বাংলারজমিন

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ খুলনা মহানগরবাসী

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে

২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার, ৭:৩২ পূর্বাহ্ন

শীতের প্রকোপ কমতেই ফের মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে খুলনা মহানগরবাসী। কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করেও কোনো সুরাহা মিলছে না। রাত বা সন্ধ্যায় নয় দিনের বেলায়ও এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ মিলছে না। বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তবে কেসিসি বলছে, মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
করপোরেশনের কঞ্জারভেন্সি শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে মশক নিধনে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছে সিটি করপোরেশন। বরাদ্দকৃত এ টাকার মধ্যে সংস্থাটি ইতিমধ্যে ২ কোটি টাকা খরচ করে  ১০টি ফগার ও ৩০টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিন, লার্ভিসাইড, অ্যাডাল্ট্রিসাইড ও ওষুধ ক্রয় করেছে। যা ব্যবহার করে দুটি ধাপে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রথম ধাপে ৩১টি ওয়ার্ডে মশার ডিম নষ্টে প্রতিষ্ঠানটি সকালে লার্ভিসাইড মিশিয়ে স্প্রে ও বিকালে উড়ন্ত মশক নিধনে সাইফার মেট্রিক (কীটনাশক) ফগার মেশিনের মাধ্যমে স্প্রে করছে। দ্বিতীয় সপ্তাহে সকালে ডিম নষ্টে লাইট ডিজেল (কালো তেল) স্প্রে ও বিকালে ফগার দিয়ে ওষুধ স্প্রে করছে। এ ছাড়া চলতি কার্যক্রমের পাশাপাশি ১লা মার্চ থেকে ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে সংস্থাটি। এ প্রোগ্রামের আওতায় প্রথম সপ্তাহে ১২, ১৩, ১৪, ২১, ২২, ২৩নং ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। প্রতি ওয়ার্ডে ৫ থেকে ৬ জন স্প্রেম্যান ফগার দিয়ে সাইফার মেট্রিক (কীটনাশক) স্প্রে করবে। পর্যায়ক্রমে ৩১টি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তবে নাগরিকদের অভিযোগ, প্রতি বছর এ খাতে করপোরেশনের মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় হচ্ছে। তারপরও মশার অত্যাচার থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না নগরবাসী। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। নগরীর মুজগুন্নী বাসিন্দা আবদুল হাই জানান, সম্প্রতি মশার উপদ্রব অনেক বেড়েছে। মশার অত্যাচারে কোনো কাজ স্বাভাবিকভাবে করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে রাতে বেশি অশান্তি সৃষ্টি করছে। অথচ দীর্ঘদিন ধরে মশা নিধনে কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। দৌলতপুরের বাসিন্দা নুর ইসলাম জানান, ঘরে-বাইরে সর্বত্র মশা। দিন নেই, রাত নেই সব সময় মশার উৎপাত। নগরীর টুটপাড়ার বাসিন্দা কিসমত জানান, মশা যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। কয়েল না জ্বালিয়ে কোনোভাবেই লেখাপড়া করতে পারছি না।’ খুলনা সদর (জেনারেল) হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, মশার দংশন ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু জ্বরসহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। এজন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। মশক নিধনে কেসিসি’র মুখ্য ভূমিকা রাখতে হবে। সর্বত্র স্প্রের ব্যবস্থা করতে হবে। কেসিসি’র সহকারী কঞ্জারভেন্সি অফিসার নূরুন্নাহার এ্যানি বলেন, মূলত এখন মশার প্রজননকালীন সময়। এরপর ড্রেনে পানি সরবরাহ না থাকা, ঝোপঝাড় বা ফুলের বাগান পরিষ্কার না করা এবং সেফটি আউট লেট খোলা থাকার কারণে মূলত মশার উপদ্রব বেড়েছে। তাছাড়া শহরের আশপাশ থেকেও মশা আসছে। মশক নিধনের কাজ চলছে। নগরীর ড্রেনে কোনো মশার ডিম নেই। তবে মশা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সকলকে সচেতন হতে হবে। ড্রেনে বর্জ্য ফেলা যাবে না, স্রোত থাকতে হবে, ঝোপঝাড়, ফুলের বাগান ও খাল বা পুকুর কচুরিপানা পরিষ্কার রাখতে হবে। তিনি আরো জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ইতিমধ্যে করপোরেশন নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বিশেষ করে আগামী মাসে ঝোপঝাড় পরিষ্কারে তাগিদ দেয়া হবে। এ ছাড়া মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status