বিশ্বজমিন

আম্ফান তাণ্ডব ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গে, মৃত ১২, বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি

মানবজমিন ডেস্ক

২০ মে ২০২০, বুধবার, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান তছনছ করে দিয়েছে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গকে। আম্ফান তান্ডবে পশ্চিমবঙ্গে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। ধসে পড়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকা দালান। উপচে পড়েছে গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি। চারদিকে শুধু ধ্বংসলীলা চালিয়েছে আম্ফান। করোনা ভাইরাসের চেয়েও বেশি ক্ষতি করেছে এই ঘূর্ণিঝড় এমনটা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন এতে ক্ষয়ক্ষতি কমপক্ষে এক লাখ কোটি রুপি দাঁড়াতে পারে। এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রস্থল ছিল ৩০ কিলোমিটার ব্যাসের। এর মধ্যে তার সামনে যা পেয়েছে তার সবটাই উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে। বুধবার এই তীব্র শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ঘন্টায় ১৮৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ে স্থলভাগে। এ সময় ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাস দেখা দেয়। পশ্চিমবঙ্গে ৫ লক্ষাধিক মানুষকে এবং ওড়িশায় এক লক্ষাধিক মানুষকে সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়। ওদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তার রাজ্যে কমপক্ষে তিনজন মারা গেছেন। তবে এই সংখ্যা ১২তে দাঁড়াতে পারে। তার তথ্যমতে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে সবকিছু নতুন করে আবার গড়ে তুলতে হবে। তীব্র বাতাসের কারণে গাছ পড়ে উত্তর ২৪ পরগণায় একজন পুরুষ ও একজন নারী নিহত হয়েছেন। পাশেই হাওড়ায় গাছ পড়ে মারা গেছে ১৩ বছর বয়সী একটি বালিকা। উত্তর ২৪ পরগণায় প্রায় ৫৫০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ তথ্য দিয়ে বসিরহাট সাব ডিভিশনাল অফিসার বিবেক ভাসমি বলেছেন, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বলা হয়েছে, কলকাতায় অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুত না থাকায় গত সন্ধ্যায় শহরের অনেক এলাকা ছিল অন্ধকারে। রাস্তায় পানি জমে যায়। উপড়ে পড়ে গাছ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, কিভাবে দক্ষিণ কলকাতায় হাইরাইজ ভবনগুলোতে একটির সঙ্গে একটি গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়েছে। গাছ উপড়ে পড়ে মাটিতে পড়ে আছে। বজ্রপাতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে গেছে।
এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করে বুধবার সন্ধ্যায়। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৫৫ থেকে ১৬০ কিলোমিটারের মধ্যে। তা বেড়ে সুন্দরবনে ১৮৫ কিলোমিটারে দাঁড়ায়।
ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনীর প্রধান এসএনপ্রধান বলেছেন, এই ঘূর্ণিঝড় দেশের জন্য ডাবল চ্যালেঞ্জ। একদিকে করেনা মহামারি। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়। দায়িত্বে রয়েছে তার সংস্থার ৪১টি টিম।
কলকাতায় উপকূলের কাছাকাছি বিমানবন্দরগুলোকে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওদিকে ভিডিও ফুটেছে দেখা গেছে তীব্র শক্তি সম্পন্ন বাতাস ওড়িশার প্যারাদ্বীপ এবং পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণার ওপর দিয়ে তা-ব চালিয়ে যাচ্ছে। এতে পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status