সমর্থকদের আচরণ নিয়ে চিন্তিত নন স্মিথ-ওয়ার্নার

অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি আজ জোহানেসবার্গে মুখোমুখি হবে দু’দল। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেই বল টেম্পারিং কাণ্ডে নিষিদ্ধ হন স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট। নিষিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে নামছেন স্মিথ-ওয়ার্নার।
প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হওয়ার আগে আলোচনায় স্বাগতিক সমর্থকরা স্মিথ-ওয়ার্নারদের সঙ্গে কেমন আচরণ করে সে বিষয়টি। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামের দর্শকপূর্ণ গ্যালারি থেকে যে উষ্ণ অভ্যর্থনা পাবেন না সেটা জানেন স্মিথ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্মিথ বলেন, ‘প্রতিপক্ষ সমর্থকদের বৈরী আচরণে আমরা অভ্যস্ত। জানি, এখানেও এর ব্যতিক্রম হবে না। প্রতিপক্ষের সমর্থকরা কেমন আচরণ করলো সেটা নিয়ে কখনই ভাবি না। ব্যাটিং কিংবা ফিল্ডিংয়ের সময় কিছুটা কানে আসে। আমার কাছে এগুলো শুধুই শব্দ। মাঠের খেলায় এসবের প্রভাব পড়ে না।’

মাঠের খেলায় যে এসবের প্রভাব নেই সেটার প্রমাণ মিলবে স্মিথের পারফরমেন্সের দিকে তাকালে। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন স্টিভেন স্মিথ। গতবছর তিন সংস্করণ মিলিয়ে করেন ১ হাজার ৪৯০ রান। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে গতবছর স্মিথের চেয়ে বেশি রান আছে কেবল ডেভিড ওয়ার্নারের। তিন সংস্করণে ১ হাজার ৬৫৯ রান করেন ওয়ার্নার। ব্যাট হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ২০১৯ সালের অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতে নেন তিনি। তিন ম্যাচের সিরিজটি আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ দু’দলের জন্যই। চলতি বছরের ১৮ই অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে অসাধারণ পারফরমেন্স করেও সফরকারী ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে প্রোটিয়ারা।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া শেষ তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারেনি একটি ম্যাচেও। ভারতকে তাদের মাঠে ২-০তে হারিয়ে সিরিজ জয়ের পর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিল এক বছরেরও বেশি সময় আগে। অস্ট্রেলিয়া সফরে বৃষ্টি বিঘ্নিত সে ম্যাচে ২১ রানে জয় পেয়েছিল প্রোটিয়ারা।