বিনোদন

ষষ্ঠ শ্রেণির সিলেবাসে হৃতিক

বিনোদন ডেস্ক

৩ এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন

তিনি রাকেশ রোশনের ছেলে। কিন্তু স্টার কিড বলে যে সুবিধা পাওয়া যায় বলে শোনা যায়, হৃতিক সেসব পাননি। কারণ প্রথম থেকেই তার জীবনে একটি বড় সমস্যা ছিল। হৃতিকের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে সেই সমস্যার সঙ্গেই। অবশেষে তার ২০০০ সালে পর্দায় আত্মপ্রকাশ আর প্রথম ছবিতেই স্টারের তকমা। বলিউডের গ্রিক গডের এহেন গল্প এবার স্থান পেল তামিলনাড়ুর ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে। সম্প্রতি একটি ট্যুইট থেকে এই খবর প্রকাশ্যে আসে। অরুণা মহেন্দ্রন নামে এক মহিলা সম্প্রতি একটি ট্যুইটে জানিয়েছেন, ভাইঝির পাঠ্যবই ওলটাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎই একটা পাতায় তার চোখ আটকে যায়। এটি ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে হৃতিক রোশনের নাম খুঁজে পান তিনি। লেখাটি আত্মবিশ্বাস সম্পর্কিত। ওই মহিলা তার ট্যুইটে লিখেছে, ‘তার থেকে ভাল আত্মবিশ্বাসের পাঠ আর কে দেবে।
ছোটবেলায় হৃতিকের তোতলামির সমস্যা ছিল। নিজের চেষ্টাতেই সেসব কাটিয়ে ওঠেন তিনি। একবার সেই গল্প অনুরাগীদের শুনিয়েওছিলেন। বলেছিলেন, তিনি যখন ছোট ছিলেন, তখন তারও তোতলামির সমস্যা ছিল। দিনের পর দিন এর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি। স্পিচ থেরাপিস্টের পরামর্শ নিয়েছেন। একই কথা বলেছেন হৃতিকের বোন সুনয়নাও। তিনি বলেছিলেন, হৃতিকের যখন ১৩ বছর বয়স, তখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়তেন তিনি। কখনও কখনও বাথরুমেও চলত অনুশীলন। সকাল-বিকেল সবসময়ই ওই একই কাজ করতেন হৃতিক। নিজেই নিজের কথা রেকর্ড করতেন, বাজাতেন, শুনতেন। পছন্দ না হলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চলত। এভাবেই চলেছিল ২২ বছর। হিন্দির উপর বেশি জোর দিতেন হৃতিক। যে শব্দগুলো তার মনে হত ঠিকভাবে উচ্চারিত হচ্ছে না, সেগুলি একটি বোর্ডে লিখে রাখতেন। সুযোগ পেলেই ওই শব্দগুলো নিজের মনেই বলতেন। এভাবেই নিজের সমস্যাকে জয় করে আজ তিনি বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেতা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status