প্রথম পাতা
দ্বিতীয় মৃত্যুর পর টোলারবাগ কার্যত লকডাউন
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:০৯ পূর্বাহ্ন
মিরপুরের উত্তর টোলারবাগে দুই প্রতিবেশীর মৃত্যুতে ওই এলাকাটি এখন কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় পড়েছে। উত্তর টোলারবাগে প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে। প্রবেশ পথের মূল ফটক আটকে দেয়া হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। যারা প্রবেশ করতে চাইছেন তাদেরকে জীবাণু নাশক পানি দিয়ে হাত ও পা ধোঁয়ার পর প্রবেশ করানো হচ্ছে। রোববার থেকে এলাকার বাসিন্দারা নিজ নিজ উদ্যেগে টোলারবাগ এলাকা লকডাউন করে দিয়েছেন। মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। ওষুধ ও খাবারের দোকান ছাড়া সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে যাচ্ছেন না আবার ভেতরে প্রবেশ করছেন না। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা নিয়মিত পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের গতিবিধি মনিটরিং করছেন।
শনিবার মিরপুর-১ নম্বরের উত্তর টোলারবাগের ১৯/সি ২/১ নয়তলা ভবনের সপ্তম তলার বাসিন্দা ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ৭৩ বছর বয়সী এই অধ্যক্ষের মৃত্যুর পর তার পরিবার কোয়ারেন্টিনে চলে যান। ভবনের অন্যান্য বাসিন্দারাও সতর্কতার জন্য স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিনে চলে যান। ঠিক একদিন পর রোববার রাতে তারই প্রতিবেশী ও স্থানীয় মসজিদের সাধারণ সম্পাদক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি সায়েন্স ল্যাবরেটরির সাবেক কর্মকতা ছিলেন। রোববার রাত পৌণে আটটার দিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ দুজনই একই মসজিদে নামাজ পড়তেন ও ঘনিষ্ট ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর টোলারবাগে মৃত সর্বশেষ ব্যক্তির করোনা ভাইরাস পজিটিভ ছিলো।
তার ২/৩ দিন ধরে জ্বর ও শ্বাস কষ্ট ছিলো। তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। পরে আইইডিসিআর তার নমুনা সংগ্রহ করে। পরে হাসপাতাল থেকে তাকে বাসায় আনা হয়। রোববার বিকালে তিনি আবার অসুস্থ হয়ে গেলে ফের তাকে নেয়া হয় কুর্মিটোলা হাসপাতালে। সেখানে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুদিনের ব্যবধানে দুজন প্রতিবেশীর মৃত্যুর খবরে অনেকটা আতঙ্ক দেখা দেয় উত্তর টোলারবাগ এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে। সতর্কতার জন্য তারা পুরো এলাকায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে থাকেন। উত্তর টোলারবাগের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুজন বয়স্ক লোক করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পর পুরো এলাকায় এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিজ নিজ উদ্যেগে বিভিন্ন বাড়ির বাসিন্দারা হোম কোয়ারেন্টিন পালন করছেন। যত্রতত্র ঘুরাফেরা বন্ধ করেছেন। প্রত্যেকটি বাসার প্রবেশ পথে জীবাণু নাশক পানির ড্রাম রাখা আছে। বাসায় প্রবেশের সময় সেটি ব্যবহার করে প্রবেশ করছেন। টোলারবাগ সমাজকল্যাণ সংগঠনের হিসাবে টোলারবাগ আবাসিক এলাকায় প্রায় ২৫ হাজার বাসিন্দা আছেন। এখানকার বাসিন্দাদের অধিকাংশই সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারি। এই এলাকায় ১৫ দিনে বিদেশ থেকে এসেছেন ৫ জন। এদের মধ্যে তিনজন অস্ট্রেলিয়া ও চীন থেকে একজন এসেছেন।
শনিবার মিরপুর-১ নম্বরের উত্তর টোলারবাগের ১৯/সি ২/১ নয়তলা ভবনের সপ্তম তলার বাসিন্দা ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ৭৩ বছর বয়সী এই অধ্যক্ষের মৃত্যুর পর তার পরিবার কোয়ারেন্টিনে চলে যান। ভবনের অন্যান্য বাসিন্দারাও সতর্কতার জন্য স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিনে চলে যান। ঠিক একদিন পর রোববার রাতে তারই প্রতিবেশী ও স্থানীয় মসজিদের সাধারণ সম্পাদক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি সায়েন্স ল্যাবরেটরির সাবেক কর্মকতা ছিলেন। রোববার রাত পৌণে আটটার দিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ দুজনই একই মসজিদে নামাজ পড়তেন ও ঘনিষ্ট ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর টোলারবাগে মৃত সর্বশেষ ব্যক্তির করোনা ভাইরাস পজিটিভ ছিলো।
তার ২/৩ দিন ধরে জ্বর ও শ্বাস কষ্ট ছিলো। তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। পরে আইইডিসিআর তার নমুনা সংগ্রহ করে। পরে হাসপাতাল থেকে তাকে বাসায় আনা হয়। রোববার বিকালে তিনি আবার অসুস্থ হয়ে গেলে ফের তাকে নেয়া হয় কুর্মিটোলা হাসপাতালে। সেখানে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুদিনের ব্যবধানে দুজন প্রতিবেশীর মৃত্যুর খবরে অনেকটা আতঙ্ক দেখা দেয় উত্তর টোলারবাগ এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে। সতর্কতার জন্য তারা পুরো এলাকায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে থাকেন। উত্তর টোলারবাগের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুজন বয়স্ক লোক করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পর পুরো এলাকায় এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিজ নিজ উদ্যেগে বিভিন্ন বাড়ির বাসিন্দারা হোম কোয়ারেন্টিন পালন করছেন। যত্রতত্র ঘুরাফেরা বন্ধ করেছেন। প্রত্যেকটি বাসার প্রবেশ পথে জীবাণু নাশক পানির ড্রাম রাখা আছে। বাসায় প্রবেশের সময় সেটি ব্যবহার করে প্রবেশ করছেন। টোলারবাগ সমাজকল্যাণ সংগঠনের হিসাবে টোলারবাগ আবাসিক এলাকায় প্রায় ২৫ হাজার বাসিন্দা আছেন। এখানকার বাসিন্দাদের অধিকাংশই সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারি। এই এলাকায় ১৫ দিনে বিদেশ থেকে এসেছেন ৫ জন। এদের মধ্যে তিনজন অস্ট্রেলিয়া ও চীন থেকে একজন এসেছেন।