বাংলারজমিন
বিয়ানীবাজারে অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে হত্যাচেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৪ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ৭:২২ পূর্বাহ্ন
বিয়ানীবাজারে প্রেম করে তরুণীর সঙ্গে দৈহিক মিলন করে কোহিনূর ওরফে কোকিল। এরপর ওই কিশোরী দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে ওই তরুণীকে হত্যাচেষ্টা করে। গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত ভেবে চলে যায়। পরে ওই তরুণী ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়ে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ কোহিনূরকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই যুবকের নাম কোহিনূর আহমদ ওরফে কোকিল। সে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ ভাণ্ডা মিলিকপুর গ্রামের মৃত সফর আহমদের ছেলে। তিন মাস আগে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় বিয়ানীবাজারের ওই তরুণীর সঙ্গে। কৌশলে তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে কোকিল। এ কারণে তারা প্রায় সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করতো। এ সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বিয়ানীবাজারের নিদনপুরস্থ সোনা টিলায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে কোকিল। ধর্ষণের ফলে সে দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি কোকিলকে জানায় এবং বিয়ের কথা বলে। শুক্রবার কোকিল কৌশলে তরুণীকে আবারো সোনাটিলায় নিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়। বিষয়টি তার আত্মীয়স্বজনকে জানাবে এই কথা বলায় কোকিল তার বন্ধু নুরুল ইসলাম বাবুলের সহায়তায় তরুণীকে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। তরুণীকে হত্যার উদ্দেশ্যে সোনা টিলায় মারধর করে এবং ওড়না দিয়া গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত ভেবে গাছের সঙ্গে বেঁধে দু’জনে চলে যায়। এ সময় তরুণী অচেতন হয়ে পড়ে। জ্ঞান ফিরলে সে গাছের সঙ্গে বাঁধা ওড়নার বাঁধন খুলে টিলার জঙ্গল হতে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে যায়। পরবর্তীতে তাদের সহযোগিতায় বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়। ঘটনার অভিযোগ পেয়ে অভিযানে নেমে বিয়ানীবাজার থেকে কোকিল এবং নুরুল ইসলাম বাবুল গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে বিয়ানীবাজার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এ মামলা হয়েছে। বর্তমানে ওই তরুণী এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন। কানাইঘাটে একজন গ্রেপ্তার: কানাইঘাটে ১৩ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনের নির্দেশে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামসুদ্দোহা পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে, ওসি (তদন্ত) আনোয়ার জাহিদের নেতৃত্বে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে রোববার বেলা ২টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ফতেগঞ্জ গ্রামের কয়ছর উদ্দিনের পুত্র ধর্ষক কাসেম উদ্দিনের অবস্থান নিশ্চিত হয় এবং অভিযান চালিয়ে থানার এসআই আবু কাউছার ও রাম চন্দ্র দেবসহ একদল পুলিশ পার্শ্ববর্তী লালারচক গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। থানা পুলিশ ধর্ষক কাসেম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়- বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ফতেগঞ্জ গ্রামের এক ইমামের ১৩ বছরের কিশোরী মেয়ে পার্শ্ববর্তী লোহাজুরিতে গ্রামে তার নানা বাড়ি যাওয়ার পথে একই গ্রামের কাসিম উদ্দিন ও সাদুক আহমদ টিলার উপর নিয়ে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান, কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।