অনলাইন

শপিংমল বন্ধ থাকলেও থেমে নেই বেচাবিক্রি

স্টাফ রিপোর্টার

২২ মে ২০২০, শুক্রবার, ৬:২৩ পূর্বাহ্ন

মহামারি করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ঈদকে সামনে রেখে সব ধরনের জনসমাগম এড়াতে সাভারের সব শপিংমল বন্ধ ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। অথচ বন্ধ মার্কেটের সামনেই ঈদের বেচাবিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এ যেন মার্কেটের সামনে আর এক মারকেট। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। ঝুঁকি নিয়ে সবাই ব্যস্ত ঈদের কেনাকাটায়। এমন চিত্র দেখা গেছে সাভারের অধিকাংশ ফুটপাতে ও মার্কেটের সামনে।

শিল্পনগরী হওয়ায় করোনার ঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকার সব থেকে কাছের  পৌর শহর সাভার। পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার পর হু,হু করে বাড়তে থাকে করানো আক্রান্ত সংখ্যা। সাভারে গত ২০শে মে পর্যন্ত ১ হাজার ৩৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৫৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ জন। সব দিকে আতঙ্ক বাড়তে থাকে।

এরইমধ্যে চলতি মাসের ১০ তারিখে খুলে দেয়া হয় সাভারের সব শপিংমল। কিন্তু হঠাৎ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ বিবেচনা করে  খুলে দেয়ার কয়েক দিনের মাথায় আবারো সব শপিংমল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু তাতে খুব একটা উপকারে আসেনি। মার্কেটের দোকানিরাই এখন মার্কেটের সামনে পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সাভারে ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় ১৫টির মত মার্কেট রয়েছে। সবগুলোই এখন বন্ধ থাকলেও অলিগলিতে চলছে ঈদ বেচাকেনা। সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে বিরুলিয়া রোডের ডানপাশে রয়েছে অন্ধ সুপার মার্কেট এবং পাশে চৌরঙ্গী সুপার মার্কেট। আরেকটু সামনে রয়েছে ভরসা সুপার মার্কেট।

শুক্রবার বিকালে সরজমিন বিরুলিয়া রোডে দেখা গেছে, মার্কেট বন্ধ থাকলেও অন্ধ চৌরঙ্গীর মার্কেটের দুই পাশে টেবিলের উপর রেখে ঈদ পোশাক বিক্রি করছেন দোকানিরা। নিচতলার কিছু দোকান খোলা রয়েছে।

এদিকে ভরসা সুপার মার্কেটের সামনে প্রধান গেটের সঙ্গে পোশাক ঝুলিয়ে বিক্রি করছেন দোকানিরা। মার্কেটের সামনেই ছোট বাচ্চাদের পোশাক, জামা-জুতা ও পাঞ্জাবি বিক্রি করছেন তারা। রাস্তার দু'পাশের অবস্থা এমন যেন মার্কেটের সামনে আরেকটি মার্কেট।

পণ্যের দাম একটু কম হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ এসব মার্কেট থেকে বেশি কেনাকাটা করে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা ব্যস্ত দাম কষাকষি নিয়ে। কারো মধ্যেই নেই সামাজিক দুরুত্ব ও সচেতনতা।

এবিষয়ে দিলখুশাবাগের স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা কেমন নিয়ম বুঝলাম না, যদি ফুটপাত কিংবা মার্কেটের সামনে দোকানদারি করা যায় তাহলে শপিংমল খুলে দিতে দোষ কোথায়? তাহলে তো রাস্তার ওপরে এত ভীড় হয় না। এত ঝুঁকি থাকে না। যানবাহনসহ পথচারীদের চলতে সমস্যা হয় না।

তিনি বলেন, এখানে প্রশাসনের দৃষ্টি দেয়া উচিত। না হলে করোনা সংক্রমণ আরো বাড়বে। এই এলাকায় আমাদের ঘরবাড়ি তাই আমরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। তাই এসব বন্ধের দাবি জানাই।

এদিকে কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, ফুটপাত সব জায়গায় ছিল লোক সমাগম। দেখে বোঝার কোন উপায় নেই যে এই এলাকায় মহামারি করোনার মতো কোন প্রকোপ আছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status