বাংলারজমিন
পরিকল্পিতভাবে আমার বাবাকে হত্যা করেন ওসি আবুল বাসার
বরগুনা প্রতিনিধি
৩১ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ৫:৫১ পূর্বাহ্ন
বরগুনার আমতলী থানায় পুলিশি হেফাজতে সানু হাওলাদারের (৫৫) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার আসল রহস্য সামনে এনেছে নিহতের স্বজনরা। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) মঙ্গলবার বরগুনা প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে আসামীর কক্ষে পিটিয়ে সানু হাওলাদারকে খুন করেন দুই ওসি ও তার সহযোগীরা বলে দাবী করে তার স্বজনরা। আর এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্বের দুটি হত্যাকাণ্ডের রেশ জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন নিহতের পুত্র মো. নাসির উদ্দিন শাওন। তিনি দাবী করেন জানান, সানু হাওলাদারের বোনের সাথে চাচাদের জমি সংক্রান্ত পরিবারিক কলহ চলে আসছিল। তারই সূত্র ধরে ১৯৭৪ সালে তাদের দাদা হযরত আলী ও ২০০৩ সালে তাদের ফুপু আলেয়া বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেই দুটি মামলাও বর্তমানে তদন্তনাধীন। মামলা তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।
সম্প্রতি সেই চাচাদের সাথে বিরোধে জড়ায় সানু হাওলাদার। তার চাচারা আমতলী থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে পরিকল্পতিভাবে থানায় আটকে তার পিতাকে হত্যা করান।
নিহতের পুত্র নাসির উদ্দিন শাওন বলেন, আমতলীর ওসি আবুল বাশার ২৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০ টায় সানু হাওলাদারকে বড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে। বাড়ি থেকে আনার সময়ই মারতে মারতে গাড়িতে তোলেন। থানায় নেয়ার পরে ৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। দাবীকৃত টাকা না দিলে মেরে পঙ্গু করে দেওয়া হবে বলে আমাদের সবার সামনেই হুমকি দেন।
ওসি আবুল বাশার প্রকাশ্যে বলেন, যদি ঘুষ না দেই তাহলে সে আমার বাবাকে খুন , ডাকাতি, মাদক, অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে। ওসির ভয়ে আমরা ধার করে ১০ হাজার টাকা নিয়ে ওই রাতেই ওসি আবুল বাশারের কাছে দিয়া আসি। কিন্তু তার চাহিদা ৩ লাখ টাকা না পাওয়ায় প্রথমে ওসি আবুল বাশারের কক্ষে, পরে ওসি তদন্ত মনোরঞ্জন মিস্ত্রীর কক্ষে নির্মম নির্যাতন করেন।
নির্যাতন করতে করতে আমার বাবার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। শেষে গল্প সাজানোর জন্য ওসি তদন্তের কক্ষে আমার বাবাকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। আমার বাবাকে থানায় নেওয়ার পর দুই দিন অনেক চেষ্টা করেছি তার সাথে দেখা করেত। কিন্তু পুলিশ থানায়ই ঢুকতেই দেয়নি। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার বাবাকে খুন করেছে। নাসির উদ্দিন শাওন দাবী করেন, আমাদের প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ খেয়ে আমার বাবাকে দুই ওসি মিলে খুন করেছে। যার প্রমান, যখন আব্বাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় তখন ডাক্তার জানিয়েছেন আমার আব্বার শরীরে নির্যাতনের অসংখ্য দাগ রয়েছে।
এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সানু হত্যার বিচার দাবী করেন নিহতের স্বজনরা। এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন নিহতের পুত্র মো. সাকিবুল ইসবলা, মো. সিফাত ও তার স্ত্রী ঝর্না বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন নিহতের পুত্র মো. নাসির উদ্দিন শাওন। তিনি দাবী করেন জানান, সানু হাওলাদারের বোনের সাথে চাচাদের জমি সংক্রান্ত পরিবারিক কলহ চলে আসছিল। তারই সূত্র ধরে ১৯৭৪ সালে তাদের দাদা হযরত আলী ও ২০০৩ সালে তাদের ফুপু আলেয়া বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেই দুটি মামলাও বর্তমানে তদন্তনাধীন। মামলা তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।
সম্প্রতি সেই চাচাদের সাথে বিরোধে জড়ায় সানু হাওলাদার। তার চাচারা আমতলী থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে পরিকল্পতিভাবে থানায় আটকে তার পিতাকে হত্যা করান।
নিহতের পুত্র নাসির উদ্দিন শাওন বলেন, আমতলীর ওসি আবুল বাশার ২৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০ টায় সানু হাওলাদারকে বড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে। বাড়ি থেকে আনার সময়ই মারতে মারতে গাড়িতে তোলেন। থানায় নেয়ার পরে ৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। দাবীকৃত টাকা না দিলে মেরে পঙ্গু করে দেওয়া হবে বলে আমাদের সবার সামনেই হুমকি দেন।
ওসি আবুল বাশার প্রকাশ্যে বলেন, যদি ঘুষ না দেই তাহলে সে আমার বাবাকে খুন , ডাকাতি, মাদক, অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে। ওসির ভয়ে আমরা ধার করে ১০ হাজার টাকা নিয়ে ওই রাতেই ওসি আবুল বাশারের কাছে দিয়া আসি। কিন্তু তার চাহিদা ৩ লাখ টাকা না পাওয়ায় প্রথমে ওসি আবুল বাশারের কক্ষে, পরে ওসি তদন্ত মনোরঞ্জন মিস্ত্রীর কক্ষে নির্মম নির্যাতন করেন।
নির্যাতন করতে করতে আমার বাবার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। শেষে গল্প সাজানোর জন্য ওসি তদন্তের কক্ষে আমার বাবাকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। আমার বাবাকে থানায় নেওয়ার পর দুই দিন অনেক চেষ্টা করেছি তার সাথে দেখা করেত। কিন্তু পুলিশ থানায়ই ঢুকতেই দেয়নি। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার বাবাকে খুন করেছে। নাসির উদ্দিন শাওন দাবী করেন, আমাদের প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ খেয়ে আমার বাবাকে দুই ওসি মিলে খুন করেছে। যার প্রমান, যখন আব্বাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় তখন ডাক্তার জানিয়েছেন আমার আব্বার শরীরে নির্যাতনের অসংখ্য দাগ রয়েছে।
এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সানু হত্যার বিচার দাবী করেন নিহতের স্বজনরা। এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন নিহতের পুত্র মো. সাকিবুল ইসবলা, মো. সিফাত ও তার স্ত্রী ঝর্না বেগম।