অনলাইন

দিল্লিতে চোখে অ্যাসিড নিক্ষেপের মতো বর্বরতা!

অনলাইন ডেস্ক

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, ২:৫৫ পূর্বাহ্ন

দিল্লিতে বর্বরতা থামছে না। সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশ। আহতরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। আর পাওয়া যাচ্ছে ভয়ঙ্কর সব খবর। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আহতের সংখ্যা ২০০ ছুঁইছুঁই। অনেকেরই মাথায় গুরুতর চোট। আহতদের অন্তত ৪৬ জনের শরীরে বুলেটের ক্ষত মিলেছে। আর একটি উদ্বেগজনক বিষয়, মুস্তাফাবাদ থেকে  আজ বেশ কিছু আহত এসেছেন হাসপাতালে। তাঁদের অনেকের চোখে অ্যাসিড ঢালা হয়েছে। দৃষ্টি হারিয়েছেন চার জন। খুরশিদ নামে এক জনের দু’চোখই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তেগ বাহাদুর হাসপাতাল থেকে লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে আসার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সও পাননি তিনি। গিয়েছেন রিকশায়। দুই চোখ-সহ পুরো মুখ ঝলসে গিয়েছে ওয়কিলের। এ সব  মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০০৩ সালের ‘গঙ্গাজল’ ফিল্মের কথা। অ্যাসিড দিয়ে চোখ গেলে দিয়ে পুলিশের বদলা নেওয়ার ভয়াবহ কাহিনি সেটি। এটা স্পষ্ট, আগুন লাগানো, পাথর ছোড়াছুড়ি, গুলির সঙ্গে ‘গঙ্গাজল (অ্যাসিড)’-এরও আয়োজন করা হয়েছে রীতিমতো  আটঘাট বেঁধে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা গত কাল দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, পুলিশকেও অ্যাসিড হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে।

জাফরাবাদ-মৌজপুরে এখন শ্মশানের শান্তি। ফাঁকা রাস্তা জুড়ে পাথর, ইট, ভাঙা কাচ, ভাঙা লোহার রড। ভিতরের গলি থেকে পাকিয়ে পাকিয়ে উঠছে কালো ধোঁয়া। মৌজপুরের গলির একটি দোকানে আগুন নেভেনি। দোকানের মালিক কোন ধর্মের, তা দেখেই আগুন লাগানো হয়েছে। এ পাড়ায় ধর্মের জোরে যাদের দোকান বেঁচে গিয়েছে, অন্য গলিতে সেই ধর্মের জেরেই দোকান পুড়েছে। জাফরাবাদের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘ভিতরের মহল্লায় অশান্তি চলছে। কোথায় কত জনের দেহ পড়ে রয়েছে, কেউ জানে না। পুলিশ এখনও ঢুকতে পারেনি ভিতরে।’’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status