এক্সক্লুসিভ
বাস ভাড়া বৃদ্ধি গরিব বিরোধী পদক্ষেপ
মরিয়ম চম্পা
৩ জুন ২০২০, বুধবার, ৭:২৮ পূর্বাহ্ন
করোনা পরিস্থিতিতে বাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোকে গরিব বিরোধী পদক্ষেপ বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি গরিব এবং শ্রমজীবী মানুষদের প্রতি খুবই বড় একটি অন্যায় হিসেবে দেখছি। এবং এর জন্য সরকার দায়ী। পেট্রোলের দাম আন্তর্জাতিকভাবে খুবই কমেছে। অর্ধেকের বেশি কমেছে। এক্ষেত্রে সরকার দেশে পেট্রোলের দাম কমিয়ে যারা বাস মালিক আছেন তাদের বলতে পারতেন এক টাকাও ভাড়া বাড়বে না। সরকার যেটা করেছে বাস মালিকদের প্রণোদনা গরিব লোকের পকেট থেকে নিয়ে দিচ্ছে। নিজেদের প্রফিট (মুনাফা) অক্ষুন্ন রেখেছে। এটা খুবই অন্যায়। এটা হচ্ছে গরিব বিরোধী একটি পদক্ষেপ। এটা বাড়ার কারণেই বাস মালিকরা দৌরাত্ম্য দেখাতে পারছে। সরকারের উচিৎ ছিল বাস মালিকদের বলা প্রতি দুই সিটের একটি খালি থাকবে। সরকারের যে গরিবের প্রতি মায়া দয়া আছে কি না এই প্যানডেমিককালে (মহামারি) এটা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে।
লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, পরিস্থিতি আরো পর্যালোচনা করে কিছুদিন দেরি করে গণপরিবহন চলাচল শুরু করা যেতো। এখন যেহেতু মানুষ রাস্তায় নেমে গেছে এবং অফিস আদালত খুলেছে। ফলে অফিস খুললে গণপরিবহনও খুলতে হবে। মানুষ যাবে কীভাবে অফিসে। কারণ অফিস খুলছে বলে গণপরিবহন খোলার বিষয়টি এসেছে। কিন্তু এখন যদি গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী না তোলা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা পালন না করা হয় তাহলে খুব বড় রকমের বিপদের সম্ভাবনা আছে। আরেকটি বিষয় হলো যেহেতু অতি দরিদ্র মানুষ বাসে যাতায়াত করে। সুতরাং ভাড়া বাড়ানোটা আমি মনে করি খুবই নিষ্ঠুর একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। না বাড়ানো উচিত ছিলো। যদিও ছোট ছোট অনেক বাসের মালিকদের লোকসান হয়েছে। তাদেরও পুষিয়ে দিতে হবে। সবদিক আরেকটু বিবেচনা করলে ভালো হতো। একেতো ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে তার ওপর কোথাও কোথাও দ্বিগুণ বাস ভাড়া নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এটা শুধু বেআইনি নয় আমি মনে করি, মানুষের ওপর এই বড় দুর্দিনে যখন মানুষের রুজি-রোজগার কম তখন ভাড়া বাড়ানোটাই অনুচিত হয়েছে। তারপরে যখন ভাড়া বেশি অর্থাৎ দ্বিগুণ নিচ্ছে এটা সম্পূর্ণ নিষ্ঠুরতা। এবং অবিলম্বে এ বিষয়ে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, পরিস্থিতি আরো পর্যালোচনা করে কিছুদিন দেরি করে গণপরিবহন চলাচল শুরু করা যেতো। এখন যেহেতু মানুষ রাস্তায় নেমে গেছে এবং অফিস আদালত খুলেছে। ফলে অফিস খুললে গণপরিবহনও খুলতে হবে। মানুষ যাবে কীভাবে অফিসে। কারণ অফিস খুলছে বলে গণপরিবহন খোলার বিষয়টি এসেছে। কিন্তু এখন যদি গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী না তোলা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা পালন না করা হয় তাহলে খুব বড় রকমের বিপদের সম্ভাবনা আছে। আরেকটি বিষয় হলো যেহেতু অতি দরিদ্র মানুষ বাসে যাতায়াত করে। সুতরাং ভাড়া বাড়ানোটা আমি মনে করি খুবই নিষ্ঠুর একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। না বাড়ানো উচিত ছিলো। যদিও ছোট ছোট অনেক বাসের মালিকদের লোকসান হয়েছে। তাদেরও পুষিয়ে দিতে হবে। সবদিক আরেকটু বিবেচনা করলে ভালো হতো। একেতো ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে তার ওপর কোথাও কোথাও দ্বিগুণ বাস ভাড়া নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এটা শুধু বেআইনি নয় আমি মনে করি, মানুষের ওপর এই বড় দুর্দিনে যখন মানুষের রুজি-রোজগার কম তখন ভাড়া বাড়ানোটাই অনুচিত হয়েছে। তারপরে যখন ভাড়া বেশি অর্থাৎ দ্বিগুণ নিচ্ছে এটা সম্পূর্ণ নিষ্ঠুরতা। এবং অবিলম্বে এ বিষয়ে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।