অনলাইন

যুবককে ফাঁদে ফেলে যুবতীর সঙ্গে নগ্ন ছবি, ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে

৬ এপ্রিল ২০২০, সোমবার, ৪:০৩ পূর্বাহ্ন

খুলনা মহানগরীতে মো. ইব্রাহিম খান (৩৫) নামের এক যুবককে ফাঁদে ফেলে বিবস্ত্র করে যুবতীর সঙ্গে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ এবং নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করতে গেলে ঘটনাস্থল নিয়ে স্নায়ু দ্বন্দ্বে সোনাডাঙ্গা মডেল ও খালিশপুর থানা পুলিশ তা গ্রহণ করছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। খুলনা প্রেস ক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে উল্লিখিত অভিযোগ করেন যুবক ইব্রাহিম খান।  

ইব্রাহিম লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ৩০ মার্চ সকাল ৮টার দিকে তিনি জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হয়ে নগরীর কেডিএ এভিনিউস্থ পুরাতন আমদা ইন্সটিটিউটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুই যুবক এসে গাড়ি থেকে নেমে তার কাছে ‘ফিটনেস হেলথ কেয়ার জিম’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চান। কথা বলার এক পর্যায়ে আকস্মিকভাবে অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে গাড়িতে উঠতে বাধ্য করে। গাড়িতে তুলে খালিশপুরস্থ কাশিপুর রাজধানী মোড়ের একটি দোতালা বাড়িতে নেয়া হয়। সেখানে নিয়ে তার কাছে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা, উজ্জ্বল নামে একজনকে দেয়ার জন্য রাখা তার সাক্ষরিত ন্যাশনাল ব্যাংকের এক লাখ টাকার একটি চেক, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং পাসপোর্ট সাইজের কয়েক কপি ছবি ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে তাকে প্রচন্ড নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে এক যুবতীকে এনে তার সঙ্গে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ইব্রাহিমের মায়ের মোবাইলে ফোন করে দুর্বৃত্তরা নগ্ন ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিয়ে কোনো চালাকি করলে বা পুলিশে খবর দিয়ে ইব্রাহিমকে হত্যা করা হবে বলেও তার মাকে ভয় দেখানো হয়। কিন্তু টাকার ব্যবস্থা না করায় দুর্বৃত্তরা ওই বাড়িতে সিরাজুল হক নামে স্থানীয় একজন কাজীকে ডেকে এনে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে শান্তা খাতুন নামে নগ্ন ভিডিও ধারণ করা ওই যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে- মর্মে একটি রেজিস্ট্রি কাবিন তৈরি করে।

এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, শান্তা নামে যে মেয়ের সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়া হয়েছে মর্মে ইব্রাহিম অভিযোগ করেছে ওই মেয়ে থানায় এসে তার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে। তবে, ঘটনাস্থল খালিশপুর থানা এলাকায় হওয়ায় তিনি কারোর অভিযোগই গ্রহণ না করে খালিশপুর থানায় যেতে বলেছেন।

খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাব্বিরুল আলম বলেন, ওই যুবককে সোনাডাঙ্গা থানা এলাকা থেকেই অপহরণ করা হয়েছে। যে কারণে মামলাটি সোনাডাঙ্গা থানাতেই হবে। কিন্তু সোনাডাঙ্গা থানা মামলা নিচ্ছে না কেন এ বিষয়ে তার কিছুই বলার নেই বলেও জানান তিনি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status