বাংলারজমিন

শেবাচিম হাসপাতালে ৭ দিনে কোন রোগি সুস্থ্ হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে

৩ জুন ২০২০, বুধবার, ৪:৫৩ পূর্বাহ্ন

শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মাত্র সাতদিনের আক্রান্ত ও সুস্থ্যতার পরিসংখ্যানে রীতিমত চমকে উঠতে হয়। জেলাপ্রশাসনের তথ্য মতে এই সাতদিনে করোনা পজেটিভের সংখ্যা ২৩৭। আর ৭ দিনে সুস্থ্য হয়ে কোন রোগি বাড়ি ফিরতে পারেনি। পক্ষান্তরে করোনা উপসর্গ নিয়ে এ হাসপাতাল থেকে মাত্র ৩ দিনে সাত ৫ রোগির মৃত্যুর সংবাদ মিলেছে।
জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের তথ্য অনুযায়ী ২৭ মে ১৩জন আক্রান্ত হয়েছে, কোন সুস্থ্যতা নেই, ২৮ মে আক্রান্ত ১৪, সুস্থ্য নেই, ২৯ মে আক্রান্ত ২২ জন, সুস্থ্য নেই, ৩০ মে আক্রান্ত ৪৯ জন, সুস্থ্য হননি কেউ, ৩১ মে আক্রান্ত ৪০ জন, সুস্থ্য নেই, ১ জুন ৪৫ জন আক্রান্ত, সুস্থ্য নেই, আর ২ মে রেকর্ড আক্রান্ত৫৪ জন, আজও কেউ সুস্থ্য হননি।
শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের চিকিৎসা নিয়ে আগে থেকেইপ্রশ্ন উঠেছে। ৩১ মে ঢাকা থেকে এক পরিচিত সাংবাদিক ফোন করে জানিয়েছেন, তারা মামা ২৮ মে থেকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু ৩১ মে পর্যন্ত কোন চিকিৎসক তাকে দেখতে যান নি। এর আগে মারা যাওয়া এক রোগির স্বজনও এধরনের গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন। তাহলে হাসপাতালে কেন? চরম অব্যবস্থাপনার কারণে বহু রোগি হাসপাতালমূখি হচ্ছেন না। তারা বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। একটু ভাল বোধ করলেই রাস্তায় বের হয়ে পড়ছেন। ছড়িয়ে দিচ্ছেন করোনা ভাইরাস। নগরীতে এভাবে শতশত রোগি ঘুরে বেরাচ্ছে। যদি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হত, তাহলে ভর্তি হতে দীর্ঘ লাইন পড়ে যেত। গুঞ্জন রয়েছে এর চেয়ে বরগুনার হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক ভাল।প্রায় সব রোগি ভাল হয়ে বাড়ি চলে গেছেন।প্রশাসন সব স্থানে সফল মনিটরিং করলেও শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ইউনিটের চিকিৎসা ব্যবস্থা মনিটরিং এর কোন ব্যবস্থা নেয়নি। নিলে হয়ত রোগিরা মারা গেলেও অন্তত সু চিকিৎসা নিয়ে মারা যেত।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status