বিনোদন
রঙিন ‘পথের পাঁচালী’ নিয়ে বিতর্ক
বিনোদন ডেস্ক
৪ জুন ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৬:৫০ পূর্বাহ্ন
কয়েক বছর আগে ভারতের ‘মুঘল-ই আজম’ ছবির রঙিন রূপান্তরের দেখা মিলেছিল। এবার ওই এক কলাকৌশলে ‘পথের পাঁচালী’র একাংশ হাজির হয়েছে রঙিন হয়ে। তা নিয়েই সোস্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়। কে আসিফ পরিচালিত ‘মুঘল ই আজম’ আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে সাদা কালো ছবি হিসেবে মুক্তি পেয়ে ঝড় তুলেছিল সিনেদুনিয়ায়। এই ধরনের বড় আঙ্গিকে হিন্দি ছবির কাজ হয়নি তার আগে। কয়েক বছর আগে আবার ডিজিটাল ইন্টারমিডিয়েট ও কালার গ্রেডিংয়ের সাহায্যে এই ছবি সম্পূর্ণ রঙিন হয়ে বাজারে আসে। এখন টেলিভিশনে এই ছবির রঙিন ভার্সনটিই সমপ্রচারিত হয়। এবার নেট দুনিয়ায় দেখা গেল সত্যজিৎ রায়ের দুনিয়া কাঁপানো ছবির একাংশের রঙিন রূপান্তর। মুহূর্তেই তা ভাইরাল। ভারতীয় ছবিকে বিশ্বের দরবারে নতুন করে হাজির করা ‘পথের পাঁচালী’র এহেন রূপান্তরকে নিয়ে ভাগ হয়ে গেছেন নেটিজেনরা। কলকাতার এক চিত্রপরিচালক তথা চিত্রগ্রাহক সোস্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে ‘পথের পাঁচালী’র চিত্রগ্রাহক সুব্রত মিত্র নিজেই যথেষ্ট রংবাজ ছিলেন, তাকে
নতুন করে রাঙিয়ে তোলার দরকার নেই। আরেক চিত্রপরিচালকের মতে টেকনোলজির উন্নতিকে পরখ করতে এই ধরণের ক্লাসিক ছবিকেই বেছে নেয়া উচিত। কেউ কেউ হলিউডের টার্নার পিকচার্সের উদাহরণ টেনে বলছেন যে অরসন ওয়েলসের ‘সিটিজেন কেন’ ছবিটির ওপরও এই ধরনের পরীক্ষা চালানো হয়েছে। নানা মুনির নানা মতের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসছে কতগুলো আশঙ্কার কথা। প্রথমত সিনেমা একটা সময়কে তুলে ধরে। সে সময় প্রাপ্ত টেকনোলজির কথা মাথায় রেখেই চিত্রগ্রাহক তার সৃজনশীলতা ও মুন্সিয়ানাকে হাজির করেন। সাদাকালো ছবিতে যা আমরা সাদা দেখি তা আসলে কিছুটা ধূসর মাত্র না হলে ছবি বার্ন করে যেতে পারে। সেই সিনেমাকে আচমকা রঙিন করে দিলে এই দক্ষতার স্বীকৃতি যাবে হারিয়ে। দ্বিতীয়ত ক্লাসিক সাহিত্যকে নিয়ে পরবর্তীকালে নানা থিসিস অ্যান্টি থিসিস লেখা হলেও, মূল সাহিত্যটি বদলানো সম্ভব হয় না। কিন্তু এক্ষেত্রে সিনেমাটির চরিত্রই যাচ্ছে হারিয়ে। সাদা কালো থেকে রঙিন হয়ে সে বাতিল করে দিচ্ছে আসল ছবিটির পরিচালক, শিল্প নির্দেশক, চিত্রগ্রাহক ও আরো অনেকের সৃজনশীলতাকেই। তৃতীয়ত টেলিভিশনে এখন যেমন রঙিন ‘মুঘল ই আজম’ই দেখানো হয় যার ফলে সাদাকালো ওই ছবিটি বোধহয় কালের গর্ভে বিলীনই হয়ে গেল। আশঙ্কা এটাই যে ‘পথের পাঁচালীর’ও না সেই পরিণতি হয়।
নতুন করে রাঙিয়ে তোলার দরকার নেই। আরেক চিত্রপরিচালকের মতে টেকনোলজির উন্নতিকে পরখ করতে এই ধরণের ক্লাসিক ছবিকেই বেছে নেয়া উচিত। কেউ কেউ হলিউডের টার্নার পিকচার্সের উদাহরণ টেনে বলছেন যে অরসন ওয়েলসের ‘সিটিজেন কেন’ ছবিটির ওপরও এই ধরনের পরীক্ষা চালানো হয়েছে। নানা মুনির নানা মতের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসছে কতগুলো আশঙ্কার কথা। প্রথমত সিনেমা একটা সময়কে তুলে ধরে। সে সময় প্রাপ্ত টেকনোলজির কথা মাথায় রেখেই চিত্রগ্রাহক তার সৃজনশীলতা ও মুন্সিয়ানাকে হাজির করেন। সাদাকালো ছবিতে যা আমরা সাদা দেখি তা আসলে কিছুটা ধূসর মাত্র না হলে ছবি বার্ন করে যেতে পারে। সেই সিনেমাকে আচমকা রঙিন করে দিলে এই দক্ষতার স্বীকৃতি যাবে হারিয়ে। দ্বিতীয়ত ক্লাসিক সাহিত্যকে নিয়ে পরবর্তীকালে নানা থিসিস অ্যান্টি থিসিস লেখা হলেও, মূল সাহিত্যটি বদলানো সম্ভব হয় না। কিন্তু এক্ষেত্রে সিনেমাটির চরিত্রই যাচ্ছে হারিয়ে। সাদা কালো থেকে রঙিন হয়ে সে বাতিল করে দিচ্ছে আসল ছবিটির পরিচালক, শিল্প নির্দেশক, চিত্রগ্রাহক ও আরো অনেকের সৃজনশীলতাকেই। তৃতীয়ত টেলিভিশনে এখন যেমন রঙিন ‘মুঘল ই আজম’ই দেখানো হয় যার ফলে সাদাকালো ওই ছবিটি বোধহয় কালের গর্ভে বিলীনই হয়ে গেল। আশঙ্কা এটাই যে ‘পথের পাঁচালীর’ও না সেই পরিণতি হয়।