বাংলারজমিন

সৈয়দপুরে রেললাইনের উপর দোকান

এম এ করিম, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

২ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৭:৪৫ পূর্বাহ্ন

নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেললাইনের ওপর বসছে দোকানপাট। আর বিকাল ও সন্ধ্যায় বসছে আড্ডাবাজি। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যদিও এর আগে এসব এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে।
খুলনা-চিলাহাটিগামী রেলপথ সৈয়দপুর শহরের ভেতর দিয়ে চলে গেছে। শহরের ভেতর প্রায় ৫ কিলোমিটার রেললাইন রয়েছে। এর মধ্যে হাতিখানা, ঘুমটি, গোলাহাট, মোখলেছের মিলের পেছনে বিকাল ও সন্ধ্যা হলেই লোকজনের বসে হাওয়া খাওয়া ও আড্ডাবাজির আসর বসে। দুটি ঘুমটিতে রেললাইনের ওপর নিয়মিত দোকানপাট বসছে।
ট্রেন কাছাকাছি এলে তাড়াহুড়ো করে লোকজন ও দোকানপাট উঠে যায়। এতে করে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে এসব এলাকায় ৩ জন ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তবুও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না। এছাড়া বেরিয়ার ফেলানো ছাড়াই ট্রেন চলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। রেললাইন ঘেঁষে দোকানপাট গড়ে ওঠায় ট্রেন, রেললাইনের উপরে বাঁশের হাট হওয়ায় ও অবাধে গরু-ছাগল চড়ানোর কারণে এ পথে চলাচলকারী ১২টি ট্রেন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এছাড়া দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানায় মেরামতের জন্য ওয়াগন ও কোচ আনা-নেয়া করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রেললাইনের উভয় পার্শ্বে কমপক্ষে ২০ ফুট করে জায়গা ফাঁকা রাখার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেলওয়ের উভয় পার্শ্বে পর্যাপ্ত জায়গা রেখে সীমানা নির্ধারণ করে রেখেছে। কিন্তু এসব জায়গা চলে যাচ্ছে অবৈধ দখলদারদের কবলে।
এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শওকত আলী জানান, এরই মধ্যে রেললাইনের ধারে বেশকিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই রেললাইনের ওপর দোকানপাট বসানো ও জটলা বন্ধ করা হবে।
রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান জানান, ঘিঞ্জি শহর সৈয়দপুর শহরের ভেতর দিয়ে রেললাইন চলে গেছে। মানুষজনকে শৃঙ্খলায় আনার জন্য কাজ করছে রেলওয়ে পুলিশ। রেললাইন ঘেঁষে গড়ে ওঠা স্থাপনা ও রেললাইনের উপরে কোনো দোকানপাট থাকবে না।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status