দেশ বিদেশ
চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডি
চোখের জলে নিহতদের স্মরণ
স্টাফ রিপোর্টার
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির দিনে চোখের পানিতে স্বজনদের স্মরণ ছবি: শাহীন কাওসার
চুড়িহাট্টায় ওয়াহেদ ম্যানসনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন দীপু হোসেন। চোখ থেকে তখন তার জল গড়িয়ে পড়ছিলো। নির্বাক কাঁদছিলেন তিনি। চোখের সামনেই তার ভাই আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এক বছর পার হয়ে গেলেও তার ভাইয়ের শোক তিনি কাটাতে পারেননি। পরিবারও দিশেহারা হয়ে গেছে। তার মত নিহতদের অনেক স্বজন চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানসনের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। চোখের জলে নিহতদেও স্মরণ করছিলেন তারা। এরমধ্যে কয়েকজন স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানালেন, এমন একটি ঘটনার পরও চকবাজার এলাকা ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে দাহ্য ও কেমিক্যালের গোডাউন সরানো হয়নি।
গত বছরের ২০শে ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনের সামনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৭১ জন নিহত হন। দগ্ধ হন অনেকেই। চুড়িহাট্টায় আগুনের ভয়াবহতা বাড়িয়েছিল সেখানে থাকা কেমিক্যালের মজুত। গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় যে, চুড়িহাট্টার পুড়ে যাওয়া ভবনের সামনে দু’টি কালো ব্যানার টানানো হয়েছে। অনেকেই ওই ব্যানারের সামনে কাঁদছেন। আবার অনেক স্বজন ওই ঘটনায় নিহতদের ছবি তুলে ধরে ছিলেন। অনেকেই বিলাপ করছিলেন। সেখানে আসা নিহতদের কিছু স্বজনেরা বুকে কালো ব্যাজ পড়ে ক্ষতিপূরণের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছিলেন। দিনভর ওই এলাকায় ছিলো মানুষের ভিড়। বাতাসে ছিলো নিরব আর্তনাদ। স্বজন হারানোর শোক। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের স্বজন দীপু হোসেন জানান, যেদিন ঘটনা ঘটেছিল সেদিন ১০ মিনিট আগে আমি দোকান থেকে বের হয়েছিলাম। এই কারণে ওই আগুনের হাত থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি। কিন্তু, আমার দুই ভাই আগুনে পুড়ে মারা গেছে।
ওই ঘটনায় নিহত রানা ও রাজুর বাবা সাহেব উল্লাহ ওয়াহেদ ম্যানসনের সামনে এসেছিলেন। তিনি জানান, সন্তান হারানোর বেদনা যে কত কষ্টের যারা হারিয়েছে তারা বুঝে। শেষ বয়সে এমন কষ্ট পাবো তা কখনও বুঝে উঠতে পারেনি। আমার দুই সন্তান আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার পর খুবই শূন্যতা অনুভব করি। আমার পুরো সংসার তছনছ হয়ে গেছে। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
নিহত মোহাম্মদ আলীর বোন জেরিনা জানান, ঘটনার পর ঢামেক হাসপাতালে ভাইয়ের লাশ সনাক্ত করি। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এরপর থেকে আর কেউ খোঁজ নেয়নি। আমাদের দিন খুবই কষ্টে এবং অভাব অনটনের মধ্যে যাচ্ছে।
নিহত শামীমের ভাই আবির হোসেন জানান, আমার ভাই নিহত হওয়ায় আমাদের পরিবার অনেক কষ্টে আছে। ভাই বড় হওয়ার কারণে সে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। আমরা অসহায় হয়ে গেছি। স্থানীয় বাসিন্দা মাহাবুব জানান, সেই রাতের আগুনের কথা এখনো মনে আছে। হঠাৎ আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। সড়কে যানযট থাকার কারণে অনেকেই আটকা পড়ে মারা গিয়েছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন জানান, ঘটনার পরই আমরা চকবাজার এলাকা থেকে সকল ধরণের কেমিক্যালের গুদাম সরিয়ে দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু, প্রশাসন কিছুদিন অভিযান চালিয়ে আর কোন অভিযান চালায়নি।
