প্রথম পাতা
একদিনে শনাক্ত ২৫২৩
স্টাফ রিপোর্টার
৩০ মে ২০২০, শনিবার, ১২:০১ অপরাহ্ন
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৫২৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৮৪৪ জনে। অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৫৮২ জন। গতকাল দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, ৪৯টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৯৮২টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৩০১টি। পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে ২ হাজার ৫২৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার ৮৪৪ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরো ২৩ জনের মৃত্যু হয়। এই নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৮২ জনে। ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৯০ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৯ হাজার ১৫ জন।
তিনি জানান, মৃত ২৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে নয় জন, রংপুরে বিভাগে দুই জন, বরিশাল বিভাগে এক জন ও সিলেট বিভাগে রয়েছেন এক জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন, নারী চার জন। বয়স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরে মধ্যে এক জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সের মধ্যে দুই জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে পাঁচ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩২৮ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন পাঁচ হাজার ১৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছে চার হাজার ৯০০ জন। অদ্যাবধি মোট কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই লাখ ৮০ হাজার ৫ জন। ছাড়পত্র নিয়েছেন দুই লাখ ১৯ হাজার ৭৭০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬০ হাজার ২৭৫ জন। দেশের ৬৪ জেলায় ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত। তাৎক্ষণিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৮১ জনকে। তিনি আরো জানান, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে চার হাজার ১৫০টি। ঢাকার ভেতরে আছে সাত হাজার ২৫০টি। ঢাকা সিটির বাইরে শয্যা রয়েছে ছয় হাজার ৩৪টি। আইসিইউ সংখ্যা রয়েছে ৩৯৯টি, ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১০৬টি।
প্রসঙ্গত, গত ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। শুরুর দিকে রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও এখন সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ৩১শে ডিসেম্বর চীনের উহানে করোনার প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ভাইরাসটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ লাখ ৬২ হাজারের উপরে আর আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। অন্যদিকে সুস্থ হয়েছে প্রায় ২৬ লাখ মানুষ।
তিনি জানান, মৃত ২৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে নয় জন, রংপুরে বিভাগে দুই জন, বরিশাল বিভাগে এক জন ও সিলেট বিভাগে রয়েছেন এক জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন, নারী চার জন। বয়স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরে মধ্যে এক জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সের মধ্যে দুই জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে পাঁচ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩২৮ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন পাঁচ হাজার ১৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছে চার হাজার ৯০০ জন। অদ্যাবধি মোট কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই লাখ ৮০ হাজার ৫ জন। ছাড়পত্র নিয়েছেন দুই লাখ ১৯ হাজার ৭৭০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬০ হাজার ২৭৫ জন। দেশের ৬৪ জেলায় ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত। তাৎক্ষণিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৮১ জনকে। তিনি আরো জানান, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে চার হাজার ১৫০টি। ঢাকার ভেতরে আছে সাত হাজার ২৫০টি। ঢাকা সিটির বাইরে শয্যা রয়েছে ছয় হাজার ৩৪টি। আইসিইউ সংখ্যা রয়েছে ৩৯৯টি, ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১০৬টি।
প্রসঙ্গত, গত ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। শুরুর দিকে রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও এখন সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ৩১শে ডিসেম্বর চীনের উহানে করোনার প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ভাইরাসটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ লাখ ৬২ হাজারের উপরে আর আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। অন্যদিকে সুস্থ হয়েছে প্রায় ২৬ লাখ মানুষ।