অনলাইন

লকডাউনে সংসারের কথা ভেবেই দুই ব্যক্তির আত্মহত্যা

অনলাইন ডেস্ক

২৭ মার্চ ২০২০, শুক্রবার, ১:১০ পূর্বাহ্ন

সারাবিশ্বে করোনার থাবায় আক্রান্ত মানুষ। লকডাউন চলছে দেশে দেশে। অনেক দেশেই অন্ন বস্ত্রের কথা না ভেবেই লকডাউন হয়েছে। খেটে খাওয়া শ্রমিকদের কোনো ব্যবস্থা নেই। সংসার কিভাবে চলবে তা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি এমনই এক খবর দিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা। গোটা ভারতে লকডাউনের পর দুটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়।
জানা যায়, লকডাউনের সময় সংসার কীভাবে চলবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিলেন ওই দুই ব্যক্তি। আর এ কারণে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। আত্মঘাতী ওই দুই যুবক ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের (বিএসএনএল) চুক্তিভিত্তিক কর্মী।
বিএসএনএলের ঠিকা বা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সংগঠন কনট্রাক্টরস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন অব বিএসএনএলের এক নেতা বলেন, ‘অনটন এবং এই লকডাউনের সময় অনিশ্চয়তার জেরেই আত্মহত্যা করেছেন ওই দুই কর্মী।’
খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার নৈহাটির গরিফায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন সুজয় ঘোষ (৪৪)। তিনি সন্তোষপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জে কাজ করতেন। সুজয়ের আত্মীয় অপূর্ব ঘোষ বিএসএনএলের ঠিকাকর্মী। তিনি বলেন, ‘গত ১৩ মাস ধরে সুজয়, আমি– সবাই অন্যদের মতোই রোজ অফিসে যাচ্ছি। পার্থক্য একটাই– অন্যরা মাসের শেষে বেতন পান, আমরা পাই না। অপূর্ব জানান, সুজয়ের দুই সন্তান, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে  পড়ে। স্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন বৃদ্ধা মা। পরিবারের একমাত্র উপাজর্নকারী ছিলেন তিনি। একদিকে বেতন পাচ্ছিলেন না। তার ওপর লকডাউন ঘোষণার পর সংসার চলবে কীভাবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিলেন। তার দাবি, এসব কারণেই সুজয় আত্মহত্যা করেছেন।
এ ছাড়া গত বারাসত হৃদয়পুরের বাসিন্দা অনুকূল রায় বুধবার আত্মহত্যা করেছেন (৪২)। অনুকূলও প্রায় এক বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না।
বিএসএনএলের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সংগঠনের যৌথ ফোরামের নেতা অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্রায় ৫ হাজার মানুষ বেতন পাচ্ছেন না। তারা কিন্তু প্রায় ২০ বছর ধরে কাজ করছেন।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। এই মার্চে একটা সুরাহা হওয়ার আশা ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই করোনা আতঙ্ক এবং লকডাউন। তার জেরে তৈরি হয়েছে চরম অনিশ্চয়তা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status