খেলা
মাঠেই ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ করলেন সানচো-হাকিমি-থুয়ামরা
স্পোর্টস ডেস্ক
১ জুন ২০২০, সোমবার, ১:৩৫ পূর্বাহ্ন
অপরাধ না করেও শুধু কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ায় সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের বিরুদ্ধে। মানবতাবিরোধী এই ঘটনায় তোলপাড় যুক্তরাষ্ট্র। বিশ^জুড়েই চলছে ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ। বিভিন্ন মাধ্যমের কৃষ্ণাঙ্গ তারকারাও প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। বাদ যাননি ফুটবলাররাও। জার্মান বুন্দেসলিগায় গোলের পর ফ্লয়েড হত্যার বিচার চেয়ে গোল উদযাপন করেছেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ইংলিশ তারকা জাদন সানচো, একই দলের মরোক্কান উইঙ্গার আশরাফ হাকিমি এবং বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের ফরাসি স্ট্রাইকার মার্কাস থুরাম।
গোলের পর জার্সি খুলে গোল উদযাপন করেছেন সানচো, নিচের টি-শার্টে লেখা ‘জাস্টিস ফর জর্জ ফ্লয়েড’ দিয়েই প্রতিবাদী বার্তা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। গোলের পর একই কাজ করেছেন আশরাফ হাকিমি। মার্কাস থুরামও গোল উদযাপন করেছেন ফ্লয়েড নিহত হওয়ার বিচার চেয়ে। গোলের পর মাঠে হাঁটু গেড়ে মার্কাস করেছেন প্রতিবাদী গোল উদযাপন। মার্কাসের বাবা লিলিয়ান থুরাম ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের সদস্য। বর্ণবাদবিরোধী অ্যাক্টিভিস্ট ও ইউনিসেফের হয়ে কাজ করছেন লিলিয়ান থুরাম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফ্লয়েড হত্যার একটা ভিডিওতে দেখা যায়, মিনোপলিসের শে^তাঙ্গ পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিন মাটিতে ফেলে জর্জ ফ্লয়েডের মাথায় হাঁটু চেপে ধরে তাকে মেরে ফেলেন। ফ্লয়েড বারবার বলছিলেন, ‘আমার নিঃশ^াস নিতে কষ্ট হচ্ছে।’
ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পত্র অনুযায়ী, ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ওভাবে ফ্লয়েডের মাথায় হাঁটু চেপে রেখেছিলেন শভিন, এর মধ্যে ২ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড ছিল ফ্লয়েড নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার পর! ফ্লয়েডের হাতে তখন হ্যান্ডকাফ পরা ছিল, পুলিশের নির্দেশনা মেনে মাথা মাটির দিকে রেখে মাটিতে শুয়েই ছিলেন তিনি। তবু শভিনের ওভাবে হাঁটু দিয়ে মাথা চেপে ধরা।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, জালিয়াতির অভিযোগ ছিল ফ্লয়েডের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু পাশের এক রেস্টুরেন্টের সারভেইলেন্স ভিডিওতে দেখা যায়, ফ্লয়েডকে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি দুবার পড়ে গিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী চলমান বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে সায় দিয়েছেন পিএসজির ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে, আমেরিকান ফুটবল তারকা ওয়েস্টন ম্যাকেনি, বাস্কেটবল তারকা মাইকেল জর্ডান, লেব্রন জেমস, যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস তারকা সেরেনা উইলয়ামস, কোকো গফ ও জাপানের টেনিস তারকা নাওমি ওসাকা।