তিনি আরও জানান, ঘটনার এক বছর পার হয়ে গেলেও এখনো চুড়িহাট্টার আশপাশের এলাকার বাসা বাড়িতে কেমিক্যালের গুদাম রয়েছে। দিন দিন তা বাড়ছে। কেউ কেউ ছাদের ওপরেও কেমিক্যালের গুদাম তৈরি করেছে। এমন আরও একটি ঘটনা ঘটলে আরও লোকজনের প্রাণহানি হবে। তিনি বলেন, আমাদের দাবি থাকবে, অবিলম্বে যেসব কেমিক্যালের গুদাম রয়েছে সেগুলো ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হোক।
গত বছরের ২০শে ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনের সামনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৭১ জন নিহত হন। দগ্ধ হন অনেকেই। চুড়িহাট্টায় আগুনের ভয়াবহতা বাড়িয়েছিল সেখানে থাকা কেমিক্যালের মজুত। গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় যে, চুড়িহাট্টার পুড়ে যাওয়া ভবনের সামনে দু’টি কালো ব্যানার টানানো হয়েছে। অনেকেই ওই ব্যানারের সামনে কাঁদছেন। আবার অনেক স্বজন ওই ঘটনায় নিহতদের ছবি তুলে ধরে ছিলেন। অনেকেই বিলাপ করছিলেন। সেখানে আসা নিহতদের কিছু স্বজনেরা বুকে কালো ব্যাজ পড়ে ক্ষতিপূরণের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছিলেন। দিনভর ওই এলাকায় ছিলো মানুষের ভিড়। বাতাসে ছিলো নিরব আর্তনাদ। স্বজন হারানোর শোক। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের স্বজন দীপু হোসেন জানান, যেদিন ঘটনা ঘটেছিল সেদিন ১০ মিনিট আগে আমি দোকান থেকে বের হয়েছিলাম। এই কারণে ওই আগুনের হাত থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি। কিন্তু, আমার দুই ভাই আগুনে পুড়ে মারা গেছে।
ওই ঘটনায় নিহত রানা ও রাজুর বাবা সাহেব উল্লাহ ওয়াহেদ ম্যানসনের সামনে এসেছিলেন। তিনি জানান, সন্তান হারানোর বেদনা যে কত কষ্টের যারা হারিয়েছে তারা বুঝে। শেষ বয়সে এমন কষ্ট পাবো তা কখনও বুঝে উঠতে পারেনি। আমার দুই সন্তান আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার পর খুবই শূন্যতা অনুভব করি। আমার পুরো সংসার তছনছ হয়ে গেছে। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
নিহত মোহাম্মদ আলীর বোন জেরিনা জানান, ঘটনার পর ঢামেক হাসপাতালে ভাইয়ের লাশ সনাক্ত করি। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এরপর থেকে আর কেউ খোঁজ নেয়নি। আমাদের দিন খুবই কষ্টে এবং অভাব অনটনের মধ্যে যাচ্ছে।
নিহত শামীমের ভাই আবির হোসেন জানান, আমার ভাই নিহত হওয়ায় আমাদের পরিবার অনেক কষ্টে আছে। ভাই বড় হওয়ার কারণে সে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। আমরা অসহায় হয়ে গেছি। স্থানীয় বাসিন্দা মাহাবুব জানান, সেই রাতের আগুনের কথা এখনো মনে আছে। হঠাৎ আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। সড়কে যানযট থাকার কারণে অনেকেই আটকা পড়ে মারা গিয়েছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন জানান, ঘটনার পরই আমরা চকবাজার এলাকা থেকে সকল ধরণের কেমিক্যালের গুদাম সরিয়ে দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু, প্রশাসন কিছুদিন অভিযান চালিয়ে আর কোন অভিযান চালায়নি।
তিনি আরও জানান, ঘটনার এক বছর পার হয়ে গেলেও এখনো চুড়িহাট্টার আশপাশের এলাকার বাসা বাড়িতে কেমিক্যালের গুদাম রয়েছে। দিন দিন তা বাড়ছে। কেউ কেউ ছাদের ওপরেও কেমিক্যালের গুদাম তৈরি করেছে। এমন আরও একটি ঘটনা ঘটলে আরও লোকজনের প্রাণহানি হবে। তিনি বলেন, আমাদের দাবি থাকবে, অবিলম্বে যেসব কেমিক্যালের গুদাম রয়েছে সেগুলো ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হোক।