দেশ বিদেশ
রাবিতে আমরণ অনশনের ৫২ ঘণ্টা পার: অসুস্থ ৪৮
রাবি সংবাদদাতা
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার, ৮:১৭ পূর্বাহ্ন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ ‘অনশন’ কর্মসূচির ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হয়েছে। অনশনে এখন পর্যন্ত ৪৮ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এনামুল হক নামে এক শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর বলে দাবি করছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। এ ছাড়া রামেকে ভর্তি আছেন ৮ শিক্ষার্থী আর বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবার অনশন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। সূত্র জানায়, গতকাল তৃতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ফলিত পরিসংখ্যান করার দাবিতে স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেছে পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে উপাচার্য গতকাল ঢাকায় মিটিং স্থগিত করে ক্যাম্পাসে আসেন। গতকাল ১টা নাগাদ উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান অনশনস্থলে যায়। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের সোমবার জরুরি সভা ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়ে অনশন স্থগিতের অনুরোধ জানান। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভিসি ও সভাপতির লিখিত দেয়া ছাড়া তারা তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। শুধুমাত্র মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে তারা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করবেন না। এ সম্পর্কে ছাত্র উপদেষ্টা ড. লায়লা আরজুমান বানু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হচ্ছেন ভিসি স্যার। তাদের উচিত ছিল ভিসি স্যারে আহ্বানকে সারা দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করা। শিক্ষার্থীরা ভিসি স্যারের কাছে লিখিত চেয়েছেন। আমি মনে করি স্যারের কাছে লিখিত চাওয়াটা আশালীনতা। যেখানে ভিসি স্যার ঢাকা থেকে জরুরি মিটিং বাদ দিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। তাদের অবশ্যই উচিত ছিল স্যারের ওপর আস্থা রাখা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, সিনেট ভবনে আগামী ২রা মার্চ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসন এ সম্পর্কে আলোচনা সভার করবেন। আপাতত শিক্ষার্থীদের উচিত ভিসি স্যারের ওপর আস্থা রাখা। আমার মনে হয়, শিক্ষার্থীরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তাদের উচিত আন্দোলন স্থগিত করা। এটা কোনো সল্প সময়ের বিষয় না। এটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাদের ধৈর্য ধরা উচিত।
প্রসঙ্গত, পিএসসি’তে বিষয় কোড অন্তর্ভুক্তের দাবি জানিয়ে গত ১৯ই জানুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে বর্তমানে বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ফলিত পরিসংখ্যান করার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে উপাচার্য গতকাল ঢাকায় মিটিং স্থগিত করে ক্যাম্পাসে আসেন। গতকাল ১টা নাগাদ উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান অনশনস্থলে যায়। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের সোমবার জরুরি সভা ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়ে অনশন স্থগিতের অনুরোধ জানান। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভিসি ও সভাপতির লিখিত দেয়া ছাড়া তারা তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। শুধুমাত্র মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে তারা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করবেন না। এ সম্পর্কে ছাত্র উপদেষ্টা ড. লায়লা আরজুমান বানু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হচ্ছেন ভিসি স্যার। তাদের উচিত ছিল ভিসি স্যারে আহ্বানকে সারা দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করা। শিক্ষার্থীরা ভিসি স্যারের কাছে লিখিত চেয়েছেন। আমি মনে করি স্যারের কাছে লিখিত চাওয়াটা আশালীনতা। যেখানে ভিসি স্যার ঢাকা থেকে জরুরি মিটিং বাদ দিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। তাদের অবশ্যই উচিত ছিল স্যারের ওপর আস্থা রাখা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, সিনেট ভবনে আগামী ২রা মার্চ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসন এ সম্পর্কে আলোচনা সভার করবেন। আপাতত শিক্ষার্থীদের উচিত ভিসি স্যারের ওপর আস্থা রাখা। আমার মনে হয়, শিক্ষার্থীরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তাদের উচিত আন্দোলন স্থগিত করা। এটা কোনো সল্প সময়ের বিষয় না। এটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাদের ধৈর্য ধরা উচিত।
প্রসঙ্গত, পিএসসি’তে বিষয় কোড অন্তর্ভুক্তের দাবি জানিয়ে গত ১৯ই জানুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে বর্তমানে বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ফলিত পরিসংখ্যান করার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছে তারা।