খেলা
ইয়ান বিশপকে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে ‘বাধ্য’ করেছেন সাকিব
স্পোর্টস ডেস্ক
৩০ মে ২০২০, শনিবার, ১২:২০ অপরাহ্ন
গত একদশকের সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে ওয়ানডে একাদশ গঠন করেছেন সাবেক ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলার ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ। একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার জানান, টাইগার অলরাউন্ডারকে নিজের একাদশে রাখার কথা প্রথমে ভাবেননি। কিন্তু গত দশবছরে ব্যাটে-বলে সাকিবের ধারাবাহিক পারফরমেন্স সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। বিশপ বলেন, ‘আমি ছয় নম্বর পজিশনে একজন পেস অলরাউন্ডার রাখতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু একজন ভদ্রলোক আছেন, সাকিব আল হাসান। গত এক দশকে তার অর্জন মূল্যায়ন করার মতো। তিনি বেশিরভাগ সময়ই থাকেন আলোচনার বাইরে।’
ভুল বলেননি ইয়ান বিশপ। ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত খেলা ১৩১ ম্যাচে সাকিব আল হাসানের সংগ্রহ ৪ হাজার ২৯৪ রান। সেঞ্চুরি ৫ ও হাফ সেঞ্চুরির সংখ্যা ৩৫। বল হাতে সমান ম্যাচে তার শিকার ১৭৭ উইকেট। সাকিবের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের ওয়ানডে অভিষেক ২০১১ সালে। সময়ের অন্যতম সেরা এই পেস অলরাউন্ডার ২০১৯ সাল পর্যন্ত ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন ৯৫টি। ৩ সেঞ্চুরি ও ২০ ফিফটিতে সংগ্রহ ২ হাজার ৬৮২ রান। বল হাতে স্টোকসের শিকার ৭০ উইকেট।
বিশপের দলে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। অবাক করা বিষয় হলো দলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের কোনও ক্রিকেটার নেই। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও কোনও ক্রিকেটারের জায়গা হয়নি দলে। ইয়ান বিশপের দলে ওপেনার রোহিত শর্মা। ভারতীয় ‘হিটম্যান’ এই ফরম্যাটে তিন বার ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। ইংল্যান্ডে হওয়া গত বিশ্বকাপে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেন তিনি। যা রেকর্ড। রোহিতের সঙ্গে থাকবেন ডেভিড ওয়ার্নার। ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন থাকছে ওপেনিংয়ে। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার বিধ্বংসী মেজাজে শুরু করেন। দলকে টানার ক্ষমতা রয়েছে তার। গত বিশ্বকাপে রোহিতের মতো ওয়ার্নারও ছিলেন ধারাবাহিক।
তিন নম্বরে থাকছেন বিরাট কোহলি। তিনি হলেন চেজমাস্টার। তবে শুধু রান তাড়া করাই নয়, প্রথমে ব্যাট করে দলকে বড় রানের নিরাপত্তায় পৌঁছে দিতেও পারেন। এই ফরম্যাটে ৪৩ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন তিনি। গড় ৫৯.৩৩। চারে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি’ভিলিয়ার্স। তাকে ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান বলা হয়। মাঠের সব প্রান্তে শট খেলার অবিশ্বাস্য দক্ষতা তার। ৫৩.৫০ গড়ে ৯৫৭৭ রান করেছেন তিনি এক দিনের ক্রিকেটে। শতরানের সংখ্যা ২৫। পাঁচে রস টেইলর। কিউই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ৪৮.৪৪ গড়ে করেছেন ৮৫৭৪ রান। রয়েছে ২১টি সেঞ্চুরি । চাপের মধ্যে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তার।
বিশপের দলের অলরাউন্ডার হলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটে-বলে দলের সম্পদ। ব্যাটে ৬৩২৩ রান করার পাশাপাশি ২৬০ উইকেটও নিয়েছেন তিনি। গত বিশ্বকাপে তিন নম্বরে নেমে তিনি ভরসা দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিংকে। সঙ্গে দশ ওভারের নিখুঁত বোলিংও ছিল।
দলের অধিনায়ক হলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। উইকেটকিপার ও ব্যাটসম্যান মিলিয়ে দলের থ্রি-ডি ক্রিকেটার তিনিই। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফিনিশারও তিনি। তা ছাড়া উইকেটের পিছন থেকে বোলারদের নির্দেশ দেয়াতে কাজে আসবে তার অগাধ অভিজ্ঞতা। মিচেল স্টার্ক আসবেন নতুন বল হাতে। অস্ট্রেলিয়ার বাঁ-হাতি পেসার ২২.২২ গড়ে নিয়েছেন ১৭৮ উইকেট। স্ট্রাইক রেট ২৬.১। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন সাত বার। এর সঙ্গে লোয়ার অর্ডারে বড় শট নিতেও পারেন। নতুন বলে দৌড় শুরু করবেন ডেল স্টেনও। দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি পেসার গতির সঙ্গে সুইং মিশিয়ে ব্যাটসম্যানদের রাখেন ধাঁধায়। এই সময়ের সেরা পেসারদের তালিকায় উপরের দিকেই থাকেন তিনি। ২৫.৯৫ গড়ে তিনি নিয়েছেন ১৯৬ উইকেট। লাসিথ মালিঙ্গা হলেন আর এক জন পেসার। যাকে স্লগ ওভারে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। এই ফরম্যাটে ৩৩৮ উইকেট রয়েছে তার। স্লিং অ্যাকশনের মালিঙ্গাকে মারা কঠিন। দলের বিশেষজ্ঞ স্পিনার হলেন রশিদ খান। আফগানিস্তানের এই লেগস্পিনার ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করতে পারেন গুগলি-ফ্লাইটের কারিকুরিতে। বয়স মাত্র ২১। ১৮.৫৪ গড়ে এর মধ্যেই তার শিকার ১৩৩ উইকেট।
