এক্সক্লুসিভ

পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি

তলিয়ে গেছে জিও ব্যাগ হুমকির মুখে ফকিরেরহাট

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

২৯ জুন ২০২০, সোমবার, ৮:১১ পূর্বাহ্ন

বাড়ছে পানি, ভাঙনে ব্রহ্মপুত্র। ভাঙনে নদীর পরিধি বাড়লেও কমছে চিলমারীর পরিধি। ভাঙনে রোধে প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। হাসি ফোটে চিলমারীবাসীর। কিন্তু সেই হাসি আবারো কান্নায় রূপ নিতে শুরু করেছে তাদের। ভাঙন রোধে ডানতীর রক্ষা প্রকল্প এর কাজ পানি উন্নয়ন বোর্ড শুরু করলেও কাজের ধীরগতি আর গাফলতি ও অনিয়মের আশ্রয় নেয়ার হুমকির মুখে ফকিরেরহাটসহ উপজেলা সদর। পানিতে ফেলানোর আগেই কয়েক হাজার জিও ব্যাগ তলিয়ে গেলেও নজর ছিলনা কর্তৃপক্ষের। জানা গেছে, চিলমারীকে রক্ষায় ডানতীর রক্ষা প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এরই ধারবাহিকতায় উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট ও রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ এলাকায় কাজ শুরু করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। কাজ শুরু করলেও শুরুতে অনিয়মের আশ্রয় নেয়াসহ কাজে ধীরগতি থাকায় নদীর পানি বৃদ্ধি সাথে সাথে আবারো ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। সরজমিন উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় জিও ব্যাগ সময়মতো না ফেলানোর ফলে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এলাকাবাসী জানায়, সেখানে টিটিএসএল-এলএ-এসআর (জয়েন্টভেঞ্চার) ও মের্সাস ভাওয়াল
কান্সট্রাকশন নামে দুটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করছেন। নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করলেও তারা কোন প্রকার জিও ব্যাগ না ফেলায় হুমকির মুখে ফকিরেরহাট, কয়েকটি স্কুল, মাদ্রাসা, বেশ কয়েকটি গ্রামসহ উপজেলা সদর। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে টিটিএসএল-এলএ-এসআর(জয়েন্টভেঞ্চার) ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি পানি বৃদ্ধির আগে নদীতে জেগে উঠা চরে কয়েক হাজার জিও ব্যাগ বালি ভর্তি করলেও অজ্ঞাত কারণে তা ভাঙন এলাকায় না ফেলানোর জন্য নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে মন্তব্য করেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী আরো জানান, নদীতে ফেলানোর আগে গননা হওয়া জিও ব্যাগ গুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ার এলাকার ক্ষতি হলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের হয়তো লাভ হয়েছে কারন তাদের আর ফেলানোর টাকা লাগবে না। আর এ জন্য এলাকাবাসী পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও দায়ী করে বলেন সময় মতো সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয়ায় পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কোন ব্যক্তিকে এলাকায় পাওয়া যায়নি এবং যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা ইতিমধ্যে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি এবং যেসব জিও ব্যাগ তলিয়ে গেছে পানি শুকানোর পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status