করোনা উপসর্গ নিয়ে ৬ জনের মৃত্যু

হাজীগঞ্জে ৪
শাহরাস্তি (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ একদিনেই কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে ৪ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল থেকে রাত অবধি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৪ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে তিনজনর হাজীগঞ্জ পৌরসভায় ও এক জনের বাড়ি উপজেলার বাকিলা ইউপিতে। নিহতদের স্বজন ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার রাতে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি জ্বর, সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে আশার কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার পর অক্সিজেন দেয়ার পূর্বেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার নমুন সংগ্রহ করা হয়েছে। অপরদিকে বিকেল ৩টার পৌর শহরের মকিমাবাদ এলাকার আব্দুল কাদের পাটওয়ারী (৬৫) নামের এক ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন। তাকে অক্সিজেন দেয়ার পরপরই তিনি মারা যান। তিনি মাত্র ১০ মিনিট আইসোলেশনে ছিলেন। তার নমুনা সংগ্রহ করা শেষে বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হয়েছে। ওইদিন সকালে হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউপির সাতবাড়িয়া গ্রামের মোস্তফা কামাল করোনার উপসর্গ নিয়ে সকাল ১০টার দিকে চাঁদপুর  হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে ভর্তির ৫০ মিনিটের মাথায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি পূর্ব থেকে করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হবে।আইসোলেশন ইউনিটে মৃত ব্যক্তির তথ্যর বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হাজীগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু ব্যক্তিদের দাফন করা কাফেলার ১১ যোদ্ধার ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ১২টায় হাজীগঞ্জ পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ডের ধেররা বিলওয়াই গ্রামের বাড়িতে মো. রফিকুল ইসলাম (৪৮) নামের ওই ব্যক্তি কোরনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

বালাগঞ্জে ১
বালাগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি: সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে রফিক মিয়া (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩১শে মে সন্ধ্যার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। ১লা জুন দুপুর ১২টার দিকে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টিমের সদস্যরা মৃত ব্যক্তি, তার স্ত্রী ও ছেলের নমুনা সংগ্রহ করেন। এ বিষয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এম এস শাহরিয়ার বলেন, সাংবাদিক শামীম আহমদ রাত ১টার দিকে ফোনে আমাকে বিষয়টি অবহিত করেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি বোয়ালজুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনহার মিয়ার সঙ্গে কথা বলি। এরপর লাশ দাফনের আগে মেডিকেল টিমের সদস্যরা সেখানে গিয়ে মৃত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন-কাফন করার জন্য বলে দেয়া হয়েছে। এদিকে বেলা ২টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

শায়েস্তাগঞ্জে ১
শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসের উপসর্গে আক্রান্ত (সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট) সুমন মোহন্ত (২৯) নামে একটি প্রাইভেট কোম্পানির সেল্‌স অফিসারের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।  বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতের সুমনের স্ত্রী।
সুমন মোহন্ত আরএফএল কোম্পানির ইটালিয়ানো গ্রুপে সেল্‌স অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার কর্মস্থল ছিল শায়েস্তাগঞ্জ, চুনারুঘাট ও বাহুবল। তিনি শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।  তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন মোহন্ত গত কয়েকদিন যাবৎ করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন। বিষয়টি গোপন রেখে বাসায় ছিলেন তিনি।
তার অবস্থার অবনতি হলে খবর পেয়ে গ্রামের বাড়ি থেকে আসা স্ত্রী, স্বজনরা গত রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে প্রাইভেট গাড়িতে করে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুমী আক্তার বলেন, পৌরসভার মেয়রের কাছ থেকে শুনেছি এবং নিহত ব্যক্তি যে বাসায় থাকতেন সেই বাসার অন্যদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য থানা পুলিশকে অবগত করেছি।