খেলা

দূরত্ব মেনে চলার প্রভাব পড়েছে নৈপুণ্যেও

স্পোর্টস ডেস্ক

২২ মে ২০২০, শুক্রবার, ১২:১৫ অপরাহ্ন

করোনকালে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার প্রভাব পড়েছে খেলার মাঠের নৈপুণ্যেও। খেলোয়াড়রা ম্যাচ চলাকালে মাঠে আগের চেয়ে কম ট্যাকল করছেন, বল পায়ে রাখছে কম। কমে গেছে বল পায়ে ড্রিবলের হারও। করোনার মাঝেই জার্মানিতে ফিরেছে ফুটবল। ফেরার পথে রয়েছে স্পেন, ইংল্যান্ড ও ইতালিতে। নানা রকম বিধি-নিষেধ আর নিয়ম-কানুনের মধ্যে চলছে বুন্দেসলিগা। দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম মানতে গিয়ে খেলা শুরুর আগে হাত মেলানো, একসঙ্গে ছবি তোলা, গোল উদযাপনের চিরায়ত দৃশ্যগুলো উধাও হয়ে গেছে। ডাগআউটে কোচ ও খেলোয়াড়রা বসছেন দূরত্ব রেখে। পরছেন মাস্ক। কিন্তু খেলার মাঠে কি দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব? বুন্দেসলিগা ফেরার পর প্রথম সপ্তাহের ম্যাচগুলোর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ফুটবলারদের মধ্যে আগের মতো আক্রমণাত্মক ফুটবলের বদলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে খেলার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে।
গত সপ্তাহে বুন্দেসলিগার ৯ ম্যাচের যে সার্বিক পরিসংখ্যান দেখা যায়, আগের চেয়ে ট্যাকল, ড্রিবলের মাত্রা অনেক কমেছে। যা ইঙ্গিত দিচ্ছে, ফুটবল ফিরলেও অস্বস্তি পুরো যায়নি ফুটবলারদের। গত মার্চে বুন্দেসলিগা স্থগিতের আগে প্রতি ম্যাচে ট্যাকল হতো ৩৩.৫ শতাংশ, তা এখন দাঁড়িয়েছে ৩০.৫-এ। আগে প্রত্যেক ম্যাচে ড্রিবল হত ৩৮.৫ শতাংশ। এখন সেটা নেমে এসেছে ২৯-এ। এতে বোঝা যায়, আগের চেয়ে খেলার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ব্যাপারটা অনেক কমে গিয়েছে, এবং তার কারণ করোনা-আবহে ফুটবল শুরু হওয়ায় ফুটবলারদের মনে সংক্রমণ সংক্রান্ত আতঙ্ক রয়েই গিয়েছে।
 
যদিও এই পরিসংখ্যান নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন বায়ার্ন মিউনিখ কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। ক্লাবের ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, ‘মনে রাখতে হবে, গত দুই মাস বলের সঙ্গে ফুটবলারদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আর মাঠে অনুশীলন এবং বাড়িতে অনুশীলনের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। ফলে সময়ের সঙ্গে মন্থরতা কেটে যাবে।’ বরং ফ্লিক মনে করেন, ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। পরিসংখ্যানও তার সাক্ষ্য দিচ্ছে। গত সপ্তাহে বুন্দেসলিগার ম্যাচে ৯০ মিনিটে একটি দল দৌড়েছে ১৪৩.৪ মাইল। লীগ স্থগিত হওয়ার আগে যা ছিল ১৪৪.৪ মাইল। অর্থাৎ দু’মাস পরে ফুটবল শুরু হওয়ার পর সেই ব্যবধান দাঁড়িয়েছে মাত্র ১.১ মাইলের।
 
প্রতি ম্যাচে স্প্রিন্টের হিসাব দাঁড়িয়েছে ৪৩৬.২, লকডাউনের আগে যা ছিল ৪৪০.৬। বরং দুই মাস পরে ফুটবল শুরু হওয়ার পরে শূন্যে বল দখলের লড়াইয়ের মাত্রা অনেকটা বেড়েছে। গত সপ্তাহের ম্যাচের পরে সেটা দাঁড়িয়েছে ৭১ শতাংশ, আগে যা ছিল ৬৮.৩ শতাংশ। যদিও ম্যাচ প্রতি গোলের পরিমাণ বেশ কিছুটা কমেছে (২.৭৫ শতাংশ)। লকডাউনের আগে যা ছিল ৩.২৫। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড কোচ লুসিয়েন ফাভ্রে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে মাঠে নামার পরে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনতে কিছুটা সময় লাগবে। সকলেই এখন নিজেদের সুরক্ষিত রেখে ফুটবল খেলছে।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status