এক্সক্লুসিভ
স্মার্টফোনে স্ত্রী’র আপত্তিকর ছবি দেখে প্রবাসীকে হত্যা
বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
২৫ জুন ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৭:৩১ পূর্বাহ্ন
পরকীয়ার সম্পর্ককে আরো গাঢ় করতে প্রেমিকা রোজিনার ছোট বোনকে বিয়ে করার পরিকল্পনা অনুযায়ী পাত্রী দেখতে এসেছিলেন প্রবাস ফেরত লোকমান মিয়া। কিন্তু লোকমানের স্মার্টফোন ঘেঁটে পরকীয়া সম্পর্ক থাকার বিষয়টি জেনে ফেলেন রোজিনার স্বামী খোকন মিয়া। এরপর প্রতিশোধ নিতে রোজিনার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে লোকমানকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে ফেলেন। হত্যার ১০ দিন পর গত সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কালাছড়া গ্রাম থেকে লোকমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত লোকমান জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একই উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের লেবদ আলীর ছেলে খোকন মিয়াকে আটক করে। পরে খোকন বিষয়টি স্বীকার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেয়ায় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়। ওসি জানান, খোকনের স্ত্রী রোজিনা সৌদি আরবে থাকতেন। সেই সুবাদে ওমানে থাকা লোকমানের সঙ্গে তার মুঠোফোনে পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সমপ্রতি লোকমান দেশে এলে রোজিনা তার ছোট বোন শিউলীকে বিয়ে করতে পরামর্শ দেন। এই নিয়ে রোজিনার সঙ্গে আলোচনা করে গত ১০ই জুন লোকমান নাসিরনগর থেকে বিজয়নগরের কালাছাড়া গ্রামে রোজিনার বাবার বাড়িতে আসেন। সেখানে যাওয়ার পর রোজিনার সঙ্গে লোকমানের ফোনালাপে সন্দেহ জাগে খোকনের মনে। রাতে খোকন ও লোকমানকে একই বিছানায় থাকতে দেয়া হয়।
এ সময় লোকমানের স্মার্টফোন চার্জরত অবস্থায় থাকার সুযোগে খোকন ফোনটি হাতে নিয়ে রোজিনার সঙ্গে তার আলাপচারিতার অডিও ও ভিডিও রেকর্ডসহ অনেক আপত্তিকর ভিডিও দেখতে পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লোকমানকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে খোকন। জিজ্ঞাসাবাদে খোকন জানায়, ফোনে আপত্তিকর সবকিছু দেখার পর সে বিষয়টি তার শ্যালক শুক্কুর আলীকে জানান এবং সেই রাতেই লোকমানকে কথা বলার জন্য বাইরে ডেকে এনে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে লোকমান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে শুক্কুর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে বিষয়টি রোজিনার বাবা আব্দুল কাইয়ুমকে জানানো হলে তিনি লাশ মাটিতে পুঁতে ফেলতে বলেন। এদিকে লোকমানকে খুঁজে না পেয়ে তার বাবা নুরুল ইসলাম ১৪ই জুন নাসিরনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর ২০শে জুন পরিবারের লোকজন তার সন্ধানে বিজয়নগরে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসেন। লোকমান কালাছড়ায় খোকনের শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার আগে সেখানকার এক আত্মীয়কে জানানোর কারণে ওই ব্যক্তি খোকনের কাছে লোকমান এসেছিল কি না জানতে চায়। এরপর খোকন ওই আত্মীয়কে জানায়, লোকমান তার শ্যালিকার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসে বাড়ি চলে যায়। বিষয়টি বিজয়নগর থানা পুলিশকে জানানোর পর পুলিশ সন্দেহাতীতভাবে খোকনকে আটক করলে সে পুরো ঘটনা স্বীকার করে। ওসি আতিকুর বলেন, খোকনের দেয়া তথ্যানুযায়ী পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লাঠি ও ওড়না উদ্ধার করে।
এ সময় লোকমানের স্মার্টফোন চার্জরত অবস্থায় থাকার সুযোগে খোকন ফোনটি হাতে নিয়ে রোজিনার সঙ্গে তার আলাপচারিতার অডিও ও ভিডিও রেকর্ডসহ অনেক আপত্তিকর ভিডিও দেখতে পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লোকমানকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে খোকন। জিজ্ঞাসাবাদে খোকন জানায়, ফোনে আপত্তিকর সবকিছু দেখার পর সে বিষয়টি তার শ্যালক শুক্কুর আলীকে জানান এবং সেই রাতেই লোকমানকে কথা বলার জন্য বাইরে ডেকে এনে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে লোকমান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে শুক্কুর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে বিষয়টি রোজিনার বাবা আব্দুল কাইয়ুমকে জানানো হলে তিনি লাশ মাটিতে পুঁতে ফেলতে বলেন। এদিকে লোকমানকে খুঁজে না পেয়ে তার বাবা নুরুল ইসলাম ১৪ই জুন নাসিরনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর ২০শে জুন পরিবারের লোকজন তার সন্ধানে বিজয়নগরে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসেন। লোকমান কালাছড়ায় খোকনের শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার আগে সেখানকার এক আত্মীয়কে জানানোর কারণে ওই ব্যক্তি খোকনের কাছে লোকমান এসেছিল কি না জানতে চায়। এরপর খোকন ওই আত্মীয়কে জানায়, লোকমান তার শ্যালিকার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসে বাড়ি চলে যায়। বিষয়টি বিজয়নগর থানা পুলিশকে জানানোর পর পুলিশ সন্দেহাতীতভাবে খোকনকে আটক করলে সে পুরো ঘটনা স্বীকার করে। ওসি আতিকুর বলেন, খোকনের দেয়া তথ্যানুযায়ী পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লাঠি ও ওড়না উদ্ধার করে।