এক্সক্লুসিভ

দিন, তারিখের বিভ্রান্তি নিরসনের অনন্য দলিল ‘অভিন্ন বাংলা বর্ষপঞ্জি’

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ৮:২৯ পূর্বাহ্ন

আমাদের সবকিছুই আবর্তিত হয় দিন, তারিখ আর সময়পঞ্জির মাধ্যমে। কিন্তু আজকের পরিবর্তিত দিন বা মাসের হিসাব তো একদিনে এই অবস্থায় আসেনি। দফায় দফায় এই যে পরিবর্তন তার ধারাবাহিকতা সাধারণ মানুষ কতোটা জানেন? অথচ এই তারিখ আর দিনপঞ্জির বাইরে কেউ নন। অভিন্ন বাংলা বর্ষপঞ্জি নিয়ে এমন গবেষণালব্ধ একটি বই বাজারে এসেছে। শিক্ষা ও গবেষণায় যুক্ত মৌলভীবাজারের সুনির্মল কুমার দেব মীন লিখিত তথ্যবহুল ‘অভিন্ন বাংলা বর্ষপঞ্জি’ প্রকাশ করেছে সিলেটের নাগরী প্রকাশন। বইটির ভূমিকাতেই এই গবেষণার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু তার উল্লেখ করেছেন লেখক। তিনি লিখেছেন, যুগধর্মের অনস্বীকার্যতায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং বহুল ব্যবহৃত খ্রিস্টীয় বা ঈসাসী সনের বর্ষপঞ্জিটিকে প্রাতিষঙ্গিক সন হিসেবে পাবার জন্য আমাদের বর্তমানে গণিত এবং প্রচলিত বাংলা বর্ষপঞ্জি গত শতকের সেই ষাটের দশক থেকেই নানাবিধ আকার-প্রকারের সভা বৈঠক চালিয়ে আসছেন। তারপরেও পূর্ণতা লাভ করতে এখনাবধি তাঁরা ব্যর্থই রয়েছেন। ফলে এখনো পর্যন্ত সুষম, শুদ্ধ, পূর্ণাঙ্গ, শোভন এবং বিশ্বস্ত বাংলা বর্ষপঞ্জি প্রণীত হতে না পারায় তাঁরা নানান অসামঞ্জস্যের দোলাচলের বৃত্তেই অবস্থান করছেন। সাত-সাতটি সংস্কার-সংশোধনী-সুপারিশে প্রতিটি বাংলা মাসের দিন সংখ্যার পরিমিতি, প্রতি মাস শুরু এবং শেষ দিনটির প্রাতিষঙ্গিক তারিখের স্বচ্ছতা, অধিবর্ষ বা লিপইয়ার স্থিরিকরণের বিধিবিধান-সম্মত নিয়মাবলির অভাব ইত্যাদির কারণেই সংহত বর্ষপঞ্জি প্রণয়নে তাৎপর্যবহ সিদ্ধান্তের জন্য আমরা সন্দিগ্ধ ও সংশয়ায়িত রয়েছি।  
সুলেখক সুনির্মলকুমার দেব মীনের শিক্ষাজীবন কেটেছে মৌলভীবাজারেই। ১৯৭২ সালে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ আবদুল হক স্মৃতি মহাবিদ্যালয় এবং তিন মাস পর ছাতক মহাবিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা শুরু করেন। ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ করেন। লেখকের সময় কাটে মৌলভীবাজারের ফরেস্ট অফিসস্থ ‘দেবভবনে’। এখানেই স্কুলজীবনের পড়াশোনা, খেলাধুলা, নাটক, সমাজকর্ম আর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা।
বইটির তিনটি অধ্যায়ে অভিন্ন বাংলা বর্ষপঞ্জি, দিন ও সপ্তাহের উৎসকথা ও আমরা এবং আমাদের মাস ও ঋতুর কথা বিস্তৃত ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই অধ্যায়গুলো পাঠের মাধ্যমে তারিখ, মাস ও দিনপঞ্জি নিয়ে চলমান অনেক প্রশ্নের সুরাহা হবে। এ ছাড়াও লেখক সুনির্মলকুমার দেব মীনের আরো বেশকিছু প্রকাশনা রয়েছে। মুজতবা প্রসঙ্গ (সম্পাদিত, ১৯৭৭), হিজরি সনের ইতিকথা (১৯৭৯), একুশই বিশ্ব মাতৃভাষা (২০০০) ও দি হিজরি অ্যারা (২০১৮)।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status