খেলা
অসম্ভব শ্রীলঙ্কা সফর, ঝুঁকি নিবে না বিসিবি
স্পোর্টস রিপোর্টার
২১ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৩:২৯ পূর্বাহ্ন
একের পর এক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজ বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশ দলের। সেই তালিকায় যোগ হতে যাচ্ছে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরও। তবে বাংলাদেশ দলকে আতিথ্য দিতে প্রস্তুত শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। জুনের শেষেই তারা টাইগারদের সঙ্গে সিরিজ খেলতে চায়। লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সিইও অ্যাশলে ডি সিলভা এমনটাই জানিয়েছেন। তবে শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি এক নয়। যেখানে লঙ্কানরা নিশ্চিন্ত সেখানে এ দেশে শঙ্কার কালো মেঘ। এরই মধ্যে আক্রান্ত ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে, সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ৪’শ ছুঁই ছুঁই। প্রতিদিনই বাড়ছে এই সংখ্যা। দুই মাস ধরে ক্রিকেটাররা রয়েছে বন্দি অবস্থায়। টাইগারদের একের পর এক সফর ও সিরিজ বাতিল হয়েছে। কবে মাঠে ফিরবে ক্রিকেট তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। তাই শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়াও প্রায় অসম্ভব বললেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। দৈনিক মানবজমিনকে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে আমরা একটুও ভাবছি না। কারণ আমাদের করোনা পরিস্থিতি মোটেও ভালো নয়। এই সফর এক রকম অসম্ভবই বলা যায়।’
জুনের শেষে হলেও কেন অসমম্ভব তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘দেখেন দুই মাস ধরে আমাদের সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ। আমাদের দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন আরো খারাপের দিকে। তাই মাঠে ক্রিকেট কবে গড়াবে তা অনিশ্চিত। তার মানে এমন একটি টেস্ট সিরিজের জন্য যে প্রস্ততি নেয়া প্রয়োজন তা আমাদের নেই। ক্রিকেট মাঠে ফিরলেও প্রস্তুতির তেমন সময় পাওয়া যাবে না। এই কারণেই বলছি যে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়া আমাদের জন্য ভীষণ কঠিন।’ আকরাম খানের কথাতে অনেটাই নিশ্চিত বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়া হচ্ছে না।’
অন্যদিকে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সিইও অ্যাশলে ডি সিলভা বলেছেন, ‘যেহেতু বিসিবির পক্ষ থেকে সিরিজ বাতিল বা স্থগিতের কোনো প্রস্তাব আসেনি, তাই আমরা এখনো অপেক্ষায় আছি। আমরা বিসিবির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।’ এ বিষয়ে বিসিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য না আসলেও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বলেন, ‘না, আমরা ক্রিকেট নিয়ে ভাবতেই পারছি না এখন। আগে পরিস্থিতির উন্নতি হোক তার পর ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করা যাবে।’
মার্চে বাংলাদেশ দলের তৃতীয় দফায় পাকিস্তান সফর বাতিল হয়। সফরটির শেষ ধাপে সিরিজের শেষ টেস্ট ও তার আগে একটি ওয়ানডে খেলার কথা ছিল টাইগারদের। এরপর মে-তে বাংলাদেশ দলের আয়ারল্যান্ড সিরিজ, জুনে অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফরও বাতিল হয়। এরপর ১৯শে মার্চ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করা হয় টাইগারদের সব ধরনের ক্রিকেট।
