বাংলারজমিন
মির্জাপুর মহাসড়কের পিচ ভেদ করে বের হচ্ছে গ্যাস
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, ৭:৫১ পূর্বাহ্ন
দিন রাত ২৪ ঘণ্টা মাটি ও মহাসড়কের পিচ ভেদ করে বের হচ্ছে গ্যাসের বুদবুদ। পাশ দিয়েই চলছে বাস-ট্রাক। হাজার হাজার মানুষের চলাচল। বসেছে কাঁচাবাজারও। এক ফুলকি আগুনের স্পর্শে যে কোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের অগ্নি বিপর্যয়। বলছিলাম ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের হাটুভাঙ্গা থেকে গোড়াই ক্যাডেট কলেজ পর্যন্ত প্রায় আধাকিলোমিটার মহাসড়ক ও মির্জাপুর পুরাতন বাসস্ট্যাড এলাকার পুরাতন সড়ক লাগুয়া তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের গ্যাস লাইনের লিকেজের কথা। সরজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কটির দক্ষিণ পাশে গ্যাস লিক হচ্ছে। মির্জাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায়ও দেখা গেছে একই চিত্র। গোড়াই এলাকার স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ৩-৪ বছর যাবৎ এইভাবে গ্যাস লিক হচ্ছে। যখন বৃষ্টি হয় তখন এটি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। সর্বক্ষণ বের হওয়া এই গ্যাস মানব দেহের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর। বছরজুড়ে গ্যাসের এই লিকেজ শুধু অগ্নিঝুঁকি নয় বরং বিশাল পরিমানের গ্যাস অপচয়। গোড়াই এলাকার স্থানীয় ফার্মাসিস্ট রাশেদুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কের এই অংশে গ্যাসের পাইপ লাগানোর পর থেকেই এই সমস্যা শুরু হয়েছে যা এখনো চলছে। শুনেছি লাইনটি পরিবর্তন করা হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হয়ে গেলেও তা আর হয়নি। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি গ্যাস লাইনের লিকেজগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করার দাবি জানান তিনি। ফুটপাতের ফল ব্যবসায়ী মনির বলেন, আমরা সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকি। আমরা ব্যবসায়ীরা কয়েকবার ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টা জানাইছি কিন্তু কেউ কিছু করে নাই।
এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড টাঙ্গাইল-এর ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুরুজ আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই, এ ব্যাপারে আমাদের কেউ কখনো কিছু বলেনি। বিষয়টি অতিদ্রুত যাচাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’ উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস অংশে লিক হওয়া গ্যাসে সিগারেটের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই আগুন পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ওই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসকে বেশ বেগ পেতে হয়।
এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড টাঙ্গাইল-এর ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুরুজ আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই, এ ব্যাপারে আমাদের কেউ কখনো কিছু বলেনি। বিষয়টি অতিদ্রুত যাচাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’ উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস অংশে লিক হওয়া গ্যাসে সিগারেটের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই আগুন পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ওই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসকে বেশ বেগ পেতে হয়।