খেলা
লীগ বাতিল হওয়ায় হতাশ ফুটবলাররা
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ মে ২০২০, মঙ্গলবার, ১২:২১ অপরাহ্ন
স্থগিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। স্বাধীনতা কাপ বাতিল করার মধ্যদিয়ে ইতিটানা হয়েছে ২০১৯-২০ মৌসুমের। মৌসুম বাতিল হলেও ফুটবলারদের চুক্তি নিয়ে ক্লাবগুলোকে কোনো রকম নির্দেশনা দেয়নি বাফুফে। লীগ শেষ না হলেও ফুটবলাররা চুক্তির আওতায় পুরো টাকা পাচ্ছে কি পাচ্ছে না তাও জানায়নি ফেডারেশন। আর এতেই হতাশ ফুটবলাররা।
প্রিমিয়ার লীগের অধিকাংশ ক্লাবই আর্থিক সংকটের কথা বিবেচনা করেই লীগ বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সপ্তাহদুয়েক আগে চিঠিও দিয়েছে লীগ বাতিল চায় তারা। দলগুলোর পরামর্শ মেনে এএফসির গাইডলাইন ফলো করেই পরিত্যাক্তর ঘোষণা দিয়েছে বাফুফে। এখন অবস্থাটা দাঁড়াচ্ছে করোনা পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত নতুন লীগ চালু করার ইচ্ছা নেই ফেডারেশনের। এই বিরতিতে স্থানীয় ফুটবলারদের কী হবে? কেননা বিদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে ক্লাবের মাসভিত্তিক চুক্তি হলেও স্থানীয়দের সঙ্গে মৌসুমভিত্তিক চুক্তি হয়। তাদের সঙ্গে দলের চুক্তির বিষয়টি কোথায় দাঁড়াবে বা কতটুকু পারিশ্রমিক তারা পাচ্ছে সেই বিষয়েও কোনও নির্দেশনা আসেনি বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠক থেকে। এ বিষয়ে নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পেশাদার লীগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমরা একটা এজেন্ডা নিয়েই এই বৈঠকে বসেছিলাম। লীগের ভবিষ্যত কী? আমরা অলরেডি সেটি ঘোষণা করেছি।’ পরবর্তীতে যখন খেলোয়াড়দের এই চুক্তি ইস্যু উঠবে তখন আবারো বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি। লীগ বাতিল করলেও খেলোয়াড়দের চুক্তির বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এনিয়ে শেখ রাসেলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা বলেন, ‘আমরা তো ক্লাবের হয়ে ৬ মাস কাজ করেছি। এখন তাহলে আমাদের চুক্তির বিষয় নিয়ে কী হবে। বিদেশিরা তো অনেকেই টাকা পেয়েছে। স্থানীয় খেলোয়াড়দের বিষয়ে কী হবে? সেটা নিয়ে পরিষ্কার করে সবকিছু বলা উচিত ছিলো।’ বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার তপু বর্মণ খেলা না-হওয়াটাকে কোনও অবস্থাতেই ইতিবাচকভাবে নিতে পারছেন না, ‘ফিটনেস ধরে রাখাটা এখন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। খেলার মধ্যে না থাকলে তখন জাতীয় দলে এর প্রভাব পড়তে পারে। আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখা দেবে। আমার মনে হয় আরও কিছুদিন অপেক্ষা করে প্রয়োজনে ক্লোজডোরে একটি মাঠে লীগের বাকি খেলা খেলানো যেতো। বুন্দেস লিগা তো শুরু হয়েছে। তাহলে আমরা পারবো না কেন?’ আবাহনী লিমিটেডের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার ওয়ালি ফয়সাল বলেন, ‘মাসখানেক অপেক্ষা করে খেলাটা চালাতে পারলে ভালো হতো। এখন যেহেতু সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, আর কী বলবো। আমাদের চুক্তির বিষয় কী হবে? অনেকদিন ধরে বাসায় আছি। এভাবে হলে তো ফিটনেস ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।’ জাতীয় দলের মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম মামুন বলেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন দ্রুতই সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিল। চাইলে তারা আর একটু অপেক্ষা করতে পারতো। অন্তত দেশি ফুটবলারদের কথা বিবেচনা করে পরিস্থিতি ভালো হলে লীগটা চালানো যেত। এতে দেশি ফুটবলাররা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হতো, উপকৃত হতো জাতীয় দল। কারনে সামনে জাতীয় দলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের খেলা আছে। লীগটা হলে সেসব ম্যাচের মাধ্যমে জাতীয় দলের ফুটবলাররা নিজেদের তৈরি করতে পারতো।
