বিশ্বজমিন

করাচির যুবতীর সঙ্গে প্রেম, বাংলাদেশি যুবকের কান্ড

মানবজমিন ডেস্ক

৩ জুন ২০২০, বুধবার, ১২:২৩ অপরাহ্ন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাকিস্তানি এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক বাংলাদেশি যুবক নয়ন মিয়া আবদুল্লাহর। ৬ মাসের মধ্যে তা আরো গাঢ় হয়ে ওঠে। তাদের মধ্যে ভিডিও মারফত কথাবার্তা চলতে থাকে। পাকিস্তানি ওই যুবতী নয়ন মিয়াকে প্রস্তাব দেন, তাকে বিয়ে করতে চাইলে করাচি যেতে হবে। ব্যাস, আর ডানেবামে তাকান নি নয়ন মিয়া। তিনি কোনো ডকুমেন্ট, ভিসা, পাসপোর্ট ছাড়াই পথে নামেন। উদ্দেশ্য করাচি পৌঁছে প্রিয়তমার স্পর্শ পাওয়া। তাকে বিয়ে করা। কিন্তু বেরসিক ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা। নয়ন মিয়া অনেকটা দূর এগিয়ে গিয়েছিলেন। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যবর্তী ওয়াগা সীমান্ত পেরোতে পারলেই তিনি হয়তো প্রিয়তমাকে দেখতে পেতেন। কিন্তু ওই সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফের জওয়ানরা তার গতিরোধ করে। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম চেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছে নয়ন মিয়া কাতর মিনতি করেন। বলেন, সীমান্তে ওপাড়ে প্রিয়তমা তার জন্য অপেক্ষা করছে। তাকে ভালবাসার জন্য হলেও ছেড়ে দেয়া হোক। যেতে দেয়া হোক পাকিস্তানে। কিন্তু আইনকে তো তিনি অতিক্রম করতে পারেন না। তাকে গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাব পুলিশের হাতে দিয়েছে বিএসএফ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
এতে বলা হয় নয়ন মিয়ার বয়স ২০ উত্তীর্ণ। তার বাড়ি শরীয়তপুরের বেপারিপাড়া গ্রামে। পড়াশোনা করেন পোস্ট গ্রাজুয়েশনে। তিনি ওয়াগা সীমান্তে যাওয়ার পর বিএসএফ সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় তাদেরকে জানান, তিনি একজন বাংলাদেশি। দেশে পোস্ট গ্রাজুয়েশন পড়াশোনা করছেন। ছয় মাস আগে করাচির এক যুবতীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাশোনা হয় তার। আস্তে আস্তে তিনি তার প্রেমে পড়ে গেছেন। তার পর থেকে দু’জনে সার্বক্ষণিক ভিডিও কলের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি ওই যুবতী তাকে বলেছেন, তিনি যদি তাকে বিয়ে করতে চান, তাহলে তার করাচি যাওয়া উচিত। তাই প্রাণের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাত করতে এবং তাকে বিয়ে করতে তিনি করাচির পথে পা বাড়িয়েছেন। তবে কোনো ডকুমেন্ট তার সঙ্গে নেই। প্রথমে তিনি কলকাতা পৌঁছেন। সেখান থেকে অমৃতসরে। প্রায় ১৫ দিন আগে তিনি এখানে পৌঁছার পর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে পুলিশ। অমৃতসরের পুলিশ কর্মকর্তা সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্ট বিক্রমজিৎ সিং দু¹াল বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সম্পর্কে জানানো হবে বাংলাদেশি দূতাবাসকে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status