ইনস্টাগ্রামে জাদন সানচো লিখেছেন, ‘যা অন্যায় সেটার প্রতিবাদ করতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের এক হয়ে ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করতে হবে।’ কৃষ্ণাঙ্গরা বর্ণবাদের শিকার হয়ে খুন হচ্ছেন, এমন দৃশ্য আমেরিকাতে নতুন নয়। দেশটির নীতি-নির্ধারকরা প্রায়শই দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদের সমস্যা নেই। এর কড়া সমালোচনা করেছেন এমবাপ্পে, ‘অন্তত এবার আর বলবেন না আমেরিকায় বর্ণবাদের সমস্যা নেই।’ সবার প্রতি বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহবান জানিয়ে বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি তারকা বলেন, ‘এখন আর ঘরে বসে থাকবেন না। আসুন বদলে দেয়ার আন্দোলনে সঙ্গী হই।’
গোলের পর জার্সি খুলে গোল উদযাপন করেছেন সানচো, নিচের টি-শার্টে লেখা ‘জাস্টিস ফর জর্জ ফ্লয়েড’ দিয়েই প্রতিবাদী বার্তা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। গোলের পর একই কাজ করেছেন আশরাফ হাকিমি। মার্কাস থুরামও গোল উদযাপন করেছেন ফ্লয়েড নিহত হওয়ার বিচার চেয়ে। গোলের পর মাঠে হাঁটু গেড়ে মার্কাস করেছেন প্রতিবাদী গোল উদযাপন। মার্কাসের বাবা লিলিয়ান থুরাম ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের সদস্য। বর্ণবাদবিরোধী অ্যাক্টিভিস্ট ও ইউনিসেফের হয়ে কাজ করছেন লিলিয়ান থুরাম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফ্লয়েড হত্যার একটা ভিডিওতে দেখা যায়, মিনোপলিসের শে^তাঙ্গ পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিন মাটিতে ফেলে জর্জ ফ্লয়েডের মাথায় হাঁটু চেপে ধরে তাকে মেরে ফেলেন। ফ্লয়েড বারবার বলছিলেন, ‘আমার নিঃশ^াস নিতে কষ্ট হচ্ছে।’
ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পত্র অনুযায়ী, ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ওভাবে ফ্লয়েডের মাথায় হাঁটু চেপে রেখেছিলেন শভিন, এর মধ্যে ২ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড ছিল ফ্লয়েড নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার পর! ফ্লয়েডের হাতে তখন হ্যান্ডকাফ পরা ছিল, পুলিশের নির্দেশনা মেনে মাথা মাটির দিকে রেখে মাটিতে শুয়েই ছিলেন তিনি। তবু শভিনের ওভাবে হাঁটু দিয়ে মাথা চেপে ধরা।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, জালিয়াতির অভিযোগ ছিল ফ্লয়েডের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু পাশের এক রেস্টুরেন্টের সারভেইলেন্স ভিডিওতে দেখা যায়, ফ্লয়েডকে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি দুবার পড়ে গিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী চলমান বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে সায় দিয়েছেন পিএসজির ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে, আমেরিকান ফুটবল তারকা ওয়েস্টন ম্যাকেনি, বাস্কেটবল তারকা মাইকেল জর্ডান, লেব্রন জেমস, যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস তারকা সেরেনা উইলয়ামস, কোকো গফ ও জাপানের টেনিস তারকা নাওমি ওসাকা।
ইনস্টাগ্রামে জাদন সানচো লিখেছেন, ‘যা অন্যায় সেটার প্রতিবাদ করতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের এক হয়ে ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করতে হবে।’ কৃষ্ণাঙ্গরা বর্ণবাদের শিকার হয়ে খুন হচ্ছেন, এমন দৃশ্য আমেরিকাতে নতুন নয়। দেশটির নীতি-নির্ধারকরা প্রায়শই দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদের সমস্যা নেই। এর কড়া সমালোচনা করেছেন এমবাপ্পে, ‘অন্তত এবার আর বলবেন না আমেরিকায় বর্ণবাদের সমস্যা নেই।’ সবার প্রতি বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহবান জানিয়ে বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি তারকা বলেন, ‘এখন আর ঘরে বসে থাকবেন না। আসুন বদলে দেয়ার আন্দোলনে সঙ্গী হই।’