বিশ্বজমিন
আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল: ডাফি
বিশেষ প্রতিনিধি, বৃটেন থেকে
৬ এপ্রিল ২০২০, সোমবার, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের ধর্ষিত হওয়ার মর্মন্তুদ কাহিনী শেয়ার করেছেন ওয়েলশের পপতারকা ডাফি। রোববার সন্ধ্যায় ৩৫ বছর বয়সী এই রকফেরী সিঙ্গার নিজের ইনস্টাগ্রামে এ কাহিনী শেয়ার করেন। সেখানে তিনি ভক্তদের কাছে সাহসের সাথে প্রকাশ করেছেন কিভাবে তিনি অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হন। কিভাবে তাকে মাদক দেয়া হয়েছিল। কয়েকদিনের বন্দি জীবন কিভাবে কাটে এবং কিভাবে ফিরে আসেন। তবে ডাফি এখন পর্যন্ত ধর্ষণকারীর নাম প্রকাশ করেননি।
ডাফি বলেন, আমি জনসাধারণের চোখ থেকে আমার অন্তর্ধান সম্পর্কে মিথ্যা বলতে পারবো না। দিনটি ছিল আমার জন্মদিন। আমি একটি রেস্তোঁরায় মাতাল ছিলাম। তারপর আমাকে চার সপ্তাহ ধরে মাদক দেয়া হয়েছিল। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আমাকে একটি দেশে নেয়া হয়। বিমান ভ্রমণ ও গাড়িতে চড়ার সময়ের কথা আমার কিছুই মনে নেই। বিদেশে আমাকে একটি হোটেল কক্ষে রাখা হয়। সেখানে আমি ধর্ষণের শিকার হই।
ডাফি বলেন, আমার ব্যথার কথা মনে পড়ে। এই ঘটনার পর আমি সচেতন থাকার চেষ্টা করেছি। তারপরও সেখানে ছিলাম। সে (ধর্ষণকারী) আমার মুখের দিকে তাকাতে পারছিল না। যখন সে ঘুমিয়ে পড়ে তখন আমি পাশের কোন শহরে চলে যাওয়ার কথা ভাবছিলাম। কিন্তু আমার কাছে নগদ টাকা ছিল না। আমার ভয় ছিল সে পুলিশ ডাকবে এবং আমাকে একজন নিখোঁজ হিসেবে চিহ্নিত ও উদ্ধার করবে। আমি জানি জানি না কিভাবে সে দিনগুলো সহ্য করেছি। তবে আমি সবসময় এমন একটা কিছুর উপস্থিতি অনুভব করেছি যা আমাকে বেঁচে থাকতে সহায়তা করছিল।
ডাফি বলেছেন, আমি তার সাথে ফিরে আসি। শান্ত থাকার চেষ্টা করি। আমি জানতাম আমার জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সে (ধর্ষণকারী) আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। আমার বাড়িতেও সে আমাকে চার সপ্তাহ মাদকাসক্ত রাখে। এ সময় সে আমাকে ধর্ষণ করেছে কিনা জানি না। আমার মনে পড়ে না। তবে আমি জানি না কেন আমাকে বিদেশে মাদক দেয়া হয়নি। আমার মনে হয়, আমাকে যে ধরনের মাদক দেয়া হয়েছিল তা সঙ্গে নিয়ে হয়তো ভ্রমণ করা করা সম্ভব হতো না। আমি সমবসময় ভেবেছি, বেঁচে থাকার জন্য আমাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। দয়া করে আমাকে বিশ্বাস করুন। আমি বেঁচে গেছি। আমি এখন ভাল ও নিরাপদ আছি। পুনরুদ্ধারের সময় লাগল। উল্লেখ্য, তিনি প্রায় ১০ বছর সম্পূর্ণ একা কাটিয়েছেন।
৩৫ বছর বয়সী এ্যামি এ্যানি ডাফির দুইটি বিখ্যাত একক অ্যালবাম হচ্ছে- রকফেরি (২০০৭) ও মার্সি (২০০৮)। এর মধ্যে রকফেরী বিশ্বজুড়ে চার্টে এক নম্বরে পৌঁছেছিল। যা ছিল সেই বছর যুক্তরাজ্যের সর্বাধিক বিক্রিত (১.৬৮ মিলিয়ন কপি) অ্যালবাম। যা ৭ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছিল।
ডাফি বলেন, আমি জনসাধারণের চোখ থেকে আমার অন্তর্ধান সম্পর্কে মিথ্যা বলতে পারবো না। দিনটি ছিল আমার জন্মদিন। আমি একটি রেস্তোঁরায় মাতাল ছিলাম। তারপর আমাকে চার সপ্তাহ ধরে মাদক দেয়া হয়েছিল। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আমাকে একটি দেশে নেয়া হয়। বিমান ভ্রমণ ও গাড়িতে চড়ার সময়ের কথা আমার কিছুই মনে নেই। বিদেশে আমাকে একটি হোটেল কক্ষে রাখা হয়। সেখানে আমি ধর্ষণের শিকার হই।
ডাফি বলেন, আমার ব্যথার কথা মনে পড়ে। এই ঘটনার পর আমি সচেতন থাকার চেষ্টা করেছি। তারপরও সেখানে ছিলাম। সে (ধর্ষণকারী) আমার মুখের দিকে তাকাতে পারছিল না। যখন সে ঘুমিয়ে পড়ে তখন আমি পাশের কোন শহরে চলে যাওয়ার কথা ভাবছিলাম। কিন্তু আমার কাছে নগদ টাকা ছিল না। আমার ভয় ছিল সে পুলিশ ডাকবে এবং আমাকে একজন নিখোঁজ হিসেবে চিহ্নিত ও উদ্ধার করবে। আমি জানি জানি না কিভাবে সে দিনগুলো সহ্য করেছি। তবে আমি সবসময় এমন একটা কিছুর উপস্থিতি অনুভব করেছি যা আমাকে বেঁচে থাকতে সহায়তা করছিল।
ডাফি বলেছেন, আমি তার সাথে ফিরে আসি। শান্ত থাকার চেষ্টা করি। আমি জানতাম আমার জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সে (ধর্ষণকারী) আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। আমার বাড়িতেও সে আমাকে চার সপ্তাহ মাদকাসক্ত রাখে। এ সময় সে আমাকে ধর্ষণ করেছে কিনা জানি না। আমার মনে পড়ে না। তবে আমি জানি না কেন আমাকে বিদেশে মাদক দেয়া হয়নি। আমার মনে হয়, আমাকে যে ধরনের মাদক দেয়া হয়েছিল তা সঙ্গে নিয়ে হয়তো ভ্রমণ করা করা সম্ভব হতো না। আমি সমবসময় ভেবেছি, বেঁচে থাকার জন্য আমাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। দয়া করে আমাকে বিশ্বাস করুন। আমি বেঁচে গেছি। আমি এখন ভাল ও নিরাপদ আছি। পুনরুদ্ধারের সময় লাগল। উল্লেখ্য, তিনি প্রায় ১০ বছর সম্পূর্ণ একা কাটিয়েছেন।
৩৫ বছর বয়সী এ্যামি এ্যানি ডাফির দুইটি বিখ্যাত একক অ্যালবাম হচ্ছে- রকফেরি (২০০৭) ও মার্সি (২০০৮)। এর মধ্যে রকফেরী বিশ্বজুড়ে চার্টে এক নম্বরে পৌঁছেছিল। যা ছিল সেই বছর যুক্তরাজ্যের সর্বাধিক বিক্রিত (১.৬৮ মিলিয়ন কপি) অ্যালবাম। যা ৭ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছিল।