বিশ্বজমিন
অনার কিলিং: ইরানে বাবার হাতে ১৪ বছর বয়সী কিশোরী খুন
মানবজমিন ডেস্ক
২৭ মে ২০২০, বুধবার, ৭:০৯ পূর্বাহ্ন
ইরানে নিজের ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে খুনের দায়ে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ওই ব্যক্তি নিজের মেয়েকে ‘পারিবারিক সম্মান রক্ষার্থে খুন’ (অনার কিলিং) করেছেন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, অনার কিলিংয়ের শিকার হওয়া ওই কিশোরীর নাম রমিনা আশরাফি। স্থানীয় গণমাধ্যম অনুসারে, ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। কিন্তু তার বাবা ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাকে বিয়ে দিতে অসম্মতি জানায়। পরবর্তীতে প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় আশরাফি। কিন্তু পুলিশ তাদের খুঁজে বের করে আশরাফিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। যদিও আশরাফি বারবার তাকে বাড়ি না পাঠানোর আকুতি জানিয়েছিল। পাঠালে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু তার অনুরোধে সাড়া দেয়নি পুলিশ। এ ঘটনাই তার অকাল মৃত্যু ডেকে আনে। অভিযোগ উঠেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে তার রুমে ঢুকে তাকে খুন করে তার বাবা।
স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল গিলখাবার জানিয়েছে, আশরাফিকে কাস্তে দিয়ে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেছে তার বাবা। হত্যা শেষে নিজেই কাস্তেসহ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন ও নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন।
আশরাফি হত্যার ঘটনায় ইরানজুড়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা গেছে। টুইটারে হ্যাশট্যাগ #রোমানিয়া_আশরাফি ব্যবহৃত হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি বার। বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, ইরানের আইন অনুসারে, গৃহ নির্যাতন বা অনার কিলিংয়ে কোনো পরিবারের সন্তানদের হত্যা বা শারীরিকভাবে আঘাত করার ঘটনায় বাবা বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের শাস্তির পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হয়। কোনো ব্যক্তি যদি তার মেয়েকে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তাকে ৩ থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়ার নিয়ম রয়েছে সেখানে। যদিও অন্যান্য খুনের ক্ষেত্রে সাধারণত অর্থ বা মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
খবরে বলা হয়, অনার কিলিংয়ের শিকার হওয়া ওই কিশোরীর নাম রমিনা আশরাফি। স্থানীয় গণমাধ্যম অনুসারে, ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। কিন্তু তার বাবা ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাকে বিয়ে দিতে অসম্মতি জানায়। পরবর্তীতে প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় আশরাফি। কিন্তু পুলিশ তাদের খুঁজে বের করে আশরাফিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। যদিও আশরাফি বারবার তাকে বাড়ি না পাঠানোর আকুতি জানিয়েছিল। পাঠালে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু তার অনুরোধে সাড়া দেয়নি পুলিশ। এ ঘটনাই তার অকাল মৃত্যু ডেকে আনে। অভিযোগ উঠেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে তার রুমে ঢুকে তাকে খুন করে তার বাবা।
স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল গিলখাবার জানিয়েছে, আশরাফিকে কাস্তে দিয়ে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেছে তার বাবা। হত্যা শেষে নিজেই কাস্তেসহ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন ও নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন।
আশরাফি হত্যার ঘটনায় ইরানজুড়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা গেছে। টুইটারে হ্যাশট্যাগ #রোমানিয়া_আশরাফি ব্যবহৃত হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি বার। বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, ইরানের আইন অনুসারে, গৃহ নির্যাতন বা অনার কিলিংয়ে কোনো পরিবারের সন্তানদের হত্যা বা শারীরিকভাবে আঘাত করার ঘটনায় বাবা বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের শাস্তির পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হয়। কোনো ব্যক্তি যদি তার মেয়েকে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তাকে ৩ থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়ার নিয়ম রয়েছে সেখানে। যদিও অন্যান্য খুনের ক্ষেত্রে সাধারণত অর্থ বা মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।