অনলাইন
দিন-রাত মাস্ক তৈরী করে বিতরণ করছেন স্কুল শিক্ষক মা-মেয়ে
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
৩১ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ১:০০ পূর্বাহ্ন
সারা পৃথিবী যখন প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে গ্রাস করে ফেলেছে। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠি যখন জীবন বাঁচাতে ব্যস্ত। সবাই অঘোষিতভাবে বন্দী হয়ে পড়েছে তখন স্বল্প আয়ের একটি পরিবারের ২ সদস্য নিজেদের হাতে তৈরী মাস্ক এলাকাবাসীর মধ্যে বিতরণ করে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ইতিমধ্যে তারা তৈরী করা মাস্ক প্রায় সহস্রাধিক লোকের মধ্যে বিতরণ করেছেন। শুধু তাই নয় এলাকাবাসীদের করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা তৈরীর পাশাপাশি সকল প্রকার সাহায্যে এগিয়ে আসছেন। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্বসদরদী গ্রামের জেসমিন আক্তার ও তার মেয়ে শারমিন রহমান সুইট। তারা দুজনই পেশায় স্কুল শিক্ষক। মা জেসমিন আক্তার পূর্বসদরদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মেয়ে শারমিন রহমান সুইট ঘারুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাদের এসব মহতী কাজে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্ঠি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সকালে জেসমিন আক্তারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সেলাই মেশিনে মা-মেয়ে বিরামহীনভাবে মাস্ক তৈরী করে চলেছেন। পাশাপাশি পরিবারের আরও ২ সদস্য ছোট মেয়ে ইডেন বিশ্ববিদ্যাালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মারিয়া রহমান নীদ এবং একমাত্র ছেলে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বর্ষের শিক্ষাথী তরিকুল ইসলাম গ্রামবাসীদের সচেতন করছেন এবং মাস্কগুলো পৌছে দিচ্ছেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় তার। মুখ থেকে ফুটে উঠেছিল গোটা বিশ্বসহ বাংলাদেশেও কিভাবে করোনা ভাইরাস আতংক ছড়িয়ে পড়ার কথা। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েক জনের মত্যুর খবর ব্যথিত করেছে তাদের হৃদয়। কিন্তু নিজের পরিবার থেকে সীমিত আয়ের প্রতিবেশীদের কথা ভেবে তারা বেশ চিন্তিত। তারা বলেন সীমিত আয়ের থেকে প্রতিবেশীদের জন্য কিছু করতে হবে। সেই মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে মা ও মেয়ে সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই প্রতিবেশীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এলাবাসীরা জানান, জেসমিন আক্তার এলাকায় তিনি তুলন ম্যাডাম বলে পরিচিত। একবাক্যে সাধারণ দিনমজুর, ভ্যান চালক থেকে শুরু করে তাকে তুলন ম্যাডাম বলে চিনে। চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী গ্রামের মৃত লুতফর লুৎফর রহমানের পরিবারটি শিক্ষিত পরিবারের পাশাপাশি তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার সন্তানদের যেভাবে মানবিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা, মানুষের দুঃসময়ে পাশে থেকে কাজ করা, নিজেকে আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে উঠার যে প্রেরণা রয়েছে তা শুধু একজন রত্নাগর্ভা মায়ের বেলায় সম্ভব। দেশের করোনা ভাইরাস মোবাবেলায় পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীদের সচেতন করার পাশাপাশি নিজেরাই মাস্ক তৈরি করে বিনামূল্যে তা বিতরণ করার এই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত গ্রামবাসী সারাজীবন মনে রাখবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সকালে জেসমিন আক্তারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সেলাই মেশিনে মা-মেয়ে বিরামহীনভাবে মাস্ক তৈরী করে চলেছেন। পাশাপাশি পরিবারের আরও ২ সদস্য ছোট মেয়ে ইডেন বিশ্ববিদ্যাালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মারিয়া রহমান নীদ এবং একমাত্র ছেলে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বর্ষের শিক্ষাথী তরিকুল ইসলাম গ্রামবাসীদের সচেতন করছেন এবং মাস্কগুলো পৌছে দিচ্ছেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় তার। মুখ থেকে ফুটে উঠেছিল গোটা বিশ্বসহ বাংলাদেশেও কিভাবে করোনা ভাইরাস আতংক ছড়িয়ে পড়ার কথা। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েক জনের মত্যুর খবর ব্যথিত করেছে তাদের হৃদয়। কিন্তু নিজের পরিবার থেকে সীমিত আয়ের প্রতিবেশীদের কথা ভেবে তারা বেশ চিন্তিত। তারা বলেন সীমিত আয়ের থেকে প্রতিবেশীদের জন্য কিছু করতে হবে। সেই মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে মা ও মেয়ে সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই প্রতিবেশীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এলাবাসীরা জানান, জেসমিন আক্তার এলাকায় তিনি তুলন ম্যাডাম বলে পরিচিত। একবাক্যে সাধারণ দিনমজুর, ভ্যান চালক থেকে শুরু করে তাকে তুলন ম্যাডাম বলে চিনে। চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী গ্রামের মৃত লুতফর লুৎফর রহমানের পরিবারটি শিক্ষিত পরিবারের পাশাপাশি তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার সন্তানদের যেভাবে মানবিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা, মানুষের দুঃসময়ে পাশে থেকে কাজ করা, নিজেকে আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে উঠার যে প্রেরণা রয়েছে তা শুধু একজন রত্নাগর্ভা মায়ের বেলায় সম্ভব। দেশের করোনা ভাইরাস মোবাবেলায় পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীদের সচেতন করার পাশাপাশি নিজেরাই মাস্ক তৈরি করে বিনামূল্যে তা বিতরণ করার এই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত গ্রামবাসী সারাজীবন মনে রাখবে।