বাংলারজমিন
রাতভর বিদ্যুৎবিহীন সরাইল
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
৬ জুন ২০২০, শনিবার, ৭:৪৩ পূর্বাহ্ন
গত বৃহস্পতিবার রাতভর বিদ্যুৎবিহীন ছিল গোটা সরাইল। এমনিতে জ্যৈষ্ঠ মাসের ভ্যাপ্সা গরমে অতিষ্ঠ ছিল জনজীবন। তারপর লাগাতার দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীনতায় চরম দুর্ভোগ পোহায় স্থানীয় গ্রাহকরা। সরাইল বিদ্যুতের এ অবস্থা নতুন কিছু নয়। বৃষ্টির ফোঁটা, আকাশ কালো ও হালকা বাতাসে ভেসে লাপাত্তা হয়ে যাওয়া সরাইল বিদ্যুতের পুরাতন স্বভাব। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরই গাঁছাড়া ভাব। বিলের বেলায় ষোলআনা। আর সংযোগে অতিরিক্ত টাকা কামাইয়ের প্রতিযোগিতায় কোনো ত্রুটি নেই। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানায়, সমগ্র দেশ যখন ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়ায় দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে পিছিয়ে যাচ্ছে সরাইল পিডিবি’র সেবা। নিয়মিত বিল পরিশোধ করেও স্বস্তি পাচ্ছে না এখানকার গ্রাহকরা। অফিসের চাকচিক্য আকাশচুম্বি হলেও সেবার মান নিম্নমুখী। হালকা বাতাস আর বৃষ্টির ফোঁটা এখানের বিদ্যুতের জম। করোনাভাইরাসের প্রভাবে লকডাউনের কারণে বিদ্যুতের ব্যবহার কমে গেছে অনেক। তারপরও সরাইলে বিদ্যুতের এমন তেলেসমাতি কেন? এ বিষয়ে আলোচনা উঠেছে সরাইল উপজেলার গত রোববারের মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায়। গত বৃহস্পতিবার দিনভর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। ঝড় তুফান তো নয়ই সরাইলের কোথাও বাতাস বইছে এমনটিও নয়। তারপরও রাত ১১টার দিকে হঠাৎ করে চলে যায় বিদ্যুৎ। রাতভর আর আসেনি। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে জনজীবন। রোগীদের সীমাহীন কষ্ট। আর দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংস থেকে শুরু করে সকল কাঁচা মালামাল পচে যায়। কারণ জানতে ফোন করলেও পাওয়া যায়নি পিডিবি’র কাউকে। আর রিসিভ করলেও কমন উক্তি বড় স্যারকে ফোন দেন। সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) নওয়াজ আহমেদ খান বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে কুট্টাপাড়া সাবস্টেশনের প্যানেল বোর্ডের ব্রেকার পুঁড়ে গিয়েছিল। রাত ৩টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছিল। এখানকার লাইনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো কাজ হয়নি। মান্ধাতার আমলের জরাজীর্ণ খোলা ক্যাবলের লাইন। তাই সামান্য বৃষ্টি ও বাতাসে সমস্যা হয়। আন্ডার গ্রাউন্ড লাইন হলে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। প্রজেক্ট আসছে। কাজ হবে।