ভুল বলেননি ইয়ান বিশপ। ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত খেলা ১৩১ ম্যাচে সাকিব আল হাসানের সংগ্রহ ৪ হাজার ২৯৪ রান। সেঞ্চুরি ৫ ও হাফ সেঞ্চুরির সংখ্যা ৩৫। বল হাতে সমান ম্যাচে তার শিকার ১৭৭ উইকেট। সাকিবের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের ওয়ানডে অভিষেক ২০১১ সালে। সময়ের অন্যতম সেরা এই পেস অলরাউন্ডার ২০১৯ সাল পর্যন্ত ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন ৯৫টি। ৩ সেঞ্চুরি ও ২০ ফিফটিতে সংগ্রহ ২ হাজার ৬৮২ রান। বল হাতে স্টোকসের শিকার ৭০ উইকেট।
বিশপের দলে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। অবাক করা বিষয় হলো দলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের কোনও ক্রিকেটার নেই। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও কোনও ক্রিকেটারের জায়গা হয়নি দলে। ইয়ান বিশপের দলে ওপেনার রোহিত শর্মা। ভারতীয় ‘হিটম্যান’ এই ফরম্যাটে তিন বার ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। ইংল্যান্ডে হওয়া গত বিশ্বকাপে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেন তিনি। যা রেকর্ড। রোহিতের সঙ্গে থাকবেন ডেভিড ওয়ার্নার। ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন থাকছে ওপেনিংয়ে। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার বিধ্বংসী মেজাজে শুরু করেন। দলকে টানার ক্ষমতা রয়েছে তার। গত বিশ্বকাপে রোহিতের মতো ওয়ার্নারও ছিলেন ধারাবাহিক।
তিন নম্বরে থাকছেন বিরাট কোহলি। তিনি হলেন চেজমাস্টার। তবে শুধু রান তাড়া করাই নয়, প্রথমে ব্যাট করে দলকে বড় রানের নিরাপত্তায় পৌঁছে দিতেও পারেন। এই ফরম্যাটে ৪৩ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন তিনি। গড় ৫৯.৩৩। চারে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি’ভিলিয়ার্স। তাকে ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান বলা হয়। মাঠের সব প্রান্তে শট খেলার অবিশ্বাস্য দক্ষতা তার। ৫৩.৫০ গড়ে ৯৫৭৭ রান করেছেন তিনি এক দিনের ক্রিকেটে। শতরানের সংখ্যা ২৫। পাঁচে রস টেইলর। কিউই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ৪৮.৪৪ গড়ে করেছেন ৮৫৭৪ রান। রয়েছে ২১টি সেঞ্চুরি । চাপের মধ্যে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তার।
বিশপের দলের অলরাউন্ডার হলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটে-বলে দলের সম্পদ। ব্যাটে ৬৩২৩ রান করার পাশাপাশি ২৬০ উইকেটও নিয়েছেন তিনি। গত বিশ্বকাপে তিন নম্বরে নেমে তিনি ভরসা দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিংকে। সঙ্গে দশ ওভারের নিখুঁত বোলিংও ছিল।
দলের অধিনায়ক হলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। উইকেটকিপার ও ব্যাটসম্যান মিলিয়ে দলের থ্রি-ডি ক্রিকেটার তিনিই। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফিনিশারও তিনি। তা ছাড়া উইকেটের পিছন থেকে বোলারদের নির্দেশ দেয়াতে কাজে আসবে তার অগাধ অভিজ্ঞতা। মিচেল স্টার্ক আসবেন নতুন বল হাতে। অস্ট্রেলিয়ার বাঁ-হাতি পেসার ২২.২২ গড়ে নিয়েছেন ১৭৮ উইকেট। স্ট্রাইক রেট ২৬.১। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন সাত বার। এর সঙ্গে লোয়ার অর্ডারে বড় শট নিতেও পারেন। নতুন বলে দৌড় শুরু করবেন ডেল স্টেনও। দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি পেসার গতির সঙ্গে সুইং মিশিয়ে ব্যাটসম্যানদের রাখেন ধাঁধায়। এই সময়ের সেরা পেসারদের তালিকায় উপরের দিকেই থাকেন তিনি। ২৫.৯৫ গড়ে তিনি নিয়েছেন ১৯৬ উইকেট। লাসিথ মালিঙ্গা হলেন আর এক জন পেসার। যাকে স্লগ ওভারে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। এই ফরম্যাটে ৩৩৮ উইকেট রয়েছে তার। স্লিং অ্যাকশনের মালিঙ্গাকে মারা কঠিন। দলের বিশেষজ্ঞ স্পিনার হলেন রশিদ খান। আফগানিস্তানের এই লেগস্পিনার ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করতে পারেন গুগলি-ফ্লাইটের কারিকুরিতে। বয়স মাত্র ২১। ১৮.৫৪ গড়ে এর মধ্যেই তার শিকার ১৩৩ উইকেট।