খেলা
জমে উঠেছে বিসিএল ফাইনাল
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:১৫ পূর্বাহ্ন
দ্বিতীয় দিনে ৩ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে ইস্ট জোন। আর ব্যাট করতে নেমেই আব্দুর রাজ্জাকের ঘূর্ণি ঝড়ের সামনে পড়ে ইস্ট জোনের ব্যাটসম্যানরা। ৩২.৩ ওভার বল করে ১০২ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ৭টি উইকেট। আর তাতেই ইস্ট জোন অল আউট হয় মাত্র ২৭৩ রানে। রাজ্জাকের ঘূর্ণির মধ্যে দারুন ব্যাট করেন জুনিয়র তামিম। বিশ্বকাপ জিতে আসা যুব টাইগার ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম কদিন আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে করেছেন ঝড়ো সেঞ্চুরি। বিসিএলে আরেকটি ম্যাজিক ফিগারের খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন গতকাল। যদিও ৮২ রানে থেমেছে তার ঝলমলে ব্যাটিং প্রদর্শনী। সাউথের প্রথম ইনিংসে করা ৪৮৬ রানের বিশাল সংগ্রহের পর ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিনের চা বিরতির আগেই অলআউট হয়েছে ২৭৩ রানে। এই আড়াইশ পেরোনো সংগ্রহের মধ্যে তামিমের রান ৮২। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৮৭ বলের ইনিংস। ফিরেছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের বলে ফরহাদকে ক্যাচ দিয়ে। দলীয় ইনিংসে একমাত্র ফিফটিও তার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আফিফ হোসেনের ৪৭ রান। প্রথম ইনিংসে সাউথ জোন লিড পায় ২১৩ রানের। সাউথের হয়ে দুটি উইকেট নেন শফিউল ইসলাম আর একটি উইকেট নেন মেহেদি হাসান। তবে ইস্টের বিপদ বাড়িয়েছেন রাজ্জাক একাই। ৩২.৩ ওভারে ১০২ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন সাউথ অধিনায়ক। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতই ২১৩ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নেমে আবু হায়দার রনির পেস তোপে ভেঙে পড়ে সাউথ জোন। নিয়মিত বিরতিতেই সাউথের উইকেট তুলে নিতে থাকেন রনি। শুরুটা অবশ্য করেছিলেন হাসান মাহমুদ। স্কোরবোর্ডে ১৫ রান যোগ হতেই আনামুল হক বিজয়কে (১০) তুলে নেন মাহমুদ। এরপর রনির ঝড়। সাউথের দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ফজলে মাহমুদ (১) এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে (১৭) তুলে নেন রনি। এরপর রুয়েল মিয়া নেন দুটি উইকেট এবং আরো দুটি উইকেট নেন রনি। তাতেই দলীয় ১০৫ রান ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে সাউথ। শেষ দিকে মেহেদি হাসান ৪১ রানে অপরাজিত থাকলে দলীয় সংগ্রহ তিন অঙ্কে পৌঁছায় সাউথের। তৃতীয় দিন শেষে মেহেদি হাসান ৪১ এবং আব্দুর রাজ্জাক ১ রানে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সাউথ জোন এগিয়ে ৩৩৮ রানে।