার কারণে বাইরে থেকে পাইকারি ব্যাপারীরাও আসতে পারছে না। পালপাড়ায় প্রতি পরিবারে পোড়া মাটির তৈরি নানা ধরনের জিনিসপত্র অলস অবস্থায় পড়ে আছে। মাটির জিনিসপত্র বিক্রি না হওয়াতে পালেরা নতুন করে আর কোনো মাটির তৈরি জিনিসপত্র বানাচ্ছে না।
মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত পালপাড়ার আনন্দ পাল বলেন, আমি দু’শ বছর ধরে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। নানা উৎসবকে ঘিরে টিকে রয়েছে মৃৎশিল্পীরা। পহেলা বৈশাখ, নববর্ষ, পূজা-পার্বনকে ঘিরে পালপাড়া মুখরিত থাকে। কিন্তু করোনা মহামারিতে মৃৎশিল্পীরা রয়েছে বিপাকে। করোনা শুরু হওয়ার পর থেকেই আমাদের বেচা-বিক্রি কমে গেছে। মাটির তৈরি অনেক জিনিসপত্র আমাদের ঘরেই পড়ে আছে। তাই নতুন করে আর কোনো জিনিসপত্র আমরা তৈরি করছি না। তৈরিকৃত চাঁড়ি, ঢাকুন, মালসা, কয়েল দানিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিজ দোকানেও তেমন বিক্রি হচ্ছে না। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
পালপাড়ার অপূর্ব পাল, অতুল পালসহ অনেকে জানান, জন্মসূত্র ধরে আমরা এ ব্যবসা করে আসছি। নানা বাধা-বিপত্তি, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে আমরা জিনিসপত্র বানাই। এটেল মাটি কিনে এনে আমাদের তৈজসপত্র বানাতে হয়। সঙ্গে বালিও লাগে। করোনার আগে কিছু জিনিসপত্র বানিয়েছিলাম। সেগুলো পোড়ানোও হয়েছে। কিন্তু বিক্রি না হওয়াতে বিপাকে আছি। আমাদের পালপাড়া এসে পাইকারি মহাজনরা মাল কিনে নিয়ে যায়। কিন্তু করোনার কারণে তারা এবার আসছে না। ভাইরাসের কারণে জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় জীবন নিয়েই মানুষ আতঙ্কে রয়েছে বাসন-কোসন কিনবে কে? তাছাড়া পহেলা বৈশাখ মেলাও এবার হয়নি। ফলে আর্থিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতিতে পড়েছি আমরা। শহরে আমাদের নিজ দোকানেও বেচা-বিক্রি কম থাকায় সংসার চলছে না। সরকার বা অন্য কোনো সংস্থা থেকে এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো সাহায্য সহযোগিতা পায়নি। পায়নি কোনো অনুদান।
সরজমিন মাগুরা সদরের বরই পালপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, মৃৎশিল্পীদের নেই ব্যস্ততা। কাজ না থাকায় অনেকে বেকার অবস্থায় বসে আছে। করোনার জেরে বিপর্যস্ত হয়েছে গোটা জনজীবন। পালপাড়ার কুমোরেরা অলস হয়ে বসে আছে। বাইরে থেকে মহাজনরা পালপাড়ায় এসে জিনিসপত্রের বায়না দিয়ে যায়। কিন্তু এবার মহামারি করোনার কারণে বাইরে থেকে পাইকারি ব্যাপারীরাও আসতে পারছে না। পালপাড়ায় প্রতি পরিবারে পোড়া মাটির তৈরি নানা ধরনের জিনিসপত্র অলস অবস্থায় পড়ে আছে। মাটির জিনিসপত্র বিক্রি না হওয়াতে পালেরা নতুন করে আর কোনো মাটির তৈরি জিনিসপত্র বানাচ্ছে না।
মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত পালপাড়ার আনন্দ পাল বলেন, আমি দু’শ বছর ধরে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। নানা উৎসবকে ঘিরে টিকে রয়েছে মৃৎশিল্পীরা। পহেলা বৈশাখ, নববর্ষ, পূজা-পার্বনকে ঘিরে পালপাড়া মুখরিত থাকে। কিন্তু করোনা মহামারিতে মৃৎশিল্পীরা রয়েছে বিপাকে। করোনা শুরু হওয়ার পর থেকেই আমাদের বেচা-বিক্রি কমে গেছে। মাটির তৈরি অনেক জিনিসপত্র আমাদের ঘরেই পড়ে আছে। তাই নতুন করে আর কোনো জিনিসপত্র আমরা তৈরি করছি না। তৈরিকৃত চাঁড়ি, ঢাকুন, মালসা, কয়েল দানিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিজ দোকানেও তেমন বিক্রি হচ্ছে না। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
পালপাড়ার অপূর্ব পাল, অতুল পালসহ অনেকে জানান, জন্মসূত্র ধরে আমরা এ ব্যবসা করে আসছি। নানা বাধা-বিপত্তি, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে আমরা জিনিসপত্র বানাই। এটেল মাটি কিনে এনে আমাদের তৈজসপত্র বানাতে হয়। সঙ্গে বালিও লাগে। করোনার আগে কিছু জিনিসপত্র বানিয়েছিলাম। সেগুলো পোড়ানোও হয়েছে। কিন্তু বিক্রি না হওয়াতে বিপাকে আছি। আমাদের পালপাড়া এসে পাইকারি মহাজনরা মাল কিনে নিয়ে যায়। কিন্তু করোনার কারণে তারা এবার আসছে না। ভাইরাসের কারণে জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় জীবন নিয়েই মানুষ আতঙ্কে রয়েছে বাসন-কোসন কিনবে কে? তাছাড়া পহেলা বৈশাখ মেলাও এবার হয়নি। ফলে আর্থিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতিতে পড়েছি আমরা। শহরে আমাদের নিজ দোকানেও বেচা-বিক্রি কম থাকায় সংসার চলছে না। সরকার বা অন্য কোনো সংস্থা থেকে এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো সাহায্য সহযোগিতা পায়নি। পায়নি কোনো অনুদান।