অনলাইন
জেলেদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ
হাসান পিন্টু, লালমোহন (ভোলা) থেকে
৪ এপ্রিল ২০২০, শনিবার, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন
একদিকে নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা, অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের প্রভাব। এতে জেলে পল্লীতে বিরাজ করছে হাহাকার। ঘরে ভাত নেই, বাধ্য হয়ে জেলেরা জীবিকার তাগিদে বাইরে বেরুচ্ছেন।নদীতে নামতে না পারলেও এই সময়ে অন্যের কাজকরে দৈনিক মুজুরিতে সংসার চালানোর চেষ্টা করছেন। এমন অবস্থা ভোলার লালমোহনের মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার জেলে পল্লীতে।
উপজেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৫ হাজার ৩০০ বলে জানান সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস। তবে সব জেলে সরকারী সহযোগিতা পান না। জেলেরা জানান, মার্চ এপ্রিল দুই মাস মাছধরা নিষেধ রয়েছে। এই সময় জেলেদের চার মাস ভিজিএফের চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু মার্চ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত জেলেদের কোন চাল দেওয়া হয়নি।
সরেজমিনে লালমোহন ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর পাড় কামারের খাল জেলে পল্লীতে গিয়ে জানা যায়, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনসমাগম ও চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে কর্মজীবী মানুষ। সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। সবমিলিয়ে গত কয়েক দিনে তাদের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ। মেঘনা পাড়ের বেড়ি বাঁধে বসবাস রিয়াজ মাঝির পরিবারে সদস্য ৭। নিষেধাজ্ঞার কারণে নদীতে নামছেন না তিনি ।করোনা ভাইরানের কারণে ঘর থেকেও বের হতে মানা করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কি সংসার চলবে। বাধ্য হয়ে অন্যের জাল বুনে দৈনিক ৩৫০ টাকা কামাচ্ছেন ।তা দিয়েই সংসার চলে। নুরুদ্দীন নামে আরেক জন জেলে জানান, আমরা ঘর থেকে বের না হলে খাবো কি। আমাদের জেলে কার্ডের চালও দেওয়া হয়নি। কোন ত্রাণও আমরা পাইনি। লালমোহন ধলীগৌরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু জানান, মেঘনা কূলবর্তী এলাকায় মোট ৪ হাজার ৩শত জেলে রয়েছে। কিন্তু চাল বরাদ্দ হয়েছে ২ হাজার ৬৩ জনের জন্য। করোনার কারণে চাল দেওয়া বিলম্ব হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি জানান, আমি প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের বলে দিয়েছি দু’এক দিনের মধ্যে চাল দেওয়ার জন্য।
উপজেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৫ হাজার ৩০০ বলে জানান সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস। তবে সব জেলে সরকারী সহযোগিতা পান না। জেলেরা জানান, মার্চ এপ্রিল দুই মাস মাছধরা নিষেধ রয়েছে। এই সময় জেলেদের চার মাস ভিজিএফের চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু মার্চ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত জেলেদের কোন চাল দেওয়া হয়নি।
সরেজমিনে লালমোহন ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর পাড় কামারের খাল জেলে পল্লীতে গিয়ে জানা যায়, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনসমাগম ও চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে কর্মজীবী মানুষ। সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। সবমিলিয়ে গত কয়েক দিনে তাদের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ। মেঘনা পাড়ের বেড়ি বাঁধে বসবাস রিয়াজ মাঝির পরিবারে সদস্য ৭। নিষেধাজ্ঞার কারণে নদীতে নামছেন না তিনি ।করোনা ভাইরানের কারণে ঘর থেকেও বের হতে মানা করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কি সংসার চলবে। বাধ্য হয়ে অন্যের জাল বুনে দৈনিক ৩৫০ টাকা কামাচ্ছেন ।তা দিয়েই সংসার চলে। নুরুদ্দীন নামে আরেক জন জেলে জানান, আমরা ঘর থেকে বের না হলে খাবো কি। আমাদের জেলে কার্ডের চালও দেওয়া হয়নি। কোন ত্রাণও আমরা পাইনি। লালমোহন ধলীগৌরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু জানান, মেঘনা কূলবর্তী এলাকায় মোট ৪ হাজার ৩শত জেলে রয়েছে। কিন্তু চাল বরাদ্দ হয়েছে ২ হাজার ৬৩ জনের জন্য। করোনার কারণে চাল দেওয়া বিলম্ব হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি জানান, আমি প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের বলে দিয়েছি দু’এক দিনের মধ্যে চাল দেওয়ার জন্য।