ভারত
হচ্ছে ৩০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি
কলকাতা প্রতিনিধি
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:২৩ পূর্বাহ্ন
আমেরিকা ফার্স্ট বনাম মেড ইন ইন্ডিয়ার টক্করে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো বাণিজ্য চুক্তি আপাতত হচ্ছে না। তবে এই হতাশাকে দূরে সরিয়ে রেখে ভারতে পা দিয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সুসম্পর্কের দামামা বাজিয়েছেন জোর গলায়। ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রসঙ্গ উত্থাপন না করে বরং ভারতের একতাকে বিশ্বের প্রেরণা বলে উল্লেখ করেছেন। ভারতীয় গণতন্ত্র থেকে শুরু করে ভারতীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ ও সমন্বয়ের কথা বলেছেন।
সোমবার সস্ত্রীক ডোনাল্ড ট্রাম্প দু’দিনের ভারত সফরে আহমেদাবাদে দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার দিল্লিতে ট্রাম্পের সঙ্গে সরকারিভাবে যে আলোচনা হবে তাতে বাণিজ্য চুক্তির শূন্যতা কাটাতে প্রতিরক্ষার ওপরই গুরুত্ব দেয়া হবে। মঙ্গলবার মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনায় কৌশলগত সম্পর্ককে বিস্তৃত করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। গুরুত্ব পাবে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়টি। দুই দেশের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি যে হচ্ছে তা নিশ্চিত হয়েছে ট্রাম্পের কথায়।
মোতেরায় ভাষণ দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আনন্দের সঙ্গে এই ঘোষণা করছি যে, মঙ্গলবার ৩০০ কোটি ডলারের চুক্তি হচ্ছে। সামরিক হেলিকপ্টার ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনাবেচার চুক্তি হবে। অবশ্য ২৪টি এমএইচ-৬০ হেলিকপ্টার কেনার বিষয়টি নিয়ে আগেই আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ভারত যে ২৪টি এমএইচ-৬০ হেলিকপ্টার কিনছে, সেগুলো ব্যবহার করবে ভারতীয় নৌবাহিনী।
জলসীমায় নজরদারি, ডুবোজাহাজের উপস্থিতি, তল্লাশি ও উদ্ধার কাজে অত্যন্ত সক্ষম এই হেলিকপ্টারগুলো। অত্যাধুনিক এই হেলিকপ্টারগুলো ৪৯ বছর আগের বৃটিশ হেলিকপ্টার ‘সি কিং’-র জায়গা নেবে। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া নিয়েও উচ্ছ্বসিত ছিলেন ট্রাম্প। সোমবার সেই বিষয়টি তুলে ধরে বলেছেন, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া হয় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। এমনকি, তিন বাহিনীর একসঙ্গে মহড়ার নজির রয়েছে। নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটনের মধ্যে সেই পারস্পরিক সমঝোতা আরো বাড়িয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানান ট্রাম্প। বলেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়াতে নিরন্তর চেষ্টা চলে দু’দেশের মধ্যে। এই গ্রহের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও ভয়ঙ্কর সামরিক অস্ত্র ভারতকে দিতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে আজকের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে সন্ত্রাস মোকাবিলার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে। তবে সেই আলোচনার গতিপথ কী হবে তা ট্রাম্প সোমবারই আহমেদাবাদে জানিয়ে দিয়েছেন।
ট্রাম্প এদিন বলেন, পাকিস্তানকে সন্ত্রাস দমনে কড়া ব্যবস্থা নিতেই হবে। ভারতীয় উপমহাদেশ এলাকায় সন্ত্রাস দমনে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে কাজ করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, প্রত্যেক দেশের অধিকার রয়েছে তাদের দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাস নিয়ে নিরন্তর মতবিনিময় করে। দুই দেশ একসঙ্গে সন্ত্রাস দমনে কাজ করবে। পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে, যাতে তারা সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনো আপস না করে কড়া হাতে দমন করে।
ভারতীয় উপমহাদেশে শান্তি ও স্থিতাবস্থা রাখার বার্তা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, এই উপমহাদেশীয় অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ভারতের বড় ভূমিকা রয়েছে। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রেও যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক যে আগের থেকে ভালো হয়েছে, সে কথারও উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।
সোমবার সস্ত্রীক ডোনাল্ড ট্রাম্প দু’দিনের ভারত সফরে আহমেদাবাদে দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার দিল্লিতে ট্রাম্পের সঙ্গে সরকারিভাবে যে আলোচনা হবে তাতে বাণিজ্য চুক্তির শূন্যতা কাটাতে প্রতিরক্ষার ওপরই গুরুত্ব দেয়া হবে। মঙ্গলবার মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনায় কৌশলগত সম্পর্ককে বিস্তৃত করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। গুরুত্ব পাবে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়টি। দুই দেশের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি যে হচ্ছে তা নিশ্চিত হয়েছে ট্রাম্পের কথায়।
মোতেরায় ভাষণ দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আনন্দের সঙ্গে এই ঘোষণা করছি যে, মঙ্গলবার ৩০০ কোটি ডলারের চুক্তি হচ্ছে। সামরিক হেলিকপ্টার ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনাবেচার চুক্তি হবে। অবশ্য ২৪টি এমএইচ-৬০ হেলিকপ্টার কেনার বিষয়টি নিয়ে আগেই আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ভারত যে ২৪টি এমএইচ-৬০ হেলিকপ্টার কিনছে, সেগুলো ব্যবহার করবে ভারতীয় নৌবাহিনী।
জলসীমায় নজরদারি, ডুবোজাহাজের উপস্থিতি, তল্লাশি ও উদ্ধার কাজে অত্যন্ত সক্ষম এই হেলিকপ্টারগুলো। অত্যাধুনিক এই হেলিকপ্টারগুলো ৪৯ বছর আগের বৃটিশ হেলিকপ্টার ‘সি কিং’-র জায়গা নেবে। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া নিয়েও উচ্ছ্বসিত ছিলেন ট্রাম্প। সোমবার সেই বিষয়টি তুলে ধরে বলেছেন, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া হয় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। এমনকি, তিন বাহিনীর একসঙ্গে মহড়ার নজির রয়েছে। নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটনের মধ্যে সেই পারস্পরিক সমঝোতা আরো বাড়িয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানান ট্রাম্প। বলেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়াতে নিরন্তর চেষ্টা চলে দু’দেশের মধ্যে। এই গ্রহের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও ভয়ঙ্কর সামরিক অস্ত্র ভারতকে দিতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে আজকের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে সন্ত্রাস মোকাবিলার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে। তবে সেই আলোচনার গতিপথ কী হবে তা ট্রাম্প সোমবারই আহমেদাবাদে জানিয়ে দিয়েছেন।
ট্রাম্প এদিন বলেন, পাকিস্তানকে সন্ত্রাস দমনে কড়া ব্যবস্থা নিতেই হবে। ভারতীয় উপমহাদেশ এলাকায় সন্ত্রাস দমনে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে কাজ করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, প্রত্যেক দেশের অধিকার রয়েছে তাদের দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাস নিয়ে নিরন্তর মতবিনিময় করে। দুই দেশ একসঙ্গে সন্ত্রাস দমনে কাজ করবে। পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে, যাতে তারা সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনো আপস না করে কড়া হাতে দমন করে।
ভারতীয় উপমহাদেশে শান্তি ও স্থিতাবস্থা রাখার বার্তা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, এই উপমহাদেশীয় অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ভারতের বড় ভূমিকা রয়েছে। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রেও যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক যে আগের থেকে ভালো হয়েছে, সে কথারও উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।