বাংলারজমিন
পাবনায় করোনা উপসর্গ নিয়ে দু’জনের মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা থেকে
৪ জুন ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৭:৩২ পূর্বাহ্ন
পাবনায় করোনার উপসর্গ নিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের একজনের মৃত্যু হয়েছে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় এবং অপরজনকে বাড়ি থেকে হাসপাতালে নেয়ার পথে। তারা জেলার সুজানগর ও চাটমোহর উপজেলার বাসিন্দা। ভোররাতে তারা মারা যান। এদিকে জেলায় বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। একদিনে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ১৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল হোসেন জানান, সুজানগর উপজেলা থেকে সুমন হোসেন (৬৫) নামের এক ব্যক্তি গত ১লা জুন সর্দি, জ্বর ও কাশির উপসর্গ নিয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা উপসর্গ থাকায় তাকে সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই তিনি মারা গেলেন। অপরদিকে চাটমোহর উপজেলায় আটলংকা নতুনপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম (৬৫) নামে এক ব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তিনি ঠাণ্ডাজনিত জ্বর ও শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছিলেন। গত রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুয়াইবুর রহমান জানান, পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন তার অ্যাজমা ছিল। তারপরও সন্দেহজনক হিসেবে মৃত ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কি না। চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন জানান, বুধবার সকাল দশটায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ৩০ জনের মতো মানুষ গ্রামে জানাজা শেষে তাকে দাফন করেছেন। তার পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সবার নমুনাও সংগ্রহ করা হবে। পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনায় সর্বোচ্চ ১৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। পাবনা থেকে পাঠানো নমুনার মধ্যে মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী মেডিকেলের ল্যাব থেকে ৬৬ টি নমুনার ফলাফল আসে। এর মধ্যে একজন ব্যবসায়ী ও দু’জন সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ ১৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর মধ্যে ১০ জন পাবনা সদর উপজেলায় এবং সুজানগরের তিনজন রয়েছেন। এ নিয়ে পাবনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৯ জনে। এদিকে জেলায় সুস্থ হয়েছেন আটজন।