গতকাল দুই মাস পূর্ণ হলো বাংলাদেশ দলের ক্রিকেট স্থগিত ঘোষণার। গেল মার্চের ১৯ তারিখ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অনির্দিষ্ট কালের জন্য দেশের সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধের ঘোষণা দেন। তবে আশা করেছিলেন ১৫ এপ্রিলের পর হয়তো খেলা শুরু হতে পারে। কিন্তু পরিস্থিতি যা হয়েছে তাতে এখন আর কারো পক্ষেই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না কবে মাঠে ফিরবে ক্রিকেট। এমন অবস্থায় ক্রিকেটাররাও বাড়িতে থেকে থেকে বিষিয়ে উঠছেন। মাঠে ফিরতে ব্যাকুল তারা। তাদের চাপে ঈদের পরই ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ ফের শুরু করতে আহবান জানিয়েছে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। তবে আকরাম খান বলেন, ‘আমি বলবো ক্রিকেটারদের এখন ঘরে বসেই নিজেকে ফিট রাখার কাজ করতে হবে। কারণ আমরা ক্রিকেটারদের নিয়ে এই মুহূর্তে কোনো ধররে ঝুঁকি নিতে চাই না। দেখেন পরিস্থিতি যদি ভালোর দিকে যেত তাহলে হয়তো আশাবাদী হতে পারতাম। কিন্তু তা নয়। তাই ক্রিকেটারদের কাছে অনুরোধ থাকবে তারা যেন ঘরে থেকে নিজেদের শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ এখন আমাদের এটি ছাড়া আর কিছুই করার নেই।’
জুনের শেষে হলেও কেন অসমম্ভব তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘দেখেন দুই মাস ধরে আমাদের সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ। আমাদের দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন আরো খারাপের দিকে। তাই মাঠে ক্রিকেট কবে গড়াবে তা অনিশ্চিত। তার মানে এমন একটি টেস্ট সিরিজের জন্য যে প্রস্ততি নেয়া প্রয়োজন তা আমাদের নেই। ক্রিকেট মাঠে ফিরলেও প্রস্তুতির তেমন সময় পাওয়া যাবে না। এই কারণেই বলছি যে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়া আমাদের জন্য ভীষণ কঠিন।’ আকরাম খানের কথাতে অনেটাই নিশ্চিত বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়া হচ্ছে না।’
অন্যদিকে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সিইও অ্যাশলে ডি সিলভা বলেছেন, ‘যেহেতু বিসিবির পক্ষ থেকে সিরিজ বাতিল বা স্থগিতের কোনো প্রস্তাব আসেনি, তাই আমরা এখনো অপেক্ষায় আছি। আমরা বিসিবির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।’ এ বিষয়ে বিসিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য না আসলেও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বলেন, ‘না, আমরা ক্রিকেট নিয়ে ভাবতেই পারছি না এখন। আগে পরিস্থিতির উন্নতি হোক তার পর ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করা যাবে।’
মার্চে বাংলাদেশ দলের তৃতীয় দফায় পাকিস্তান সফর বাতিল হয়। সফরটির শেষ ধাপে সিরিজের শেষ টেস্ট ও তার আগে একটি ওয়ানডে খেলার কথা ছিল টাইগারদের। এরপর মে-তে বাংলাদেশ দলের আয়ারল্যান্ড সিরিজ, জুনে অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফরও বাতিল হয়। এরপর ১৯শে মার্চ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করা হয় টাইগারদের সব ধরনের ক্রিকেট।
গতকাল দুই মাস পূর্ণ হলো বাংলাদেশ দলের ক্রিকেট স্থগিত ঘোষণার। গেল মার্চের ১৯ তারিখ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অনির্দিষ্ট কালের জন্য দেশের সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধের ঘোষণা দেন। তবে আশা করেছিলেন ১৫ এপ্রিলের পর হয়তো খেলা শুরু হতে পারে। কিন্তু পরিস্থিতি যা হয়েছে তাতে এখন আর কারো পক্ষেই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না কবে মাঠে ফিরবে ক্রিকেট। এমন অবস্থায় ক্রিকেটাররাও বাড়িতে থেকে থেকে বিষিয়ে উঠছেন। মাঠে ফিরতে ব্যাকুল তারা। তাদের চাপে ঈদের পরই ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ ফের শুরু করতে আহবান জানিয়েছে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। তবে আকরাম খান বলেন, ‘আমি বলবো ক্রিকেটারদের এখন ঘরে বসেই নিজেকে ফিট রাখার কাজ করতে হবে। কারণ আমরা ক্রিকেটারদের নিয়ে এই মুহূর্তে কোনো ধররে ঝুঁকি নিতে চাই না। দেখেন পরিস্থিতি যদি ভালোর দিকে যেত তাহলে হয়তো আশাবাদী হতে পারতাম। কিন্তু তা নয়। তাই ক্রিকেটারদের কাছে অনুরোধ থাকবে তারা যেন ঘরে থেকে নিজেদের শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ এখন আমাদের এটি ছাড়া আর কিছুই করার নেই।’