এক্সক্লুসিভ
নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতার কথা স্বীকার করলেন দোভাল
মানবজমিন ডেস্ক
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:০৪ পূর্বাহ্ন
উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে নাগরিকদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার কথা স্বীকার করলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তিনি বলেছেন, সব সম্প্রদায়ের ভীতি দূর করতে চান তারা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, নাগরিকদের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে নিরাপত্তাহীনতা আছে। আমরা সব সম্প্রদায়ের ভিতর থেকে আতঙ্ক দূর করে দিতে চাই। সব দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবো। দিল্লির রাস্তায় কাউকে অস্ত্র হাতে ঘোরাঘুরি করতে দেয়া হবে না। এনডিটিভিকে তিনি এসব কথা বলেছেন। তবে তিনি সহিংসতায় কাউকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে যথেষ্ট ফোর্স আছে। কারো ভীত হওয়া উচিত নয়। রোববার থেকে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার আগুনে জ্বলছে দিল্লি। এতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। এ অবস্থায় গত রাতে ওই এলাকা সফর করেছেন অজিত দোভাল। তিনি বলেছেন, যেসব নাগরিক আইন মেনে চলবেন তাদের কেউ কোনোরকম ক্ষতি করতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, দিল্লি পুলিশের সক্ষমতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে লোকজনের সংশয় আছে। এ বিষয়টি দেখা উচিত। ইউনিফর্ম পরা মানুষগুলোর ওপর আস্থা রাখতে হবে মানুষকে। উল্লেখ্য, সহিংসতা যখন সৃষ্টি হয় তখন কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে কড়া সমালোচনা হচ্ছে দিল্লি পুলিশের। তারা মাঠ পর্যায়ে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করেনি বলেও সমালোচনা হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দিল্লির সিলামপুর, জাফরাবাদ, মৌজপুর এবং গোকুলপুরি চক সফর করেন অজিত দোভাল। এ সময় তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখেন এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। ওদিকে নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিপরিষদের কমিটি রাজধানীতে এই সহিংসতার বিষয়ে আলোচনা করছে। তাতে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করার কথা অজিত দোভালের। ওদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এক টুইটে বলেন, সেনাবাহিনী ডাকা হতে পারে। সহিংসতাকবলিত এলাকায় অবিলম্বে কারফিউ দেয়া হতে পারে। এ বিষয়ে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে লিখবেন বলেও জানিয়েছেন। তবে মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সময়ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সহিংসতা বন্ধে সেনা মোতায়েনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, মাঠ পর্যায়ে যথেষ্ট পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী আছে।