প্রিমিয়ার লীগের অধিকাংশ ক্লাবই আর্থিক সংকটের কথা বিবেচনা করেই লীগ বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সপ্তাহদুয়েক আগে চিঠিও দিয়েছে লীগ বাতিল চায় তারা। দলগুলোর পরামর্শ মেনে এএফসির গাইডলাইন ফলো করেই পরিত্যাক্তর ঘোষণা দিয়েছে বাফুফে। এখন অবস্থাটা দাঁড়াচ্ছে করোনা পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত নতুন লীগ চালু করার ইচ্ছা নেই ফেডারেশনের। এই বিরতিতে স্থানীয় ফুটবলারদের কী হবে? কেননা বিদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে ক্লাবের মাসভিত্তিক চুক্তি হলেও স্থানীয়দের সঙ্গে মৌসুমভিত্তিক চুক্তি হয়। তাদের সঙ্গে দলের চুক্তির বিষয়টি কোথায় দাঁড়াবে বা কতটুকু পারিশ্রমিক তারা পাচ্ছে সেই বিষয়েও কোনও নির্দেশনা আসেনি বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠক থেকে। এ বিষয়ে নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পেশাদার লীগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমরা একটা এজেন্ডা নিয়েই এই বৈঠকে বসেছিলাম। লীগের ভবিষ্যত কী? আমরা অলরেডি সেটি ঘোষণা করেছি।’ পরবর্তীতে যখন খেলোয়াড়দের এই চুক্তি ইস্যু উঠবে তখন আবারো বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি। লীগ বাতিল করলেও খেলোয়াড়দের চুক্তির বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এনিয়ে শেখ রাসেলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা বলেন, ‘আমরা তো ক্লাবের হয়ে ৬ মাস কাজ করেছি। এখন তাহলে আমাদের চুক্তির বিষয় নিয়ে কী হবে। বিদেশিরা তো অনেকেই টাকা পেয়েছে। স্থানীয় খেলোয়াড়দের বিষয়ে কী হবে? সেটা নিয়ে পরিষ্কার করে সবকিছু বলা উচিত ছিলো।’ বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার তপু বর্মণ খেলা না-হওয়াটাকে কোনও অবস্থাতেই ইতিবাচকভাবে নিতে পারছেন না, ‘ফিটনেস ধরে রাখাটা এখন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। খেলার মধ্যে না থাকলে তখন জাতীয় দলে এর প্রভাব পড়তে পারে। আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখা দেবে। আমার মনে হয় আরও কিছুদিন অপেক্ষা করে প্রয়োজনে ক্লোজডোরে একটি মাঠে লীগের বাকি খেলা খেলানো যেতো। বুন্দেস লিগা তো শুরু হয়েছে। তাহলে আমরা পারবো না কেন?’ আবাহনী লিমিটেডের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার ওয়ালি ফয়সাল বলেন, ‘মাসখানেক অপেক্ষা করে খেলাটা চালাতে পারলে ভালো হতো। এখন যেহেতু সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, আর কী বলবো। আমাদের চুক্তির বিষয় কী হবে? অনেকদিন ধরে বাসায় আছি। এভাবে হলে তো ফিটনেস ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।’ জাতীয় দলের মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম মামুন বলেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন দ্রুতই সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিল। চাইলে তারা আর একটু অপেক্ষা করতে পারতো। অন্তত দেশি ফুটবলারদের কথা বিবেচনা করে পরিস্থিতি ভালো হলে লীগটা চালানো যেত। এতে দেশি ফুটবলাররা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হতো, উপকৃত হতো জাতীয় দল। কারনে সামনে জাতীয় দলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের খেলা আছে। লীগটা হলে সেসব ম্যাচের মাধ্যমে জাতীয় দলের ফুটবলাররা নিজেদের তৈরি করতে পারতো।