অনলাইন
রেন্টাল বিদ্যুৎপদ্ধতি বাতিলের আহ্বান টিআইবির
স্টাফ রিপোর্টার
২০ মে ২০২০, বুধবার, ৭:৪০ পূর্বাহ্ন
সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য এবং নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গণমাধ্যম প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের বিদ্যুৎ সক্ষমতার একটি বড় অংশ অব্যবহৃত রয়ে গেছে। এছাড়া বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া ও ভর্তুকি হিসেবে রাষ্ট্রের গনচুম্বী অপচয়ের বোঝা জনগণের সামর্থ্যের বাইরে চলে গেছে। এ অবস্থায় রেন্টাল বিদ্যুৎপদ্ধতি যত শীঘ্র সম্ভব বাতিলসহ পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্লান-২০১৬ কে নতুন করে ঢেলে সাঁজানোর আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় টিআইবি।
বিদ্যুৎ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, দেশের বিদ্যুৎ সক্ষমতার একটি বড় অংশ বর্তমানে অলস বসে থাকায় ২০২০ সালের এপ্রিল-জুন পর্যন্ত এ খাতে মোট ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হবে।
সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনোমিকস ফাইনান্সিয়াল অ্যানালিসিস (আইইইএফএ) এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র বেশি স্থাপন করায় সরকারকে ৫৭ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি আরো দীর্ঘ হলে অব্যবহৃত বিদ্যুৎ সক্ষমতার অপচয়বাবদ এপ্রিল-ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ ৩৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকায় দাঁড়াবে। এমতাবস্থায় বিদ্যুৎ বিভাগ ইতিমধ্যে সরকারের কাছে ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে, সরকারের পাওয়ার সেল জ্বালানি খাতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখার স্বার্থে সেচের জন্য কৃষককে প্রদেয় ভর্তুকির টাকা কৃষি মন্ত্রণালয়কে না দিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে প্রদানের যে সুপারিশ করেছে তা অন্যায্য উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অপ্রয়োজনীয় অলস বসে থাকা বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রাখাকে কৃষকের জন্য নির্ধারিত ভর্তুকির চেয়ে প্রাধান্য দেয়া চরম বৈষম্যমূলক। এর ফলে কৃষকরা যেমন বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেমনি ধনাঢ্য বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের জন্য অযাচিত ভর্তুকির বোঝাও বাস্তবে কৃষকসহ সাধারণ মানুষকেই বইতে হবে।
‘এরূপ গণবিরোধী পদক্ষেপ থেকে সরে এসে বরং বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ভর্তুকি প্রদান বন্ধ করতে হবে। দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ আইন ২০১০ বাতিল করতে হবে এবং পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্লান-২০১৬ কে নতুন করে ঢেলে সাঁজাতে হবে।’
অন্যদিকে উদ্বেগজনকভাবে কয়লাবিদ্যুতের প্রতি মোহজনিত অতিরিক্ত নির্ভরতা বাড়ানোর আত্মঘাতী কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নির্বাহী পরিচালক বলেন, দেশে ২১ হাজার মোগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ থাকলেও সরকারের অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎখাত থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নেও বাস্তব প্রচেষ্টা লক্ষণীয় নয়। সঠিক পরিকল্পনার ঘাটতি এবং চাহিদা না থাকার পরও শুধুমাত্র ব্যবসায়িক কারণে একের পর এক কয়লা ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে জ্বালানি খাতে সংকট আরো প্রকট হয়েছে।
এমন স্ববিরোধী অবস্থান থেকে সরে এসে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তির আলোকে সরকার প্রতিশ্রুত ২০৫০ সাল নাগাদ পরিবেশবান্ধব এবং আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী ১০০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় টিআইবি।
বিদ্যুৎ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, দেশের বিদ্যুৎ সক্ষমতার একটি বড় অংশ বর্তমানে অলস বসে থাকায় ২০২০ সালের এপ্রিল-জুন পর্যন্ত এ খাতে মোট ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হবে।
সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনোমিকস ফাইনান্সিয়াল অ্যানালিসিস (আইইইএফএ) এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র বেশি স্থাপন করায় সরকারকে ৫৭ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি আরো দীর্ঘ হলে অব্যবহৃত বিদ্যুৎ সক্ষমতার অপচয়বাবদ এপ্রিল-ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ ৩৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকায় দাঁড়াবে। এমতাবস্থায় বিদ্যুৎ বিভাগ ইতিমধ্যে সরকারের কাছে ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে, সরকারের পাওয়ার সেল জ্বালানি খাতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখার স্বার্থে সেচের জন্য কৃষককে প্রদেয় ভর্তুকির টাকা কৃষি মন্ত্রণালয়কে না দিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে প্রদানের যে সুপারিশ করেছে তা অন্যায্য উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অপ্রয়োজনীয় অলস বসে থাকা বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রাখাকে কৃষকের জন্য নির্ধারিত ভর্তুকির চেয়ে প্রাধান্য দেয়া চরম বৈষম্যমূলক। এর ফলে কৃষকরা যেমন বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেমনি ধনাঢ্য বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের জন্য অযাচিত ভর্তুকির বোঝাও বাস্তবে কৃষকসহ সাধারণ মানুষকেই বইতে হবে।
‘এরূপ গণবিরোধী পদক্ষেপ থেকে সরে এসে বরং বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ভর্তুকি প্রদান বন্ধ করতে হবে। দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ আইন ২০১০ বাতিল করতে হবে এবং পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্লান-২০১৬ কে নতুন করে ঢেলে সাঁজাতে হবে।’
অন্যদিকে উদ্বেগজনকভাবে কয়লাবিদ্যুতের প্রতি মোহজনিত অতিরিক্ত নির্ভরতা বাড়ানোর আত্মঘাতী কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নির্বাহী পরিচালক বলেন, দেশে ২১ হাজার মোগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ থাকলেও সরকারের অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎখাত থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নেও বাস্তব প্রচেষ্টা লক্ষণীয় নয়। সঠিক পরিকল্পনার ঘাটতি এবং চাহিদা না থাকার পরও শুধুমাত্র ব্যবসায়িক কারণে একের পর এক কয়লা ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে জ্বালানি খাতে সংকট আরো প্রকট হয়েছে।
এমন স্ববিরোধী অবস্থান থেকে সরে এসে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তির আলোকে সরকার প্রতিশ্রুত ২০৫০ সাল নাগাদ পরিবেশবান্ধব এবং আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী ১০০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে আহ্বান জানান তিনি।